বিয়ের প্রলোভনে ২ তরুণীকে ধর্ষণ, গ্রেপ্তার ২
সাভারে বিয়ের প্রলোভন দেখিয়ে দীর্ঘদিন ধর্ষণের অভিযোগে পৃথক ঘটনায় দুজনকে গ্রেপ্তার করে আদালতে পাঠিয়েছে পুলিশ। মঙ্গলবার (১৭ মে) দুপুরে তাদের গ্রেপ্তার করে আদালতে পাঠানো হয়।
এর আগে গতকাল সোমবার রাতে ও আজ সকালে সাভারের বিভিন্ন স্থানে অভিযান পরিচালনা করে তাদের গ্রেপ্তার করা হয়।
গ্রেপ্তার ব্যক্তিরা হলেন রংপুর জেলার পীরগঞ্জ থানার মারুফ মিয়া (২৫)। তিনি পেশায় পোশাকশ্রমিক। অন্যজন সাভার মডেল থানার সাধাপুর গ্রামের বাসিন্দা জসিম (৪৫)। তিনি স্থানীয় একটি পোশাক কারখানায় তদারকি কর্মকর্তা হিসেবে কাজ করেন।
জানা যায়, জসিমের আগের স্ত্রী রয়েছে। সেখানে দুটি সন্তান রয়েছে তাদের। বর্তমানে জসিম মিয়া আল-ইসলাম গ্রুপে চতুর্থ তলায় লাইন চিফ পদে চাকরি করেন। একই প্রতিষ্ঠানে ভুক্তভোগীও অপারেটর হিসেবে চাকরি করছেন।
ভুক্তভোগী ওই তরুণী বলেন, ২০১৪ সালে সাভারের স্থানীয় আল মুসলিম গার্মেন্টসে সাবেক স্বামীর সঙ্গে চাকরি নেন তিনি। সেখানে আল মুসলিম গার্মেন্টসে পিএম পদে কর্মরত জসিম মিয়া প্রেমের প্রস্তাব দেন। চাকরি হারানোর ভয়ে তিনি রাজি হয়ে যান। এরপর থেকেই জসিম বিভিন্ন স্থানে নিয়ে তাকে ধর্ষণ করেন। ঘটনা স্বামী জানলে তাকে গ্রামের বাড়ি রংপুরে নিয়ে যান।
এরপরও বিভিন্ন প্রলোভন দেখিয়ে আবারও তাকে সাভারে এনে স্বামীকে ডিভোর্স করান। পরে স্ত্রী পরিচয়ে সাভারের ইমান্দিপুর এলাকায় বাসা ভাড়া নিয়ে থাকতে শুরু করেন। এভাবেই কেটে যায় পাঁচ বছর। কিন্তু তিনি তরুণীকে বিয়ে করেন না।
অন্যদিকে পরিচয়ের পর বিয়ের প্রলোভন দেখিয়ে প্রায় ছয় মাস ধরে এক তরুণীকে ধর্ষণ করে আসছিলেন মারুফ। বিয়ের চাপ দিলে বিয়ে না করে তালবাহানা করেন তিনি। পরে বিভিন্নভাবে হুমকি দিলে থানায় ধর্ষণের অভিযোগ দায়ের করেন ভুক্তভোগী। অভিযোগের ভিত্তিতে তাদের গ্রেপ্তার করে আদালতে পাঠায় পুলিশ।
বিষয়টি নিশ্চিত করে সাভার মডেল থানার পরিদর্শক (তদন্ত) মোমেনুল ইসলাম বলেন, গ্রেপ্তার দুজনকে দুপুরে আদালতে পাঠানো হয়েছে। তাদের বিরুদ্ধে বিয়ের প্রলোভনে ধর্ষণের মামলা করা হয়েছে।
মাহিদুল মাহিদ/এনএ