টেকসই উন্নয়ন ও সামাজিক কল্যাণে ব্র্যাক ইউনিভার্সিটির ওয়েবিনার
ব্র্যাক ইউনিভার্সিটির সেন্টার ফর পিস অ্যান্ড জাস্টিস (সিপিজে) এবং পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের উদ্যোগে ‘অ্যাডভান্সিং পিস থ্রু সাসটেইনেবল ডেভেলপমেন্ট অ্যান্ড সোশ্যাল ওয়েলবিয়িং’ শীর্ষক ওয়েবিনার অনুষ্ঠিত হয়েছে। জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মশতবার্ষিকী এবং বাংলাদেশের স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তী উপলক্ষে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় আয়োজিত বিশ্ব শান্তি কনফারেন্সের অংশ হিসেবে ওয়েবিনারটির আয়োজন করা হয়।
অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আব্দুল মোমেন। বিশেষ অতিথি ছিলেন ব্র্যাক ইউনিভার্সিটির ভাইস-চ্যান্সেলর প্রফেসর ভিনসেন্ট চ্যাং, পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সচিব সাব্বির আহমেদ চৌধুরী এবং ইউএন উইমেনের বাংলাদেশ প্রধান গীতাঞ্জলি সিং।
ওয়েবিনারে উদ্বোধনী বক্তব্য রাখেন সিপিজের এক্সিকিউটিভ ডিরেক্টর মনজুর হাসান। বিশ্ব শান্তি রক্ষায় সিপিজে ও বাংলাদেশ সর্বদা প্রস্তুত বলে জানান তিনি।
স্বাগত বক্তব্যে একটি আন্তর্জাতিক বিশ্ববিদ্যালয় হয়ে ওঠার পথে ব্র্যাক ইউনিভার্সিটির নানাবিধ অর্জন ও অনন্য সাধারণ দিকগুলো সম্পর্কে অবহিত করেন বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার ড. ডেভিড ড্যাউল্যান্ড।
অনুষ্ঠানে ‘শান্তি ও ন্যায়বিচার প্রতিষ্ঠায় বিশ্ববিদ্যালয়ের ভূমিকা : একুশ শতকের বাংলাদেশের জন্য শিক্ষা’ শীর্ষক মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন ব্র্যাক ইউনিভার্সিটির জেনারেল এডুকেশন অনুষদের ডিন এবং সিপিজের রিসার্চ ফেলো ড. সামিহা হক। অর্থনৈতিকভাবে টেকসই, শান্তিপূর্ণ ও বঙ্গবন্ধুর প্রগতিশীল সোনার বাংলা গড়তে শিক্ষার্থীদের সুনাগরিক হিসেবে গড়ে তোলার বিষয়ে মূল প্রবন্ধে গুরুত্বারোপ করা হয়।
বিশেষ অতিথির বক্তব্যে ব্র্যাক ইউনিভার্সিটির ভাইস-চ্যান্সেলর বলেন, ‘আমি বিশ্বাস করি সব আন্তর্জাতিক সম্পৃক্ততা, সহযোগিতা, ন্যায়বিচার ও বৈশ্বিক দৃষ্টিভঙ্গির মাধ্যমে শিক্ষার্থীদের শিক্ষিত করার মাধ্যমে ব্র্যাক ইউনিভার্সিটি স্থানীয় ও বৈশ্বিক শান্তির অগ্রগতিতে অবদান রাখছে। মানবতাকে চ্যাম্পিয়ন করার জন্য আমরা কাজ করে যাচ্ছি। আমি আরও বিশ্বাস করি যে ৫০ বছর আগে বঙ্গবন্ধু এটাই করতে চেয়েছিলেন।’
ইউএন উইমেন বাংলাদেশের হেড অব অফিস গীতাঞ্জলি সিং বলেন, ‘ব্র্যাক ইউনিভার্সিটির সিপিজে এবং ইউএন উইমেন ২০১৮ সাল থেকে ‘উইমেন পিস ক্যাফে’ উদ্যোগের মাধ্যমে শান্তি ও সামাজিক সংহতি প্রচারে একসঙ্গে কাজ করছে। এটি নারী শিক্ষার্থীদের জন্য একটি নিরাপদ মাধ্যম। যেখানে তারা পুরুষ শিক্ষার্থীদের সঙ্গে নিয়ে শান্তি প্রচার এবং লৈঙ্গিক সমতা এবং নারীর ক্ষমতায়নে কাজ করে চলছে।’
পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আব্দুল মোমেন বলেন, ‘কোভিড-১৯ আমাদের একটি শিক্ষা দিয়েছে যে সবাই নিরাপদ না হওয়া পর্যন্ত কেউ নিরাপদ নয়। বৈশ্বিক শান্তি স্থাপন, টেকসই উন্নয়ন এবং সহনশীলতা নিশ্চিত করতে আমাদের অবশ্যই যৌথ দায়িত্ব নিয়ে একসঙ্গে কাজ করতে হবে।’
তিনি আরও বলেন, ‘বাংলাদেশ জাতিসংঘের ‘শান্তির সংস্কৃতি’ রেজুলেশনের প্রস্তাব উত্থাপনকারী দেশ এবং টেকসই উন্নয়ন এবং মানুষের সামাজিক অন্তর্ভুক্তির মাধ্যমেই এই শান্তি অর্জিত হতে পারে।’
ওয়েবিনারে ইউএন উইমেন ও সিপিজে এর ‘পিস ক্যাফে’র সদস্যরা শান্তি ও সামাজিক সম্প্রীতির বিষয়ে তাদের মতামত ব্যক্ত করেন। এছাড়াও তারা বিভিন্ন সামাজিক, জাতীয় ও আন্তর্জাতিক প্রেক্ষাপটে বিশ্ব শান্তি এবং ন্যায়বিচারের অবদান বিষয়ে আলোকপাত করেন।
এ বিষয়ে পিস ক্যাফে থেকে প্রাপ্ত শিক্ষার কথাও তারা ওয়েবিনারে তুলে ধরেন। অনুষ্ঠানে নীতিনির্ধারক, শিক্ষাবিদ, গবেষক, উন্নয়ন সংস্থার কর্মীরা এবং তরুণ পিস ক্যাফে সদস্যরা উপস্থিত ছিলেন।
অনুষ্ঠানে সমাপনী বক্তব্য দেন পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের ডিরেক্টর জেনারেল ফর পাবলিক ডিপ্লোম্যাসি, হারুন আল রশিদ। ওয়েবিনারটি সঞ্চালনা করেন সিপিজে এর একাডেমিক অ্যান্ড লিগাল এমপাওয়ারমেন্টের ডিরেক্টর শাহরিয়ার সাদাত।
এমএইচএস