স্বামীর সন্ধান পেতে রাস্তায় ঘুরছেন গৃহবধূ
নিখোঁজ স্বামীকে ফিরে পেতে রাস্তায় রাস্তায় ঘুরছেন এক গৃহবধূ। নিখোঁজের ঘটনায় থানায় সাধারণ ডায়েরি (জিডি) করার ছয় দিন পেরোলেও কোনো সন্ধান দিতে পারেনি পুলিশ। স্বামী নিখোঁজ হওয়ায় শ্বশুরবাড়ির রোষানলে পড়েছেন এই গৃহবধূকে।
নিখোঁজ আমিনুল ইসলাম (৩০) সদর উপজেলার বুড়িরচর ইউনিয়নের নুরুল ইসলাম মাস্টারের ছেলে। গত ২৮ ফেব্রুয়ারি বরগুনা পৌরসভার ধানসিঁড়ি এলাকা থেকে নিখোঁজ হন।
জানা যায়, শরীফ মেলামাইনে জোনাল ম্যানেজার হিসেবে কাজ করতেন আমিনুল ইসলাম। অসুস্থতার কারণে গত বছরের ডিসেম্বরে চাকরি থেকে চলে আসেন তিনি। এরপর স্ত্রী নাজমা বেগমের (২৫) সঙ্গে পৌর শহরের ধানসিঁড়ি এলাকার একটি ভাড়া বাসায় থাকতেন।
গত ২৮ ফেব্রুয়ারি সকালে সংসারের বাজার করতে বের হয়ে আর ফিরে আসেনি আমিনুল। তিনি জমি কেনার জন্য ঘরে রাখা ৮০ হাজার টাকা নিয়ে বের হয়েছিলেন। পরে স্বামী বাসায় না ফেরায় আত্মীয়স্বজনদের কাছে খোঁজ নেন নাজমা। কিন্তু কোথাও আমিনুলের সন্ধান পাননি। একই দিন বিকেলে বরগুনা সদর থানায় একটি সাধারণ ডায়েরি করেন তিনি। কিন্তু পেরিয়ে গেছে নিখোঁজের ছয় দিন।
এদিকে নিখোঁজ স্বামীকে ফিরে পেতে রাস্তায় রাস্তায় ঘুরছেন গৃহবধূ নাজমা বেগম। পরিচিত সব জায়গায় এবং হাসপাতালে খোঁজাখুঁজি করেও সন্ধান পাননি স্বামীর।
এ বিষয়ে নাজমা বেগম বলেন, আমি জমি কেনার জন্য টাকা জমিয়েছিলাম। আমার স্বামী ওই টাকার কথা জানত। সে নিখোঁজ হওয়ার পর থেকে আমার টাকাগুলোও পাচ্ছি না। কয়েকবার পুলিশের দ্বারস্থ হয়েও স্বামীর কোনো সন্ধান পাচ্ছি না। রাস্তায় রাস্তায় ঘুরছি, আর থানার সামনে বসে থাকি। কী করব উপায় দেখছি না।
ওই গৃহবধূ আরও বলেন, স্বামী নিখোঁজ হওয়ায় আমাকে বিভিন্নভাবে চাপ দিচ্ছে শ্বশুরবাড়ির লোকজন। তারা বলছে, আমি নাকি স্বামীকে খুন মেরে লুকিয়ে রেখেছি। আমি এমন অপবাদ থেকে মুক্তি চাই এবং আমার স্বামীর সন্ধান চাই।
বরগুনা সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আলী আহম্মদ বলেন, নিখোঁজের ঘটনায় গৃহবধূ থানায় জিডি করেছেন। বিষয়টি আমরা গুরুত্বের সঙ্গে দেখছি। নিখোঁজ আমিনুলের সন্ধান পেতে পুলিশ মাঠে কাজ করছে।
এনএ