হাতি হত্যার প্রতিবাদে জাবিতে সমাবেশ ও পাপেট শো
দেশে হাতি হত্যার প্রতিবাদে জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ে (জাবি) সমাবেশ, মানববন্ধন ও পাপেট শো করেছে ডিপ ইকোলজি অ্যান্ড স্নেক রেসকিউ ফাউন্ডেশন। বুধবার (১৭ নভেম্বর) দুপুরে বিশ্ববিদ্যালয়ের শহীদ মিনার প্রাঙ্গণে এসব কর্মসূচির আয়োজন করে সংগঠনটি। এতে সংগঠনটির প্রায় অর্ধশত সদস্য উপস্থিত ছিলেন।
সমাবেশে বক্তারা দেশের যেসব এলাকায় হাতি আছে সেসব এলাকায় হাতির আবাস নিরাপদ করতে প্রশাসনকে উদ্যেগী হওয়ার আহ্বান জানান। পাশাপাশি হাতি হত্যার সঙ্গে জড়িতদেরকে কঠোর শাস্তির আওতায় আনার জোর দাবি জানান।
সমাবেশে ডিপ ইকোলজি অ্যান্ড স্নেক রেসকিউ ফাউন্ডেশনের সভাপতি মাহফুজুর রহমান বলেন, হাতি হত্যার প্রতিবাদ ও সচেতনতা সৃষ্টি করতেই আমাদের আজকের আয়োজন। হাতি হলো প্রকৃতির প্রাণ। অথচ সেই প্রাণকে হত্যা করা হচ্ছে নির্বিচারে। প্রতিনিয়ত দেশে অসংখ্য হাতি হত্যার শিকার হচ্ছে। বর্তমানে দেশে ২৫০টির মতো হাতি রয়েছে। তবে নিয়মিত যেভাবে হাতি হত্যা করা হচ্ছে তাতে শিগগিরই এই সংখ্যাটি শূন্যের কোঠায় নেমে আসবে। হাতি হত্যার সময় বলা হচ্ছে হাতি ফসল ধ্বংস করছে। কিন্তু এটা কেউ বলছে না যে হাতির আবাস দখল করে মানুষ জনবসতি গড়ে তুলছে, ফসল আবাদ করছে। বন বিভাগের উচিত হাতি রক্ষায় কঠোর নিরাপত্তা বলয় সৃষ্টি করার পাশাপাশি নিরাপদ বাসস্থান নিশ্চিত করা। মানব সমাজ যেন হাতিদের লোকালয়ে না চলে যায় সেদিকে লক্ষ্য রাখা উচিত।
প্রতিবাদ সমাবেশে কাকতাড়ুয়া পাপেট থিয়েটার সচেতনামূলক একটি পাপেট প্রদর্শন করে। প্রদর্শনীতে হাতি রক্ষায় এগিয়ে আসা ও হাতির প্রতি সহানুভূতিশীল হতে আহ্বান জানানো হয়। আসাদুজ্জামান আশিকের নেতৃত্বে পাপেট প্রদর্শনীতে অংশগ্রহণ করেন তানভির তারেক, সোহানা তানজিম, জারিন তাসনিম তুলতুল ও নুসরাত জাহান শিল্পী।
বন্যপ্রাণী গবেষক ও আলোকচিত্রী আদনান আজাদ ঢাকা পোস্টকে বলেন, বনবিভাগ ও আইইউসিএনের হিসাব অনুযায়ী বাংলাদেশে হাতি মহাবিপন্ন তালিকায় আছে। সবমিলিয়ে দেশে মাত্র ২৬৮ টি এশীয় হাতি বাস করছে। আমদের জানা মতে গত ৯ নভেম্বর থেকে দেশের বিভিন্ন স্থানে ৫টি হাতি হত্যার ঘটনা ঘটেছে। এর মধ্যে শেরপুরে একটি হাতিকে গুলি করে হত্যা করা হয়েছে। বাকিগুলোকে বৈদ্যুতিক শক দিয়ে হত্যা করা হয়েছে। পাহাড়ি এলাকায় হাতিদের বসবাস, ফলে সব তথ্য আমাদের কাছে আসে না। আমরা আশঙ্কা করছি আরও হাতি হত্যার ঘটনা ঘটতে পারে। হাতি হত্যা প্রতিরোধে জনসাধারণের মাঝে সচেতনতা বৃদ্ধির পাশাপাশি প্রশাসনকে আরও কার্যকরী ভূমিকা পালন করতে হবে।
আলকামা/আরএআর