পুলিশের হস্তক্ষেপে মাদ্রাসার সামনে সেই মহিষের খোয়াড় অপসারণ
পুলিশের হস্তক্ষেপে মাদ্রাসার সামনে মহিষের খোয়াড় অপসারণ করা হয়েছে। সম্প্রতি এ বিষয়ে ঢাকা পোস্টসহ একাধিক গণমাধ্যমে সংবাদ প্রকাশের পর বিষয়টি পুলিশ প্রশাসনের নজরে আসে। পরে বৃহস্পতিবার (৭ এপ্রিল) সকালে ভোলা পুলিশ সুপার সাইফুল ইসলামের নির্দেশে তজুমদ্দিন থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) এস এম জিয়াউল হক নিজে উপস্থিত থেকে মাদ্রাসা প্রাঙ্গন থেকে মহিষের খোয়াড় অপসারণ করেন।
তজুমদ্দিন থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) এস এম জিয়াউল হক ঘটনার সততা নিশ্চিত করে বলেন, প্রতিষ্ঠানের সামনে এমন অবস্থা যা সত্যিই শিক্ষার পরিবেশ বিঘ্নিত করছে। বিষয়টি জেলা পুলিশ সুপার মহোদয়ের নির্দেশে শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের সামনে থেকে মহিষের খোয়াড়টি আমরা অপসারণ করি।
তিনি আরও বলেন, মহিষ ও জমির মালিক নুরুল হক খোয়াড় অসারণের ব্যাপারে সময় ক্ষেপণের চেষ্টা করলে পুলিশ স্থানীয় শ্রমিকদের সহায়তায় তা উচ্ছেদ করে দেওয়া হয়েছে বলে জানান তিনি।
জানা যায়, গত বুধবার উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তার কার্যালয় হতে একাডেমিক সুপারভাইজার মো. রাসেদুল হাসান ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে বিষয়টি ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের নিকট প্রতিবেদন জমা দেন। এ বিষয়ে ঘটনাস্থল পরিদর্শন করা হয়েছে। কর্তৃপক্ষের কাছে প্রতিবেদন পাঠানো হয়েছে। তারা প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করবেন।
প্রসঙ্গত, ভোলার তজুমদ্দিন উপজেলার খোশনদী দাখিল মাদ্রাসা মাঠের এক অংশে মহিষের খোয়াড় গড়ে ওঠায় দুর্গন্ধে অতিষ্ট হয়ে পড়ে শিক্ষক-শিক্ষার্থীরা। এই দুর্গন্ধে বহুদিন ধরেই শ্রেণিকক্ষে অনেক শিক্ষার্থী উপস্থিত না থাকার অভিযোগ রয়েছে।
মাদ্রাসার ভবনের সামনের ৮ শতাংশ জমির মালিক স্থানীয় মো. নুরুল হক। তিনি এই জমিতেই ৮ থেকে ১০টি মহিষ দিয়ে গড়ে তুলেছেন মহিষের খামার। প্রতিদিন এসব মহিষের মলমূত্র ও আবর্জনার পচা দুর্গন্ধ ছড়ায়। এতে মাদ্রাসার শিক্ষক, শিক্ষার্থী ও আশপাশের বসতি মানুষজন ভোগান্তির শিকার হতে হচ্ছে।
অভিযোগ রয়েছে, এমন পরিবেশের কারণে প্রতিষ্ঠানে এ বছর কোনো নতুন শিক্ষার্থী ভর্তি হয়নি। অনেক শিক্ষার্থী অন্যত্র চলেও গেছে। এ বিষয়ে মহিষের মালিককে মাঠ থেকে মহিষ অপসারণের জন্য একাধিকবার বলার পরও স্থানান্তর না করায় দুর্ভোগ পোহাচ্ছে শিক্ষক ও শিক্ষার্থীরা।
ইমতিয়াজুর রহমান/আরআই