কক্সবাজার সৈকত থেকে ৫ শতাধিক রোহিঙ্গা আটক
আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর চোখ ফাঁকি দিয়ে কক্সবাজারের উখিয়া ক্যাম্প থেকে বের হয়ে হাজারো রোহিঙ্গা কক্সবাজার সমুদ্র সৈকতে ঘুরতে এসেছে। বুধবার (৪ মে) সমুদ্র সৈকতে অভিযান চালিয়ে পাঁচ শতাধিক রোহিঙ্গাকে আটক করেছে পুলিশ।
পুলিশ বলছে, আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর চোখ ফাঁকি দিয়ে মিনি ট্রাকে করে রোহিঙ্গা ক্যাম্প থেকে সরাসরি কক্সবাজার চলে এসেছে তারা।
ঢাকা থেকে কক্সবাজার বেড়াতে আসা মোহাম্মদ নূর বলেন, বিচের পাশে ছোট ছোট মিনি ট্রাকে সাউন্ড বক্সসহ অসংখ্য মানুষ দেখা যাচ্ছে। তাদের সঙ্গে কথা বলে জানতে পারি তারা সবাই রোহিঙ্গা।
সরেজমিনে দেখা যায়, সৈকতের কলাতলী পয়েন্ট, সুগন্ধা পয়েন্ট ও লাবণী পয়েন্টে রোহিঙ্গাদের বিচরণ রয়েছে। মিনি ট্রাক করে এদিক ওদিক ঘুরাঘুরি করছে তারা। পুলিশ অভিযান পরিচলনা করলে রোহিঙ্গারা গাড়ি থেকে নেমে বিচ দিয়ে পালিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করে। পুলিশ তাদের ধাওয়া করে আটক করে।
কক্সবাজার নাগরিক আন্দোলনের সদস্য সচিব এইচ এম নজরুল ইসলাম বলেন, একের পর এক রোহিঙ্গারা দল বেঁধে ক্যাম্প থেকে বের হচ্ছে- এটা সত্যিই স্থানীয়দের জন্য উদ্বেগের বিষয়। রোহিঙ্গারা ক্যাম্প থেকে বের হয়ে যাওয়ার কারণে একদিকে যেমন স্থানীয়রা শ্রমবাজার হারাচ্ছে, তেমনি পর্যটন শহরজুড়ে বাড়ছে অপরাধ। রোহিঙ্গা ক্যাম্পের দায়িত্বরত এপিবিএনসহ অন্যরা এই দায় এড়াতে পারেন না।
তিনি আরও বলেন, মূলত এপিবিএনের গাফিলতির কারণে রোহিঙ্গারা ক্যাম্প ছাড়ার সুযোগ পাচ্ছে। কার্যকর ভূমিকা নিতে তারা ব্যর্থ হচ্ছে বার বার। এভাবে চলতে থাকলে কক্সবাজার জেলাটি রোহিঙ্গাদের অভয়ারণ্য হয়ে উঠবে।
আজকে সমুদ্র সৈকত থেকে পাঁচ শতাধিক রোহিঙ্গাকে আটক করছে পুলিশ। রোহিঙ্গাদের কারণে সমুদ্র সৈকতে কোনো পর্যটক যদি ছিনতাই কিংবা কোনো সন্ত্রাসী হামলার শিকার হতো, তাহলে সারাদেশে কক্সবাজারের দুর্নাম হতো। দ্রুত সময়ের মধ্যে এই রোহিঙ্গা সমস্যা থেকে মুক্ত হতে না পারলে পর্যটনশিল্পে বিরূপ প্রভাব পড়বে।
কক্সবাজারের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার রফিকুল ইসলাম জানান, ক্যাম্পের দায়িত্বরত আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর চোখ ফাঁকি দিয়ে তারা সমুদ্র সৈকতে চলে আসে। গোপন সংবাদের ভিত্তিতে তাদেরকে আটক করা হয়। রোহিঙ্গাদের কারণে যাতে পর্যটকদের সমস্যা না হয় সেজন্য অভিযান অব্যাহত থাকবে।
সাইদুল ফরহাদ/আরএআর