পাবনায় চেয়ারম্যান বাড়ির কর্মচারীকে কুপিয়ে মারল দুর্বৃত্তরা
পূর্ব শত্রুতার জেরে পাবনার সাঁথিয়ার নাগডেমরা ইউনিয়ন পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান হারুন-অর-রশিদের বাড়ির কর্মচারী আব্দুল মতিনকে (৩০) কুপিয়ে মেরে ফেলেছে দুর্বৃত্তরা। শনিবার (০৪ জুন) রাত সাড়ে ১০টার দিকে পৌরসভার ৩ নং ওয়ার্ডের আওলাঘাটা ভূনারচর গ্রামে এ ঘটনা ঘটে।
মতিন পশ্চিম সোনাতলা গ্রামের মৃত মহির উদ্দিনের ছেলে। সে সাবেক চেয়ারম্যান হারুন অর রশিদের বাড়িতে শ্রমিকের কাজ করতন। সম্পর্কে চেয়ারম্যানের প্রতিবেশী চাচাতো ভাই বলে জানা গেছে।
এ ঘটনায় সাবেক চেয়ারম্যান হারুন অর রশিদের ভাই জুয়েল রানা গুরুতর আহত হয়েছেন। তাকে পাবনা জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
নিহতের পারিবারিক সূত্রে জানা গেছে, রাতে আব্দুল মতিন পৌরসভার ফেসওয়ান মহল্লার মেয়ে-জামাই বাড়ি থেকে দাওয়াত খেয়ে বাড়ি ফিরছিলেন। পথে ৮-১০ জন অস্ত্রধারী সন্ত্রাসী গতিরোধ করে ধারালো অস্ত্র দিয়ে এলোপাতাড়িভাবে কোপায়। এ সময় সঙ্গে সাবেক চেয়ারমান হারুন-অর রশিদের ভাই জুয়েল রানাকে কুপিয়ে হত্যা করতে চাইলে তিনি ইছামতি নদীতে ঝাঁপে দেন। খবর পেয়ে সাবেক চেয়ারম্যানের লোকজন গিয়ে মরদেহ পড়ে থাকতে দেখে পুলিশে খবর দেয়। এ সময় ইছামতি নদী থেকে আহত জুয়েলকে উদ্ধার করে প্রথমে সাঁথিয়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়। পরে পাবনা জেনারেল হাসপাতালে স্থানান্তর করা হয়।
এ বিষয়ে নাগডেমরা ইউনিয়ন পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান হারুন-অর-রশিদের সঙ্গে মোবাইল ফোনে যোগাযোগ করলে অন্যজন রিসিভ করেন। তিনি বলেন, সাবেক চেয়ারম্যান স্টোকজনিত কারণে হাসপাতালে ভর্তি রয়েছেন।
তবে নাগডেমরা ইউনিয়ন পরিষদের বর্তমান চেয়ারম্যান হাফিজুর রহমান বলেন, আমি শনিবার সারা দিন পাবনা শহরে ব্যস্ত ছিলাম। এ বিষয়ে কিছুই জানি না।
সাঁথিয়া থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আসিফ মোহাম্মদ সিদ্দিকুল ইসলাম ঢাকা পোস্টকে ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, হত্যার প্রকৃত কারণ এখনো জানা সম্ভব হয়নি। হয়ত পূর্ব শত্রুতার জেরে এমন হত্যাকাণ্ডের ঘটনা ঘটেছে। বিষয়টি নিয়ে তদন্ত চলছে। পরে বিস্তারিত জানাতে পারব।
তিনি আরও বলেন, মরদেহ উদ্ধার করে থানায় নিয়ে আসা হয়েছে। রোববার সকালে ময়নাতদন্ত করতে মর্গে পাঠানো হবে। আহত জুয়েল রানার অবস্থা গুরুতর। এলাকায় আইনশৃঙ্খলা রক্ষার্থে অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে।
রাকিব হাসনাত/এসপি