নারীদের অসামাজিক কাজে বাধ্য করতেন আসমা
নিজ বসতবাড়িতে গড়ে তুলেছেন দেহ ব্যবসা ও মানবপাচারের আস্তানা। দেশের বিভিন্ন অঞ্চল থেকে নারীদের ধরে এনে জোর করে পতিতাবৃত্তিতে নামান তিনি। বলছিলাম মৌলভীবাজারের শ্রীমঙ্গলের পতিতা সম্রাট আসমার কথা। বুধবার (১৭ ফেব্রুয়ারি) রাতে শহরের গুহরোড এলাকা থেকে তাকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ।
আছমা শহরতলীর সুরভীপাড়া এলাকার নূর মিয়ার স্ত্রী।
শ্রীমঙ্গল থানা পুলিশের উপপরিদর্শক (এসআই) ইউসুফ আলী বলেন, মঙ্গলবার (১৬ ফেব্রুয়ারি) রাতে পতিতাবৃত্তির অভিযোগে পুলিশ শহরের হাউজিং এস্টেট এলাকায় আছমার বাসায় অভিযান চালায়। এ সময় সেখান থেকে দুই নারী ও দুই পুরুষকে আটক করা হয়। তবে কৌশলে পালিয়ে যান আছমা।
তিনি আরও বলেন, আটকদের জিজ্ঞাসাবাদে তারা একটি সংঘবদ্ধ মানবপাচার চক্র বলে স্বীকার করে। তারা টাকার বিনিময়ে দেশের বিভিন্ন এলাকা থেকে নারীদের এনে পতিতাবৃত্তির উদ্দেশে পাচার করে থাকে। পরে আটকদের বিরুদ্ধে মামলা করা হয়। এই মামলার সূত্র ধরে বুধবার রাতে আছমাকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ।
শ্রীমঙ্গল শহরের বিরাহিমপুরের বাসিন্দা সোলায়মান আহমেদ ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন, আছমা দীর্ঘদিন ধরে শ্রীমঙ্গলে পতিতাবৃত্তি করে আসছে। দেশের বিভিন্ন অঞ্চল থেকে নারীদের নিয়ে এসে জোর করে পতিতাবৃত্তিতে বাধ্য করানো হয়। এর আগেও কয়েকবার পুলিশের হাতে আটক হয়েছে সে। ছাড়া পেয়ে আবারও পুরোনো কাজ করেন এই নারী।
হাউজিং এস্টেট এলাকার বাসিন্দা রুহেল আহমেদ বলেন, আছমা তার বসতবাড়ি যৌনপল্লী বানিয়ে ফেলার পাশাপাশি বিভিন্ন আবাসিক হোটেল রিসোর্টেও নারী সরবরাহের কাজ করেন।
স্থানীয় বাসিন্দা সৈয়দ আবু জাফর সালাহউদ্দিন বলেন, এই সেই কুখ্যাত আছমা। আজ রাতে পুলিশের হাতে আটক হয়েছে। এই নারী যুবসমাজ, মেয়েদের জোর করে পতিতাবৃত্তির কাজ করায়।
শ্রীমঙ্গল থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. আব্দুস ছালেক বলেন, আছমা পতিতাবৃত্তির উদ্দেশে নারী পাচারকারী চক্রের হোতা। তিনি দীর্ঘদিন থেকে অসামাজিক কাজের সঙ্গে জড়িত। তিনিসহ তার সংঘবদ্ধ চক্রের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
ওমর ফারুক নাঈম/এসপি