বিজ্ঞানীদের বিশ্ব র্যাংকিং তালিকায় খুবি উপাচার্য
২০২১ সালে বিশ্ব বিজ্ঞানীদের তালিকায় মর্যাদাপূর্ণ অবস্থান লাভ করেছেন খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ের ফরেস্ট্রি অ্যান্ড উড টেকনোলজি ডিসিপ্লিনের শিক্ষক, গবেষক ও বর্তমানে বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য প্রফেসর ড. মাহমুদ হোসেন।
রোববার (১০ অক্টোবর) এডি সাইন্টিফিক ইনডেক্স নামের আন্তর্জাতিক খ্যাতনামা সংস্থা সারা বিশ্বের ২০৬ দেশের ১৩ হাজার ৫৩১টি বিশ্ববিদ্যালয়ের সাত লক্ষাধিক বিজ্ঞানীর সাইটেশান এবং অন্যান্য ইনডেক্সের ভিত্তিতে এই র্যাংকিং তালিকা প্রকাশ করেছে।
এই র্যাংকিং করার ক্ষেত্রে বিশ্বের ৭ লাখ ৮ হাজার ৪৮০ জন, এশিয়ার বিশ্ববিদ্যালয়সমূহের ১ লাখ ৫৩ হাজার ২৬২ জন, বাংলাদেশের ১ হাজার ৭৯১ জন এবং খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ের ২৯ জন বিজ্ঞানীর সংশ্লিষ্ট বিষয়ে চলতি বছরসহ গত ৫ বছরের সাইটেশন আমলে নেওয়া হয়।
এর মধ্যে গবেষক প্রফেসর ড. মাহমুদ হোসেন বিশ্ববিদ্যালয়ের কৃষি ও ফরেস্ট্রিতে এবং পৃথকভাবে ফরেস্ট্রি উভয় ক্যাটাগরিতে ১ম, দেশে ফরেস্ট্রি বিজ্ঞানীদের মধ্যে ৪র্থ, এশিয়ার বিজ্ঞানীদের মধ্যে ১৫১তম এবং বিশ্বের বিজ্ঞানীদের মধ্যে ৮২৫তম স্থান লাভ করেছেন।
ড. মাহমুদ হোসেন একজন নিবেদিতপ্রাণ গবেষক। বন, কৃষি, মৃত্তিকা, পরিবেশ, প্রতিবেশ ও পর্যটনের ক্ষেত্রে রয়েছে তার উল্লেখযোগ্য গবেষণা, যা খ্যাতনামা জার্নালে প্রকাশিত হয়েছে। সুন্দরবনের ওপর রয়েছে তার নানাধর্মী গবেষণা। এছাড়া তিনি সংশ্লিষ্ট বিষয়ে একজন জাতীয় ও আন্তর্জাতিক পর্যায়ের বিশেষজ্ঞ।
দেশের মধ্যে প্রথম খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ে সয়েল আর্কাইভ তার উদ্যোগে ও প্রচেষ্টায় স্থাপিত হয়েছে। খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য হিসেবে দায়িত্ব গ্রহণের পর তিনি বিশ্ববিদ্যালয়ের গবেষণার ওপর সবিশেষ জোর দিয়েছেন।
ইতোমধ্যে শিক্ষক ও শিক্ষার্থীদের গবেষণায় আকৃষ্ট করতে স্কলারশিপের পরিমাণ ও সংখ্যা বৃদ্ধি করা ছাড়াও গবেষণা ল্যাব উন্নয়নে পদক্ষেপ নিয়েছেন তিনি। এদিকে বিশ্ববিদ্যালয়ের আরও ২৮ জন শিক্ষক-গবেষক এই তালিকায় বিভিন্ন ক্যাটাগরিতে স্থান লাভ করেছেন।
এক অভিনন্দন বার্তায় তিনি বলেন, এই অর্জন বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক ও শিক্ষার্থীদের মধ্যে গবেষণায় অনুপ্রেরণা যোগাবে এবং বিশ্ববিদ্যালয়কে সমৃদ্ধির পথে এগিয়ে নেবে।
এদিকে এডি ইনডেক্সের র্যাংকিংয়ে উপাচার্য ড. মাহমুদ হোসেন বিশেষ মর্যাদাপূ অবস্থান লাভ করায় তাকে অভিনন্দন জানিয়েছে উপ-উপাচার্য প্রফেসর ড. হোসনে আরা, সব ডিন, রেজিস্ট্রার (ভারপ্রাপ্ত), ডিসিপ্লিন প্রধানরা, খুলনা বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক সমিতি ও অফিসার্স কল্যাণ পরিষদ।
মিলন/এমএসআর