লঞ্চ থেকে মাঝ নদীতে ঝাঁপ দিল কিশোরী
ঢাকা থেকে ভোলা ও হাতিয়ার উদ্দেশে ছেড়ে আশা এম ভি ফারহান-৩ লঞ্চ থেকে মাঝ নদীতে ঝাঁপ দিয়ে আত্মহত্যার চেষ্টা করেছে কবিতা (১৬) নামে এক কিশোরী।
শনিবার (০২ এপ্রিল) রাত সাড়ে ১০টার দিকে ভোলা-বরিশাল সীমানা মধ্যবর্তী কালীগঞ্জ লঞ্চঘাট এলাকার মেঘনা নদীতে এ ঘটনা ঘটে। তাৎক্ষণিক এ ঘটনার একটি ভিডিও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে ছড়িয়ে পড়ে।
ওই কিশোরী লক্ষ্মীপুর জেলার রামগতি উপজেলার জনতা বাজার দেবিয়ার চর এলাকার বাসিন্দা বলে জানা গেছে।
লঞ্চের স্টাফ মো. জসিম জানান, শনিবার বিকেল সাড়ে ৫টায় এম ভি ফারহান-৩ লঞ্চে করে ওই কিশোরী ঢাকার সদরঘাট থেকে ভোলার তজুমদ্দিনের উদ্দেশে রওনা দেয়। রাত ১০টার দিকে ভোলা-বরিশাল সীমানা মধ্যবর্তী কালীগঞ্জ মেঘনা নদীতে ফোনে কথা বলার এক পর্যায়ে নদীতে ঝাঁপ দিয়ে আত্মহত্যার চেষ্টা করে। তাকে উদ্ধারের জন্য মাঝ নদীতে লঞ্চ থামিয়ে উদ্ধারের চেষ্টা করি। পরে নদীতে থাকা জেলেদের সহযোগিতায় কিশোরীকে উদ্ধার করা হয়। ওই কিশোরী অসুস্থ হয়ে পড়ায় তাকে প্রাথমিক চিকিৎসা দিয়ে তজুমদ্দিন থানা পুলিশের হেফাজতে রাখা হয়েছে।
তজুমদ্দিন থানার উপপরিদর্শক (এসআই) মো. মনিরুজ্জামান জানান, শনিবার রাতে এম ভি ফারহান-৩ লঞ্চ থেকে মাঝ নদীতে ঝাঁপ দিয়ে আত্মহত্যার চেষ্টা করে এক কিশোরী। তাকে উদ্ধার করে থানা পুলিশের কাছে হস্তান্তর করেছে লঞ্চ কতৃপক্ষ।
ওই কিশোরী জানায়, বাবা-মায়ের বিবাহবিচ্ছেদের পর তার মা আবার বিয়ে করেন। কবিতা তার মায়ের সঙ্গে থাকতেন। মা বিয়ের কিছুদিন পর থেকে তাকে নানাভাবে নির্যাতন করে আসছে। নির্যাতন সহ্য করতে না পেরে একা ঢাকা চলে যান চাকরির জন্য। কিন্তু ঢাকায় কোনো চাকরি না পেয়ে বাড়ি ফেরার পথে আত্মহত্যার উদ্দেশ্যে লঞ্চ থেকে ঝাঁপ দেয়।
তজুমদ্দিন থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) এস এম জিয়াউল হক জানান, লঞ্চ থেকে ঝাঁপ দিয়ে আত্মহত্যার চেষ্টা করা কিশোরী পারিবারিক অশান্তির কারণে মানসিকভাবে বিপদগ্রস্ত। তার সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, বছর খানেক আগে কর্ণফুলী লঞ্চ থেকে নদীতে ঝাঁপ দিয়ে আত্মহত্যার চেষ্টা করেছে।
তিনি আরও জানান, তার মানসিক ভারসাম্যহীনতা ও পরিবারের কোনো সন্ধান না পাওয়ায় উপজেলা সমাজসেবা অধিদপ্তরের কাছে হস্তান্তর করার চেষ্টা চলছে।
ইমতিয়াজুর রহমান/এসপি