ঋণগ্রহীতার কিশোরী মেয়েকে বিয়ে করলেন এনজিও মালিক
টাঙ্গাইলে ঋণের টাকা না পেয়ে ঋণগ্রহীতার ১৩ বছর বয়সী মেয়েকে বিয়ে করেছেন ৫৫ বছর বয়সী সিরাজুল ইসলাম সিরাজ নামে এক এনজিও মালিক। শুক্রবার (২৬ ফেব্রুয়ারি) সদর উপজেলার কাকুয়া ইউনিয়নের রাঙাচিরা এলাকার ইউসুফের মেয়েকে বিয়ে করেন একই উপজেলার দাইন্ন্যা ইউনিয়নের চিলাবাড়ি গ্রামের মৃত ফজলু মিয়ার ছেলে সিরাজ।
তিনি ওই এলাকায় ক্লাব ভিত্তিক একটি এনজিও পরিচালনা করেন। সিরাজের বিয়ে রেজিস্ট্রি করেন স্থানীয় নিকাহ রেজিস্টার কাজী আমিরুল ইসলাম।
এ বিষয়ে সিরাজ বলেন, আমার স্ত্রী প্রায় দশ বছর ধরে অসুস্থ হয়ে বিছানায় পড়ে আছে। এ ছাড়া আমার মাও অসুস্থ। তাদের দেখভালের জন্য একজন লোক প্রয়োজন হওয়ায় গরীব ঘরের এক মেয়েকে বিয়ে করেছি। যদিও মেয়েটির বয়স একটু কম। সুদ ও ঋণের টাকার জন্য এ বিয়ে করিনি। এ ছাড়া বিয়ে দুইপক্ষের সম্মতিতে পারিবারিকভাবেই হয়েছে।
স্থানীয় ইউপি সদস্য সোলাইমান মণ্ডল বলেন, আমি ঘটনাটি পরে জানতে পেরেছি। তাৎক্ষণিক বিষয়টি জানলে এমন ঘটনা ঘটতে দিতাম না। মেয়ের মা জানিয়েছেন, অভাব-অনটনের কারণেই সিরাজের কাছে বিয়ে দিয়েছে তার মেয়েকে। তাদের ঘরে চার মেয়ে সন্তান রয়েছে।
কাকুয়া ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আতাউর রহমান জিন্নাহ বলেন, বয়স্ক লোকের সাথে নাবালিকার বিয়ের ঘটনা সত্য। ওই মেয়ের বাবা খুবই দরিদ্র এবং যিনি বিয়ে করেছেন তার স্ত্রী অসুস্থ থাকায় ওই মেয়েকে বিয়ে করেছেন।
টাঙ্গাইল সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা রানুয়ারা খাতুন বলেন, ঘটনাটি জানা নেই। খোঁজ নিয়ে প্রয়োজনীয় আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
অভিজিৎ ঘোষ/আরআই