মুন্সিগঞ্জে আ.লীগের দুই পক্ষের সংঘর্ষ, শতাধিক ককটেল বিস্ফোরণ
মুন্সিগঞ্জে আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে আওয়ামী লীগের দুই পক্ষের সংঘর্ষে শতাধিক ককটেল বিস্ফোরণ ও বাড়িঘর ভাঙচুরের ঘটনা ঘটেছে। এ সময় উভয় পক্ষের ১০ জন আহত হয়েছেন। বুধবার (১৭ ফেব্রুয়ারি) রাত ১০টার দিকে সদর উপজেলার মোল্লাকান্দি ইউনিয়নের রাজারচর গ্রামে এ ঘটনা ঘটে।
আহতরা হলেন-হারুন ঢালী (৩৫), জহিরুল ইসলাম বেপারী (৪০), ইব্রাহীম বেপারী (৩৫), সবুজ মোল্লা (৩০), আওলাদ মাদবর (৫০), জিন্নাত আলীসহ (৫৫) কমপক্ষে দশজন। পাশাপাশি ককটেলের আঘাতে দুটি বসতবাড়ি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।
এলাকাবাসী সূত্রে জানা গেছে, মোল্লাকান্দি ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মহসিনা হক কল্পনা ও সাবেক ইউপি চেয়ারম্যান রিপন পাটোয়ারীর দীর্ঘদিন ধরে বিরোধ চলে আসছিল। পূর্ব শত্রুতার জের ধরে বুধবার রাতে দুপক্ষ আবার সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়ে। এ সময় রিপন পাটোয়ারী পক্ষের জুয়েল শিকদারের নেতৃত্বে শনি হালদার, মতি বেপারী, বাবুল ঢালী, মামুন হালদার ও রাসেল হালদারসহ ৬০ থেকে ৭০ জনের একটি দল চেয়ারম্যান মহসিনা হক কল্পনার সমর্থকদের ওপর হামলা চালায়। এ ঘটনায় দু’পক্ষ শতাধিক ককটেল বিস্ফোরণ করে।
হামলার শিকার রাজারচর গ্রামের আল আমিন ও মহিউদ্দিন জানান, আসন্ন ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনকে কেন্দ্র করে আধিপত্য বিস্তারের লক্ষ্যে সাবেক চেয়ারম্যানের লোকজন এই হামলা চালায়। বর্তমান চেয়ারম্যান মহসিনা হক কল্পনার সর্থকদের গ্রাম থেকে তাড়িয়ে গ্রাম্য আধিপত্য বিস্তার করার জন্য এই হামলা চালানো হয়েছে। ব্যাপক ককটেল বিস্ফোরণের ঘটনায় আমাদের পক্ষের ১০ জন আহত হয়েছে। ককটেলের আঘাতে দুটি বসতবাড়ি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।
হামলার বিষয়ে অভিযুক্ত জুয়েল শিকদারের সঙ্গে একাধিকবার মুঠোফোনে যোগাযোগ করেও তাকে পাওয়া যায়নি।
এ বিষয়ে সদর থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি অপারেশন) শেখ আবু হানিফ বলেন, রাতে ঘটনার খবর পাওয়ার সঙ্গে সঙ্গে ঘটনাস্থলে পুলিশ পাঠানো হয়েছে। এখন পরিস্তিতি শান্ত রয়েছে। ঘটনাস্থলে পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে। এখন পর্যন্ত কেউ অভিযোগ করেনি। অভিযোগ পেলে দোষীদের বিরুদ্ধে আইনী ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
ব.ম শামীম/এসপি