অধ্যক্ষদের সঙ্গে কথা বলেই পরীক্ষার সময় নির্ধারণ করা হয়েছে
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় অধিভুক্ত সরকারি সাত কলেজের প্রধান সমন্বয়ক ও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপ-উপাচার্য (শিক্ষা) অধ্যাপক ড. এএসএম মাকসুদ কামাল বলেছেন, ‘সাত কলেজের স্নাতক পরীক্ষার সময় অধ্যক্ষদের সঙ্গে আলোচনা করেই নির্ধারণ করা হয়েছে। এ বিষয়ে এখন পর্যন্ত আমরা কোনো অভিযোগ পাইনি। যদি কোনো সমস্যা হয় তবে তা সাত কলেজের অধ্যক্ষদের মাধ্যমে আমাদের কাছে আসতে হবে।’
বুধবার (৬ অক্টোবর) সাত কলেজের স্নাতক ১ম ও ৩য় বর্ষের চূড়ান্ত পরীক্ষার সময় ও মানবণ্টন নিয়ে শিক্ষার্থীদের অসন্তোষের ব্যাপারে তিনি এ কথা বলেন।
জানা যায়, করোনার কারণে দ্রুত সময়ের মধ্যে পরীক্ষা শেষ করতে সময় ও মানবণ্টন সংক্ষিপ্ত করেছে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়। তবে শিক্ষার্থীদের অভিযোগ, সময়ের সঙ্গে মানবণ্টন সংক্ষিপ্ত করার কথা থাকলেও পরীক্ষায় যে প্রশ্ন দেওয়া হচ্ছে সেটির উত্তর লেখার জন্য ২ ঘণ্টা সময় যথেষ্ট নয়। গত ২ অক্টোবর ও ৪ অক্টোবর থেকে শুরু হওয়া সাত কলেজের স্নাতক শ্রেণির ১ম ও ৩য় বর্ষের চূড়ান্ত পরীক্ষায় সময় ৪ ঘণ্টার স্থলে ২ ঘণ্টা দেওয়া হলেও প্রশ্নের নম্বর আগের ৮০ মতোই রাখা হয়েছে। যার ফলে প্রশ্নের উত্তর জানা থাকলেও সময়ের অভাবে তা লিখতে পারছেন না শিক্ষার্থীরা। তাই তাদের দাবি পূর্বের ৪ ঘণ্টায় ৮০ নম্বরের উত্তর দেওয়ার পদ্ধতিই পুনর্বহাল করা হোক।
সরকারি তিতুমীর কলেজের শিক্ষার্থী মিরন সিকদার বলেন, সাত কলেজের শিক্ষার্থীদের জন্য নিজ নিজ কলেজের অধ্যক্ষ অথবা ডিপার্টমেন্ট প্রধানদের ভূমিকা কতটুকু তা জানা নেই। কলেজের শিক্ষকরাই জানে না আমাদের পরীক্ষা কত ঘণ্টা হবে বা প্রশ্ন পদ্ধতি কেমন হবে। হঠাৎ পরীক্ষার আগে রাত ১০টার পর খবর পেলাম পরীক্ষা দেড় ঘণ্টা হবে। কোনো শিক্ষক সাজেশন দেওয়ার মত দুঃসাহসিকতা দেখান না, কারণ তারা নিজেরাই জানেন না প্রশ্ন কোন অধ্যায় ভিত্তিক হবে।
শারমিন আক্তার সুমনা নামের আরেক শিক্ষার্থী বলেন, সময় সংক্ষিপ্ত করা হলেও মানবন্টন সংক্ষিপ্ত করা হয়নি। প্রশ্ন যাচাই করে দেখুন কোথায় প্রশ্ন কমানো বা নম্বর বাড়ানো হয়েছে। আগে ৫ টি প্রশ্ন থেকে ৩ টি বড় প্রশ্নের উত্তর লিখতে হতো আর এখন দেয়া লাগছে ৮ টা থেকে ৫টা। অথচ সময় দেড় ঘণ্টা! এই প্রশ্নের উত্তর এত অল্প সময়ে কিভাবে দেয়?
বেশি বিপাকে পড়েছে প্রথম বর্ষের শিক্ষার্থীরা। প্রথম পরীক্ষা হিসেবে কোন প্রকার সঠিক নির্দেশনা বা মানবন্টন ছাড়াই দেয়া এসব পরীক্ষার ফলাফল বিপর্যয়ের সম্ভাবনা রয়েছে উল্লেখ করে হাবিবুর রহমান নামের শহীদ সোহরাওয়ার্দী সরকারি কলেজের এক শিক্ষার্থী বলেন, নামমাত্র অনলাইন ক্লাস হয়েছে করোনাকালীন সময়ে। প্রথম বার পরীক্ষা দিচ্ছি। তাও কোনো গাইড লাইন ছাড়া। শিক্ষকদের ফোন করলেই বলে বিগত বছরের প্রশ্ন পড়ো। সঠিক কোন নির্দেশনা নেই। নেই প্রশ্নের সাথে এবং সময়ের সামঞ্জস্যতা। এগুলো শিক্ষার্থীদের সাথে প্রশাসনের প্রহসন।
আমরা এসব সমস্যার সমাধান চাই। না হয় ভয়াবহ ফলাফল বিপর্যয়ের সম্ভাবনা রয়েছে।
এ বিষয়ে ঢাকা কলেজের অধ্যক্ষ ও সাত কলেজের সমন্বয়ক অধ্যাপক আইকে সেলিম উল্লাহ খোন্দকার বলেন, বিষয়টি নিয়ে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে পরীক্ষা কমিটির মিটিং চলছে। মিটিং শেষে বিস্তারিত বলা যাবে।
আরএইচটি/এসকেডি