কুয়েট শিক্ষকের মৃত্যু : জড়িতদের শাস্তি দাবি ছাত্র ফ্রন্টের
ছাত্রলীগ নেতাদের মানসিক অত্যাচারের শিকার হয়ে খুলনা প্রকৌশলী ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (কুয়েট) শিক্ষক ড. সেলিম হোসাইনের মৃত্যু হয়েছে বলে দাবি করেছে সমাজতান্ত্রিক ছাত্র ফ্রন্ট। এ ঘটনার সুষ্ঠু তদন্ত ও জড়িতদের শাস্তির দাবি জানিয়েছে সংগঠনটি।
শুক্রবার (৩ ডিসেম্বর) সমাজতান্ত্রিক ছাত্র ফ্রন্ট কেন্দ্রীয় কমিটির সভাপতি মাসুদ রানা ও সাধারণ সম্পাদক রাশেদ শাহরিয়ার যৌথ বিবৃতিতে বলেন, ছাত্রলীগের চাঁদাবাজ নেতাদের দ্বারা মানসিক অত্যাচারের শিকার হয়ে খুলনা প্রকৌশলী ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক ড. সেলিম হোসাইনের মৃত্যুতে তীব্র ক্ষোভ প্রকাশ করছি।
তারা আরও বলেন, ড. সেলিম হোসাইন ছিলেন লালন শাহ হলের প্রাধ্যক্ষ। হলের ডাইনিং ম্যানেজার নিয়োগে নিজের মনোনীত লোককে নিয়োগ দিতে দীর্ঘদিন ধরে তার ওপর চাপ প্রয়োগ করছিলেন ছাত্রলীগ বিশ্ববিদ্যালয় শাখার সাধারণ সম্পাদক সাদমান নাহিয়ান। গত ৩০ নভেম্বর ড. সেলিম যখন বাড়ি ফিরছিলেন তখন ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদকসহ ৪০-৪৫ জন নেতাকর্মী তার পথ রোধ করে। তাকে বিভাগীয় রুমে যেতে বাধ্য করা হয় এবং সেখানে মানসিক অত্যাচার করা হয়। এরপর বাসায় ফিরে স্ট্রোক করে মারা যান ড. সেলিম হোসাইন।
বিবৃতিতে নেতৃবৃন্দ বলেন, সাধারণ শিক্ষার্থী এবং শিক্ষকদের উপর ছাত্রলীগের হামলা ও শারীরিক-মানসিক নিপীড়নের ঘটনা নতুন কিছু নয়। এমন ঘটনা আগেও বহুবার ঘটেছে। ছাত্র রাজনীতির নামে সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড চালিয়ে আসা ছাত্রলীগের এমন ন্যক্কারজনক ঘটনাগুলোর বিচার প্রক্রিয়ার ইতিহাস পর্যবেক্ষণ করলে দেখব, আইনানুগ বিচার হচ্ছে না বা বিচার প্রক্রিয়া বিলম্বিত হচ্ছে। যেমন দীর্ঘদিন অতিক্রম করলেও বুয়েটের আবরার হত্যার রায় এখনোও হয়নি। বিচারহীনতার এ ব্যবস্থা রাষ্ট্র-সরকার চালু রেখেছে সন্ত্রাসীদের রক্ষার জন্যই।
বিবৃতিতে নেতৃবৃন্দ ঘটনার সঙ্গে জড়িতদের বিচারের দাবিতে গড়ে ওঠা ছাত্র-শিক্ষকদের আন্দোলনের প্রতি একাত্মতা ঘোষণা করেন এবং দোষীদের বিচার ও শাস্তির আওতায় আনার আহ্বান জানান।
এইচআর/এসকেডি