ব্যবহার করা যাচ্ছে না ৩ লাখ টাকার সেতু
সুনামগঞ্জের মধ্যনগর উপজেলার চারমদানী ইউনিয়নের নন্দীপাড়া ও কামারগাঁও দুই গ্রামের মাঝে সেতুর সংযোগ সড়ক না থাকায় দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে মানুষকে। ২০১৫ সালে করা এই সেতুর অ্যাপ্রোচ না থাকায় কোনো কাজেই আসছে না দুই গ্রামবাসীর। ফলে সরকারি টাকা খরচ হলেও দুর্ভোগ রয়ে গেছে আগের মতো।
স্থানীয়রা অভিযোগ করেছেন, দুই দফায় সংযোগ সড়কের জন্য প্রায় ৩ লাখ ৭০ হাজার টাকা এলেও কোনো কাজ হয়নি। এ নিয়ে ২২ ফেব্রুয়ারি জেলা প্রশাসক মো. জাহাঙ্গীর হোসেনের কাছে লিখিত অভিযোগ করেছেন গ্রামবাসী।
লিখিত অভিযোগে উল্লেখ করা হয়, নন্দীপাড়া গ্রামে প্রাথমিক বিদ্যালয় না থাকায় বিশেষ করে বর্ষাকালে শিক্ষার্থীদের কামারগাঁও সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে ঝুঁকি নিয়ে স্কুলে যাতায়াত করতে হয়। বৈশাখ মাসে ফসল তোলার জন্য যোগাযোগের প্রয়োজন বিবেচনা করে দুই গ্রামের মাঝে ২০১৫ সালে একটি সেতু নির্মাণ করা হয়। এটি নির্মাণ করা হলেও উভয় পাশে সংযোগ সড়ক নির্মাণ করা হয়নি। এ কারণে শুরু থেকেই সেতুটি ব্যবহার করা যাচ্ছে না।
গত অর্থবছরে উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন অফিস থেকে অতিদরিদ্রের জন্য কর্মসংস্থান কর্মসূচির আওতায় সেতুর উভয় দিকে সংযোগ সড়ক নির্মাণের জন্য দুই লাখ টাকা বরাদ্দ দেওয়া হয়। প্রকল্পের সভাপতি ছিলেন জীবন কৃষ্ণ তালুকদার। যার একটি টাকাও খরচ করা হয়নি। পরবর্তীতে বর্তমান অর্থবছরেও একই কাজের জন্য ১ লাখ ৭০ হাজার টাকা টিআর বাবদ দেওয়া হয়, যা বাস্তবায়িত হয়নি।
নন্দীপাড়া গ্রামের বাসিন্দা কুমেদ তালুকদার বললেন, সেতুর দুপাশে কোনো মাটি পড়েনি। ফলে সেতু থাকলেও তা ব্যবহার করা যাচ্ছে না। বর্ষাকালে শিক্ষার্থীরা বিদ্যালয়ে যেতে পারে না।
কামারগাঁওয়ের বাসিন্দা পিন্টু তালুকদার বললেন, দীর্ঘদিন ধরে আমাদের এই সমস্যা। এলাকার মানুষের দুর্ভোগ কমাতে ব্রিজটি করা হয়। কিন্তু ব্রিজের কোনো সুফল আমরা পাচ্ছি না।
ধর্মপাশা উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা (পিআইও) প্রজেশ চন্দ্র দাস বলেন, অতিদরিদ্রদের জন্য কর্মসংস্থান কর্মসূচির আওতায় ২০২০-২১ অর্থবছরে সেতুর দুই পাশে মাটি ভরাটের জন্য দুই লাখ টাকা দেওয়া হয়। প্রকল্প বাস্তবায়ন কমিটি কোনো কাজ না করায় কোনো বিল দেওয়া হয়নি তখন।
তিনি আরও বলেন, এবার ১ লাখ ৭০ হাজার টাকার কাজ মাটি ভরাটের জন্য শুরু হয়েছে। যারা কাজ করছেন, তাদের বিল দেওয়া হয়ে গেছে। কাজ শেষ হওয়ার পরে কোনো ত্রুটি দেখলে দ্বিগুণ টাকা জরিমানা করা হবে।
সাইদুর রহমান আসাদ/এনএ