ঢাকা-টাঙ্গাইল মহাসড়কে যানবাহনের চাপ, ৬ কিমি এলাকায় ধীরগতি
পবিত্র ঈদুল ফিতরের ছুটি শেষে কর্মস্থলে ফিরছে মানুষ। এতে শুক্রবার (৬ মে ) দুপুর থেকে ঢাকা-টাঙ্গাইল-বঙ্গবন্ধু সেতু মহাসড়কে যানবাহনের চাপ বেড়েছে। মহাসড়কের এলেঙ্গা বাসস্ট্যান্ড থেকে হাতিয়া পর্যন্ত ছয় কিলোমিটার সড়কে যানবাহনের ধীরগতি রয়েছে। বাড়তি ভাড়া নেওয়ার অভিযোগ করেছেন যাত্রীরা।
জানা গেছে, পরিবারে সঙ্গে ঈদ উদযাপন শেষে ঢাকায় ফিরতে শুরু করেছে কর্মজীবীরা। সকালের দিকে পরিবহন ও যাত্রীর চাপ না থাকলেও দুপুরে বৈরী আবহাওয়ার মধ্যে তা বেড়েছে। তবে অতিরিক্ত ভাড়ায়ও যানবাহন না পেয়ে দাঁড়িয়ে ঢাকার দিকে যাচ্ছে মানুষজন। এছাড়া খোলা ট্রাক, পিকআপ ও সিএনজিচালিত অটোরিকশাযোগেও যাচ্ছে। মহাসড়কে মোটরসাইকেল ও ব্যক্তিগত গাড়ির সংখ্যাও বৃদ্ধি পেয়েছে। এতে মহাসড়কের এলেঙ্গা বাসস্ট্যান্ড থেকে হাতিয়া পর্যন্ত ছয় কিলোমিটার এলাকায় যানবাহনের ধীরগতি রয়েছে। তবে যানজট এড়াতে মহাসড়কে পুলিশ কাজ করছে।
ঢাকায় ফেরা যাত্রীরা জানান, ঈদকে কেন্দ্র করে চালকরা বাড়তি ভাড়া আদায় করছে। তবুও পর্যাপ্ত গাড়ি পাওয়া যাচ্ছে না। ঠেলাঠেলি করে খোলা পিকআপে চড়ে গন্তব্যে যেতে হচ্ছে। তবে নারী যাত্রীরা ভোগান্তিতে পড়েছেন।
এলেঙ্গা হাইওয়ে হাইওয়ে পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ আতাউর রহমান বলেন, সকালে যানবাহন ও যাত্রীর চাপ না থাকলেও দুপুরের দিকে পর থেকে তা বেড়েছে। এলেঙ্গা থেকে হাতিয়া পর্যন্ত ঢাকাগামী যানবাহনের দীর্ঘ সারি ও ধীর গতি রয়েছে। তবে কোথাও যানজট নেই।
বঙ্গবন্ধু সেতুপূর্ব থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শফিকুল ইসলাম জানান, মহাসড়কের বঙ্গবন্ধু সেতুপূর্ব পাড়ে কোনো যানবাহনের চাপ বা ধীরগতি নেই। স্বাভাবিক সময়ের মতই যানবাহন চলাচল করছে। তবে এলেঙ্গার দিকে পরিবহনের চাপ রয়েছে।
অভিজিৎ ঘোষ/আরএআর