ছুটির পর কারখানা খোলা, আসেননি কোনো শ্রমিক
ঈদের ছুটি শেষ। সকালে কারখানার ফটক খুলে (গেট) দিয়েছে কর্তৃপক্ষ। কিন্তু কোনো শ্রমিকের দেখা নেই। পুরো কারখানা ফাঁকা। মঙ্গলবার (১০ মে) সাভারের হেমায়েতপুরের পূর্বহাটি রোডের নয়াপাড়া এলাকার বায়োটেক্স কারখানায় এ ঘটনা ঘটে।
খোঁজ নিয়ে জানা যায়, ওই কারখানায় প্রায় ১৩০ জন শ্রমিক প্যান্ট তৈরির (ওভেন গার্মেন্ট) কাজ করছিলেন। তবে ঈদের ছুটি শেষে যথানিয়মে আজ সকাল ৮টায় কারখানা খুলে দেয় কর্তৃপক্ষ। কিন্তু দুপুর ১২টা পর্যন্ত কারখানায় কোনো শ্রমিক প্রবেশ করেননি।
এদিকে কোনো স্টাফও কারখানায় প্রবেশ করেননি। তবে রবিউল নামের এক স্টাফ এ ঘটনা ঘটাতে পারেন বলে ধারণা করা হচ্ছে।
কারখানা কর্তৃপক্ষ জানায়, ঈদের আগে শ্রমিকদের সব পাওনা আইন অনুযায়ী পরিশোধ করে ছুটি প্রদান করা হয়েছিল। আজ থেকে কারখানার উৎপাদন শুরু হওয়ার কথা ছিল। কিন্তু শ্রমিকরা কাজে যোগ না দেওয়ায় উৎপাদন বন্ধ আছে। কারখানার শ্রমিকদের কোনো ধরনের বকেয়া নেই। তবে স্টাফদের কিছু বকেয়া রয়েছে। কী কারণে শ্রমিকরা কাজে যোগদান করেননি, তা এখনো স্পষ্ট নয়। এ বিষয়ে আইনি পদক্ষেপ নেবে বলে জানায় কর্তৃপক্ষ।
কারখানার মালিক মোহাম্মদ হানিফ ঢাকা পোস্টকে বলেন, শ্রমিকদের কোনো ধরনের ত্রুটি আমরা রাখিনি। আমরা শ্রমিকদের সঙ্গে যোগাযোগ করার চেষ্টা করেছি। কিন্তু তারা কোনো সাড়া দেয়নি। স্টাফরা (তদারকি কর্মকর্তারা) ষড়যন্ত্র করে শ্রমিকদের কারখানায় কাজে যোগদান করা থেকে বিরত রেখেছেন বলে আমরা ধারণা করছি। এ ব্যাপারে আইনগত পদক্ষেপ প্রক্রিয়াধীন রয়েছে।
তিনি আরও বলেন, স্থানীয় প্রশাসন, কলকারখানার প্রতিনিধি, শিল্প পুলিশ ও ফেডারেশনের নেতা-কর্মীদের সঙ্গে বসে বিষয়টি নিয়ে আলোচনা করে পরবর্তী পদক্ষেপ নেব। আমরা তো শ্রমিক ছাড়া এই মহূর্তে কারখানা চালু করতে পারব না।
টেক্সটাইল গার্মেন্টস ওয়ার্কার্স ফেডারেশনের সাভার আশুলিয়া ধামরাই আঞ্চলিক কমিটির সাংগঠনিক সম্পাদক রতন হোসেন মোতালেব বলেন, পবিত্র ঈদুল ফিতরের আগে মার্চ ও এপ্রিল মাসের বেতন-ভাতা নিয়ে কারখানাটিতে সমস্যা হয়েছিল। তখন আমরা সমস্যা সমাধান করে দিয়েছিলাম। সেদিন কারখানা কর্তৃপক্ষ আজ ১০ তারিখ পর্যন্ত কারখানাটি ছুটি ঘোষণা করে। কিন্তু আজ কারখানা খোলা থাকলেও কোনো শ্রমিক কর্মস্থলে যোগ না দেওয়া দুঃখজনক।
এ বিষয়ে আমরা শ্রমিকদের সঙ্গে যোগাযোগ করে জানতে পেরেছি রবিউল নামের এক স্টাফ তাদের কর্মস্থলে যোগ দিতে নিষেধ করেছেন, যোগ করে বলেন তিনি।
মাহিদুল মাহিদ/এনএ