রবীন্দ্র বিশ্ববিদ্যালয় বন্ধ নয়, শুধু পরীক্ষা স্থগিত
সিরাজগঞ্জের রবীন্দ্র বিশ্ববিদ্যালয়ের একাডেমিক ও প্রশাসনিক কর্মকাণ্ড বন্ধ রাখার ঘোষণা দেওয়া হয়নি বলে দাবি করেছে কর্তৃপক্ষ। শুক্রবার (১ অক্টোবর) রাতে বিশ্ববিদ্যালয়ের পাবলিক রিলেশন অফিসার শাহ আলী স্বাক্ষরিত এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ দাবি করা হয়।
যদিও বৃহস্পতিবার বিশ্ববিদ্যালয়ের ১৪ শিক্ষার্থীর মাথার চুল কেটে দেওয়ার ঘটনার পরিপ্রেক্ষিতে পরবর্তী নির্দেশনা না দেওয়া পর্যন্ত অনির্দিষ্টকালের জন্য একাডেমিক ও প্রশাসনিক কর্মকাণ্ড বন্ধ রাখার ঘোষণা দেওয়া হয়েছিল।
সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, বিশ্ববিদ্যালয়ের চলমান অস্থিরতা নিরসনে গত ৩০ সেপ্টেম্বর রাতে উপাচার্য (অতিরিক্ত দায়িত্ব) প্রফেসর মো. আব্দুল লতিফের সভাপতিত্বে সিন্ডিকেটের সভা অনুষ্ঠিত হয়। সভায় উপস্থিত সদস্যদের মতামতের ভিত্তিতে চারটি সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। সিদ্ধান্তগুলো হলো :
১. রবীন্দ্র বিশ্ববিদ্যালয়ের সাংস্কৃতিক ঐতিহ্য ও বাংলাদেশ অধ্যয়ন বিভাগের শিক্ষিকা ফারহানা ইয়াসমিন বাতেনকে সাময়িক বরখাস্ত করা হলো।
২. বিশ্ববিদ্যালয়ের সকল বিভাগের চলমান পরীক্ষা পরবর্তী নির্দেশ না দেওয়া পর্যন্ত স্থগিত করা হলো।
৩.বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃক গঠিত তদন্ত কমিটির প্রতিবেদন প্রাপ্তিসাপেক্ষে বিশ্ববিদ্যালয়ের আইন, সংবিধি, প্রবিধি, নীতিমালা এবং সরকারি কর্মচারী বিধিমালা ২০১৮ অনুযায়ী সাময়িকভাবে বরখাস্তকৃত শিক্ষিকা ফারহানা ইয়াসমিনের বিষয়ে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হবে।
৪.বিশ্ববিদ্যালয় অনির্দিষ্টকালের জন্য বন্ধ ঘোষণা করা হয়নি।
এর আগে বৃহস্পতিবার রাতে বিশ্ববিদ্যালয়ের সাংস্কৃতিক ঐতিহ্য ও বাংলাদেশ অধ্যয়ন বিভাগের শিক্ষিকা ফারহানা ইয়াসমিন বাতেনের বিরুদ্ধে আনা অভিযোগ প্রাথমিকভাবে প্রমাণিত হওয়ায় তাকে সাময়িক বহিষ্কারের পাশাপাশি পরবর্তী নির্দেশনা না দেওয়া পর্যন্ত অনির্দিষ্টকালের জন্য বিশ্ববিদ্যালয়ের একাডেমিক ও প্রশাসনিক কর্মকাণ্ড বন্ধ রাখার নির্দেশনা দিয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার সোহরাব আলী'স্বাক্ষরিত একটি সংবাদ বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করা হয়। তবে এ সিদ্ধান্তের বিষয়ে কোনো মন্তব্য করেননি বিভাগের চেয়ারম্যান ও ৫ সদস্যের তদন্ত কমিটির প্রধান লায়লা ফেরদৌস হিমেল।
এ বিষয়ে মন্তব্য জানতে রবীন্দ্র বিশ্ববিদ্যালয়ের ভিসির অতিরিক্ত দায়িত্বপ্রাপ্ত ট্রেজারার আব্দুল লতিফের সঙ্গে একাধিকবার যোগাযোগ করা হলেও তাকে পাওয়া যায়নি।
শুভ কুমার ঘোষ/এসকেডি