সমাজকল্যাণমন্ত্রীকে ইউনাইটেড হাসপাতালে ভর্তি
![সমাজকল্যাণমন্ত্রীকে ইউনাইটেড হাসপাতালে ভর্তি](https://cdn.dhakapost.com/media/imgAll/BG/2022May/nuruzzaman-20220508174515.jpg)
হৃদরোগে আক্রান্ত সমাজকল্যাণমন্ত্রী নূরুজ্জামান আহমেদকে ঢাকার ইউনাইটেড হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। রোববার (৮ মে) বিকেল ৪টার দিকে তাকে রংপুর থেকে ইউনাইটেড হাসপাতালে আনা হয়।
বিজ্ঞাপন
সমাজকল্যাণমন্ত্রীর সহকারী একান্ত সচিব (এপিএস) মিজানুর রহমান মিজান বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
এর আগে শনিবার (৭ মে) রাত আড়াইটার দিকে সমাজকল্যাণমন্ত্রীকে রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের কার্ডিওলজি বিভাগের করোনারি কেয়ার ইউনিটে (সিসিইউ) ভর্তি করা হয়েছিল। পরে সেখান থেকে রোববার দুপুর সোয়া ১টার দিকে অ্যাম্বুলেন্সে করে রংপুর সেনানিবাসের হেলিপ্যাডে নেওয়া হয়। দুপুর ২টার দিকে সেখান থেকে বাংলাদেশ বিমান বাহিনীর একটি হেলিকপ্টারে করে সমাজকল্যাণমন্ত্রীকে ঢাকায় নিয়ে যাওয়া হয়। সমাজকল্যাণমন্ত্রীর ছেলে ও লালমনিরহাট জেলা আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক রাকিবুজ্জামান আহমেদ এসব তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
বিজ্ঞাপন
রাকিবুজ্জামান জানান, শনিবার রাতে গ্রামের বাড়ি লালমনিরহাটের কালীগঞ্জে অবস্থানকালে সমাজকল্যাণমন্ত্রী বুকে প্রচণ্ড ব্যথা অনুভব করেন। অ্যাম্বুলেন্সে করে রাত আড়াইটায় তাকে রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়া হয়। সেখানে তাকে কার্ডিওলজি বিভাগের করোনারি কেয়ার ইউনিটে (সিসিইউ) ভর্তি করা হয়েছিল।
বর্তমানে মন্ত্রীর শারীরিক অবস্থা স্থিতিশীল রয়েছে জানিয়ে তিনি আরো বলেন, ঢাকা থেকে আসার পর থেকেই তিনি (মন্ত্রী) ঈদ উদযাপনসহ বিভিন্ন অনুষ্ঠানে অংশ নিয়ে খুব ব্যস্ততার মধ্যে সময় কাটাচ্ছিলেন। কয়েকদিন ধরে ঠিক মতো বিশ্রাম নেওয়া হয়নি। শনিবার রাতেও আদিতমারী উপজেলার মহিষখোচা এলাকায় একটি ঈদ আড্ডা অনুষ্ঠানে যোগ দেন। অনুষ্ঠান শেষে বাড়িতে ফেরার পথে তিনি (মন্ত্রী) বুকে প্রচণ্ড ব্যথা অনুভব করেন। পরে রাত আড়াইটার দিকে অ্যাম্বুলেন্সে করে তাকে রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়া হয়। চিকিৎসকের পরামর্শে তাকে ঢাকায় নেওয়া হয়েছে।
বিজ্ঞাপন
রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের হৃদরোগ বিভাগের প্রধান অধ্যাপক ডা. শাকিল গফুরের তত্ত্বাবধানে সমাজকল্যাণমন্ত্রীকে পর্যবেক্ষণে রাখা হয়েছিল। এ ব্যাপারে অধ্যাপক শাকিল গফুর বলেন, মন্ত্রী মহোদয়ের শারীরিক অবস্থা এখন স্থিতিশীল আছে। তিনি বুকে ব্যথা অনুভব করেছিলেন। হাসপাতাল থেকে ছাড়পত্র দেওয়ার আগ (দুপুর ১২টা) পর্যন্ত তার বড় ধরনের কোনো সমস্যা ছিল না।
রংপুর মেডিকেল কলেজের অধ্যক্ষ অধ্যাপক ডা. বিমল রায় জানান, মন্ত্রী মহোদয় দীর্ঘ দিন ধরে হৃদরোগের সমস্যায় ভুগছিলেন। এছাড়া তার উচ্চমাত্রায় ডায়াবেটিস ছিল। তাকে হাসপাতালে আনা হলে বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকরা সঙ্গে সঙ্গে চিকিৎসা শুরু করেন। মন্ত্রীর শারীরিক অবস্থা বর্তমানে স্থিতিশীল রয়েছে। পারিবারিক সিদ্ধান্তে তাকে ঢাকায় নেওয়া হয়েছে।
এদিকে দুপুরে সমাজকল্যাণ মন্ত্রণালয়ের জনসংযোগ কর্মকর্তা মোহাম্মদ জাকির হোসাইন বলেন, ঈদ উদযাপনের জন্য ২৯ এপ্রিল ঢাকা থেকে লালমনিরহাটের বাড়িতে যান মন্ত্রী। এ সময় তিনি বিভিন্ন কর্মসূচিতে অংশ নেন। বিভিন্ন প্রোগ্রামে ছিলেন, বয়স্ক মানুষ, গরমে হয়তো এটা হয়েছে।
ফরহাদুজ্জামান ফারুক/আরএআর