অধ্যাপক ড. তাজমেরী ইসলামের নিঃশর্ত মুক্তি দাবি ঢাবি সাদা দলের
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় (ঢাবি) রসায়ন বিভাগের সাবেক ডিন ও বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. তাজমেরী এস ইসলামের নিঃশর্ত মুক্তি দাবি করেছে বিশ্ববিদ্যালয়ের বিএনপিপন্থি শিক্ষকদের সংগঠন সাদা দল।
শুক্রবার (১৪ জানুয়ারি) সাদা দলের আহ্বায়ক অধ্যাপক ড. লুৎফর রহমান স্বাক্ষরিত এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ দাবি জানায় সংগঠনটি। একইসঙ্গে এ ঘটনাকে মানবাধিকারের পরিপন্থি এবং সরকারের রাজনৈতিক প্রতিহিংসার বহিঃপ্রকাশ বলেও উল্লেখ করেন তারা।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, অধ্যাপক ড. তাজমেরী ইসলাম শুধু ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের একজন খ্যাতিমান ও সফল শিক্ষকই ছিলেন না, তিনি ছিলেন অত্যন্ত জনপ্রিয় একজন শিক্ষক নেতা। তিনি একজন রসায়নবিদ হিসেবে কেবল দেশে নয়, আন্তর্জাতিক পরিমণ্ডলেও সমানভাবে সুপরিচিত। তিনি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের রসায়ন বিভাগের চেয়ারম্যান, বিজ্ঞান অনুষদের একাধিক মেয়াদে নির্বাচিত ডিন, রোকেয়া হলের প্রভোস্ট, শিক্ষক সমিতির সভাপতি এবং সিনেট ও সিন্ডিকেট সদস্য হিসেবেও সাফল্যের সঙ্গে দায়িত্বপালন করেছেন।
এতে আরও বলা হয়, এমন একজন কৃতি শিক্ষাবিদকে মিথ্যা, বানোয়াট ও হয়রানিমূলক মামলায় গ্রেফতার এবং জামিন বাতিল করে কারান্তরীণ করার ঘটনাকে আমরা সরকারের রাজনৈতিক প্রতিহিংসার বহিঃপ্রকাশ বলে মনে করি। রাজনৈতিক ভিন্নমত দমন এবং বিএনপিকে ধ্বংস করে নিজেদের রাজনৈতিক একাধিপত্য বজায় রাখার জন্য সরকার যে ঘৃণ্য পন্থা অবলম্বন করছে অধ্যাপক তাজমেরী ইসলামের কারান্তরীণের ঘটনা এরই অংশ বলে আমাদের ধারণা। অধ্যাপক তাজমেরী এস ইসলাম কেবল একজন শিক্ষাবিদ নন, তিনি একজন নারী ও জ্যেষ্ঠ নাগরিক। মিথ্যা মামলায় তাকে গ্রেফতার করে কারাগারে প্রেরণের ঘটনাকে আমরা মানবাধিকারের পরিপন্থি বলেও মনে করি।
নিঃশর্ত মুক্তির দাবি জানিয়ে বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, অধ্যাপক ড. তাজমেরী ইসলামের প্রতি সরকারের এ নির্মম আচরণে আমরা শিক্ষক সমাজ ক্ষুব্ধ ও মর্মাহত। অবিলম্বে এ মিথ্যা মামলা প্রত্যাহার করে অধ্যাপক তাজমেরী ইসলামকে নিঃশর্ত মুক্তি দানের জন্য আমরা সরকারের কাছে জোর দাবি জানাচ্ছি। অন্যথায় তাকে মুক্ত করতে শিক্ষক ও পেশাজীবী সমাজ জোর আন্দোলনে বাধ্য হবে।
বৃহস্পতিবার (১৩ জানুয়ারি) সকালে রাজধানীর উত্তরার বাসা থেকে অধ্যাপক ড. তাজমেরী এস ইসলামকে আটক করে পুলিশ। পরে বিকেলে পুরনো একটি নাশকতার মামলায় গ্রেফতার দেখিয়ে তাকে আদালতে তোলে পুলিশ। আদালত তার জামিন নামঞ্জুর করে কাশিমপুর কারাগারে পাঠান। একই মামলার প্রধান আসামি বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া।
এইচআর/এসএসএইচ