কলেজছাত্রীকে ধর্ষণের পর হত্যা, ইচ্ছে ছিল বিসিএস ক্যাডার হওয়ার
জয়পুরহাটের পাঁচবিবিতে কলেজছাত্রীকে (২১) ধর্ষণের পর শ্বাসরোধ করে হত্যা করা হয়েছে বলে অভিযোগ উঠেছে। শনিবার (৭ মে) সকালে উপজেলার মাঝিনা গ্রামের নিজ বাড়িতে খাটের ওপর লাশটি দেখতে পান প্রতিবেশীরা। পরে তারা পুলিশকে খবর দেন। নিহত কলেজছাত্রী জয়পুরহাট সরকারি কলেজের অর্নাস প্রথম বর্ষের ছাত্রী ছিলেন।
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, গত বৃহস্পতিবার ওই কলেজছাত্রীর ভাই তার স্ত্রীকে নিয়ে শ্বশুরবাড়ি নওগাঁর বদলগাছী রনাহার গ্রামে বেড়াতে গিয়েছিলেন। এরপর থেকে কলেজছাত্রী বাড়িতে একা ছিলেন। শুক্রবার সকালে প্রতিবেশীদের সঙ্গে স্বপ্নপুরী পিকনিক স্পটে বেড়াতে গিয়েছিলেন। এরপর ওইদিন সন্ধ্যায় বাড়িতে ফিরে আসেন এবং রাতে বাড়িতে থাকতে তিনি তার প্রতিবেশী দুই ভাতিজিকে ডেকে আনেন। দুই ভাতিজির সঙ্গে শুক্রবার রাত সাড়ে ১০টা পর্যন্ত একই ঘরে ছিলেন। এরপর মুঠোফোনে কথা বলতে বলতে তিনি পাশের ঘরে যান।
দুই ভাতিজি এক ঘরে ঘুমিয়ে পড়ে। তারা শনিবার সকালে ঘুম থেকে উঠে দেখে বাইরে থেকে দরজা বন্ধ। বিকল্প দরজা দিয়ে বাইরে এসে ঘরের দরজা সিটকানি আটকানো দেখতে পায় এবং পাশে অবস্থায় কলেজছাত্রীকে পড়ে থাকতে দেখে চিৎকার দেয়। এরপর প্রতিবেশীরা লাশ দেখে থানায় খবর দেন। খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে আসেন।
দুপুরে ঘটনাস্থলে গিয়ে দেখা গেছে, থানা পুলিশ, পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগ (সিআইডি) ও গোয়েন্দা পুলিশের সদস্যরা বাড়িতে অবস্থান করছিলেন। কলেজছাত্রীর লাশ যে ঘরে রয়েছে সেটি তালা দেওয়া ছিল। পাশের ঘরে তার বড় বোন কান্নাকাটি করছিলেন।
তার বড় বোন বলেন, তার বোন বিসিএস ক্যাডার হওয়ার স্বপ্ন দেখত। এখন সেই স্বপ্ন অধরা থাকল। আমার বোন ধর্ষণের পর হত্যা করা হয়েছে। আমরা বিচার দাবি করছি।
এ বিষয়ে পাঁচবিবি সার্কেলের সিনিয়র সহকারী পুলিশ সুপার ইশতিয়াক আলম বলেন, শনিবার সকালে খবর পেয়ে আমরা ঘটনাস্থলে এসেছি। কলেজছাত্রীর মরদেহ খাটের ওপর পাওয়া গেছে। তাকে ধর্ষণের পর শ্বাসরোধ করে হত্যা করা হয়েছে বলে প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে।
চম্পক কুমার/এমএএস