কক্সবাজারে ফিরতি টিকিটের সংকট, ভোগান্তিতে পর্যটকরা
ঈদের ছুটি উদযাপনে সমুদ্র নগরী কক্সবাজারে এসেছিলেন কয়েক হাজার পর্যটক। তবে ভ্রমণ শেষে ফিরতি যাত্রায় বিড়ম্বনার শিকার এই ভ্রমণপিপাসুরা। কক্সবাজার থেকে ঢাকাগামী বাসের টিকিট না পেয়ে চরম ভোগান্তিতে পড়েছেন তারা।
পর্যটকরা বাধ্য হয়ে প্রাইভেটকার ভাড়া করে যাত্রা করছেন ঢাকার উদ্দেশে। দলে দলে মানুষ কক্সবাজার কলাতলী থেকে বিভিন্ন রুটের ছোট গাড়ি নিয়ে ছুটছেন গন্তব্যে।
শুক্রবার (৬ মে) দুপুর থেকে রাত ৯টা পর্যন্ত কলাতলী বাস কাউন্টারে দেখা গেছে রাজধানীমুখী মানুষের উপচেপড়া ভিড়। কাউন্টারে টিকিট না পেয়ে বিকল্প গাড়ি খুঁজছেন পর্যটকরা।
দুপুর থেকে অপেক্ষার পর রাতের দিকে কেন্দ্রীয় বাস টার্মিনাল থেকে যাত্রীরা লোকাল বাসে উঠতে শুরু করেন। সেসব বাস যাত্রী নিয়ে অভ্যন্তরীণ সড়ক ধরে চট্টগ্রামের উদ্দেশে যাত্রা করে। লোকাল বাসে চট্টগ্রাম পর্যন্ত ভাড়া নেওয়া হচ্ছে ৬০০-৭০০ টাকা।
তামান্না নামে এক চাকরিজীবী বলেন, সবাইকে নিয়ে ঈদের ছুটি কাটাতে কক্সবাজার এসেছিলাম। এখন ঢাকায় ফিরতে হবে। বাস কাউন্টারে টিকিট না পেয়ে এখন ছোট গাড়ি খুঁজতে এসেছি। এখন দেখি ছোট গাড়ির ভাড়াও অনেক বেশি।
আরেক পর্যটক আশরাফ আলী বলেন, বাস টার্মিনালে এসেছি দুপুর ১টার দিকে। অনেকক্ষণ বসে থাকার পর মারছা পরিবহনের একটি বাসের টিকিট পেয়েছি। চট্টগ্রাম পর্যন্ত পৌঁছাতে পারলেই হয়, তারপর ঢাকা যাওয়াই যাবে।
কক্সবাজার-চট্টগ্রাম রুটের হানিফ পরিবহনের চালক মো. জুয়েল বলেন, ঢাকার যাত্রীদের চাপ থাকায় মালিক সমিতির অনুমতি নিয়ে আমরা চট্টগ্রামের যাত্রী নিচ্ছি। গাদাগাদি করে যাত্রী নিচ্ছি না, চট্টগ্রাম পর্যন্ত যে ভাড়া সেটাই নেওয়া হচ্ছে।
কক্সবাজার জেলা বাস মালিক গ্রুপের সদস্য এহসান বলেন, শুক্রবার সকাল থেকেই ঢাকামুখী যাত্রীদের চাপ বাস টার্মিনালে। যাত্রীসেবায় আমরা কাজ করছি। কোনো বাসেই অতিরিক্ত যাত্রী নিতে দেওয়া হচ্ছে না।
কক্সবাজার ট্রাফিক পুলিশের সুপার রাকিব রাজা জানান, কক্সবাজার কেন্দ্রীয় বাস টার্মিনাল এলাকায় যাত্রীদের নিরাপত্তায় পুলিশের একাধিক টিম কাজ করছে। পর্যটকদের কাছ থেকে যেন অতিরিক্ত ভাড়া না নেওয়া হয় সেদিকে আমার নজর রাখছি।
সাইদুল ফরহাদ/আইএসএইচ