আবরার হত্যার রায়ে খুশি বুয়েট শিক্ষার্থীরা, দ্রুত কার্যকরের দাবি
দুই বছর তিন মাস পর বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বুয়েট) ছাত্র আবরার ফাহাদ হত্যাকাণ্ডে জড়িত ২৫ আসামির মধ্যে ২০ জনকে মৃত্যুদণ্ড ও ৫ জনকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছে।
বুধবার (৮ ডিসেম্বর) দুপুরে ঢাকা দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনাল-১ এর বিচারক আবু জাফর মো. কামরুজ্জামান। এই রায়ে সন্তোষ প্রকাশ করেছেন বুয়েটের শিক্ষার্থীরা।
রায়ের বিষয়ে বুয়েট শিক্ষার্থীরা জানান, আদালতের এই রায়ে তারা সন্তুষ্ট। এর মাধ্যমে আবরার ও তার পরিবার বিচার পেয়েছে। অতি দ্রুত রায় কার্যকরের দাবি জানান তারা।
রায়ের পরিপ্রেক্ষিতে তাদের কোনো কর্মসূচি আছে কি না- জানতে চাইলে জানান, দুপুর ২টায় বুয়েট শহীদ মিনারের সামনে শিক্ষার্থীরা জড়ো হবেন। সেখান থেকে প্রেস রিলিজের মাধ্যমে পরবর্তী কর্মসূচি জানানো হবে।
রায় ঘোষণার বিষয়ে বুয়েট শিক্ষার্থীদের একটি ফেসবুক পেজে পোস্ট করা হলে সেখানেও শিক্ষার্থীদের সন্তোষ প্রকাশ করতে দেখা যায়। শিক্ষার্থীরা দ্রুত সময়ের মধ্যে রায় কার্যকরের দাবি জানান।
উল্লেখ্য, ২০১৯ সালের ৬ অক্টোবর রাতে আবরারকে তার কক্ষ থেকে ডেকে নিয়ে যান বুয়েট শাখা ছাত্রলীগের কয়েকজন নেতাকর্মী। তারা ২০১১ নম্বর কক্ষে নিয়ে আবরারকে পিটিয়ে হত্যা করেন। রাত ৩টার দিকে শেরে বাংলা হলের সিঁড়ি থেকে তার মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ।
এ ঘটনায় ওই বছরের ৭ অক্টোবর রাজধানীর চকবাজার থানায় আবরারের বাবা বরকত উল্লাহ বাদী হয়ে ১৯ জনকে আসামি করে হত্যা মামলা করেন। পুলিশ পরে ২২ জনকে গ্রেফতার করে। এর মধ্যে আটজন আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছেন। এদের সবাই বুয়েট ছাত্রলীগের নেতাকর্মী।
আবরার ফাহাদ বুয়েটের ইলেকট্রিক্যাল অ্যান্ড ইলেকট্রনিক ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের দ্বিতীয় বর্ষের শিক্ষার্থী ছিলেন। তিনি শেরে বাংলা হলের ১০১১ নম্বর কক্ষে থাকতেন।
এইচআর/ওএফ