মসজিদের ইমামের ছেলে মেডিকেল ভর্তি পরীক্ষায় দ্বিতীয়
সরকারি-বেসরকারি মেডিকেল কলেজে ২০২১-২২ শিক্ষাবর্ষের এমবিবিএস প্রথম বর্ষের ভর্তি পরীক্ষার দ্বিতীয় সর্বোচ্চ নম্বর পেয়ে সারা দেশে দ্বিতীয় স্থান অর্জন করেছেন চাঁপাইনবাবগঞ্জের আব্দুল্লাহ। তিনি ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তির সুযোগ পেয়েছেন।
আব্দুল্লাহর বাড়ি চাঁপাইনবাবগঞ্জ জেলা শহরের রাজারামপুর ব্যাঙডুবিপাড়া মহল্লায়। তার বাবা নামোশংকরবাটি ভবানীপুর জামে মসজিদের ইমাম ও খতিব মো. মইদুল ইসলাম (৪৮)।
মঙ্গলবার (০৫ এপ্রিল) প্রকাশিত ফলাফলে আব্দুল্লাহ লিখিত পরীক্ষায় ৯১ দশমিক ৫ নম্বর পেয়েছেন। সব মিলিয়ে তার মোট প্রাপ্ত নম্বর ২৯১ দশমিক ৫। তার থেকে ১ নম্বর বেশি পেয়ে সারা দেশে প্রথম স্থান অর্জন করেছেন খুলনার সুমাইয়া মোসলেম মীম। আব্দুল্লাহ রাজশাহীর মডেল স্কুল এ্যান্ড কলেজ কেন্দ্রে ভর্তি পরীক্ষায় অংশ নেয়।
আব্দুল্লাহ, তার বাবা ও পরিবার সূত্রে জানা যায়, রাজশাহীর তিনটি কোচিং সেন্টারে মডেল টেস্ট ও সহযোগিতা নিয়ে মেডিকেল পরীক্ষায় অংশ নেয় আব্দুল্লাহ। সে ২০২১ সালে দেশ সেরা রাজশাহী কলেজ থেকে উচ্চ মাধ্যমিক (এইচএসসি) পাস করেছে। ২০১৯ সালে চাঁপাইনবাবগঞ্জের শতবর্ষের ঐতিহ্যবাহী হরিমোহন সরকারি উচ্চ বিদ্যালয় থেকে মাধ্যমিক (এসএসসি) পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হয়। এছাড়া চাঁপাইনবাবগঞ্জ মডেল স্কুল থেকে পিএসসি পাস করেন।
২০১৭ সালে হরিমোহন সরকারি উচ্চ বিদ্যালয়ের অষ্টম শ্রেণিতে পড়া অবস্থায় হামদ ও নাত প্রতিযোগিতায় সারা দেশে প্রথম স্থান অধিকার করেন আব্দুল্লাহ। সে সময় বঙ্গবন্ধু আর্ন্তজাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার হাত থেকে পুরস্কার গ্রহণ করেন। এইচএসসি পরীক্ষায় সাধারণ ও এসএসসি, জেএসসি ও পিএসসি পরীক্ষায় ট্যালেন্টপুলে বৃত্তি পেয়েছেন ইমামপুত্র আব্দুল্লাহ।
আব্দুল্লাহর বাবা গত ১৫ বছর ধরে ইমামতি করেন নামোশংকরবাটি ভবানীপুর জামে মসজিদে। বাবা-মায়ের একমাত্র সন্তান আব্দুল্লাহ। তার সাফল্যে বাড়িতে এসে ও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে উচ্ছ্বাস ও অভিনন্দন প্রকাশ করছেন স্থানীয় বাসিন্দা, বন্ধু-বান্ধব, পরিবার ও শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের শিক্ষকরা।
জানা যায়, মেডিকেল ভর্তি পরীক্ষায় অংশ নিতে রাজশাহীর মেডিকো, রেটিনা, উন্মেষ কোচিং সেন্টারে মডেল টেস্ট দেয় আব্দুল্লাহ।
প্রসঙ্গত, এবারের মেডিকেল ভর্তি পরীক্ষায় পাস করেছেন ৭৯ হাজার ৩৩৯ জন শিক্ষার্থী। পাসের হার ৫৫ দশমিক ১৩ শতাংশ। ফলাফল অনুযায়ী সরকারি কলেজে ১ হাজার ৮৮৫ জন ছাত্র এবং ২ হাজার ৩৪৫ জন ছাত্রী ভর্তি হতে পারবেন।
জাহাঙ্গীর আলম/এসপি