সিলেটে বেড়েছে বন্যার ভয়াবহতা
অবিরাম বর্ষণ আর অব্যাহতভাবে পাহাড়ি ঢল নেমে আসার কারণে সিলেটের বন্যা ভয়াবহ রুপ ধারণ করছে। আকস্মিক এই বন্যা ইতোমধ্যে বিস্তার লাভ করেছে সিলেটের সবকটি উপজেলায়। সময় যত যাচ্ছে এই ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ ততই বৃদ্ধি পাচ্ছে।
সিলেটের জকিগঞ্জ, কানাইঘাট, গোয়াইনঘাট, কোম্পানিগঞ্জ ও জৈন্তাপুর উপজেলায় বন্যার ভয়াবহতা চোখে পড়ার মতো। এ ছাড়া সিলেট সদর উপজেলাসহ নগরীর বেশিরভাগ এলাকা-ই এখন পানির নিচে।
বন্যাকবলিত এলাকায় রাস্তাঘাট, ব্রিজ কালভার্ট, বাসাবাড়ি, দোকানপাট পানিতে তলিয়ে যাওয়ায় এমনিতেই জনসাধারণের দুর্ভোগের অন্ত নেই তার মধ্যে নতুন করে যোগ হয়েছে বিশুদ্ধ পানির সংকট।
ইতোমধ্যে জেলা প্রশাসন ও সিটি করপোরেশন থেকে বন্যাকবলিতদের জন্য নানা পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে। এসব এলাকায় অতিসত্ত্বর ত্রাণসুবিধা পাঠানোর ব্যবস্থা ও অত্র এলাকাগুলোকে বন্যা দুর্গত অঞ্চল হিসেবে ঘোষণার জন্য জোর দাবি জানান স্থানীয় জনপ্রতিনিধিরা।
গোয়াইনঘাট উপজেলা চেয়ারম্যান ফারুক আহমদ বলেন, গোয়াইন ও পিয়াইন নদীর পানি অনেক আগেই বিপৎসীমা অতিক্রম করেছে। এ উপজেলার মানুষ বন্যার কারণে ঘর থেকে বের হতে পারছেন না আবার ঘরেও থাকতে পারছেন না। এই উপজেলাকে অনতিবিলম্বে বন্যা দুর্গত অঞ্চল হিসেবে চিহ্নিত করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিতে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের দৃষ্টি আকর্ষণ করেন।
সিলেট আবহাওয়া অফিসের জ্যেষ্ঠ আবহাওয়াবিদ সাঈদ চৌধুরী ঢাকা পোস্টকে বলেন, এই মুহূর্তে প্রকৃতি খুবই বিরূপ আচরণ করছে। একদিকে অবিরাম বর্ষণ আর আরেকদিকে পাহাড়ি ঢল, এই দুইয়ে মিলে সিলেট অঞ্চলকে বিস্বাদে পরিণত করে দিয়েছে। সহসাই এই পরিস্থিতির উন্নতি হবে না বলেও জানান তিনি।
সিলেট জেলা পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী আসিফ আহমদ ঢাকা পোস্টকে বলেন, সিলেটের নদ-নদীর পানি অস্বাভাবিকভাবে বাড়ছে। গত দুদিন আগে থেকেই সবগুলো নদ-নদীর পানি বিপদসীমা অতিক্রম করেছে। বিভিন্ন জায়গায় নদ-নদীর পানি পাড় উপচে শহর-গ্রামকে প্লাবিত করে দিয়েছে।
সময় যত যাচ্ছে এই রুপ যেন ভয়াবহ আকার ধারণ করছে। সিলেট জেলার প্রতিটি জায়গায় পানি গত ২৪ ঘণ্টায় এক থেকে দেড় ফিট বেড়েছে বলেও জানান তিনি।
মাসুদ আহমদ রনি/আরআই