প্রশাসনের উদাসীনতাই জবির খেলার মাঠ দখলের জন্য দায়ী
জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের (জবি) কেন্দ্রীয় খেলার মাঠ (ধূপখোলা) থেকে ৩ অক্টোবরের মধ্যে সিটি করপোরেশনের দখলদারিত্ব গুটিয়ে নেওয়ার আহ্বান জানিয়েছে প্রগতিশীল ছাত্রজোট জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় শাখা।
বৃহস্পতিবার (৩০ সেপ্টেম্বর) সন্ধ্যা ৬টায় প্রগতিশীল ছাত্রজোটের পাঠানো এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ দাবি জানানো হয়।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, মাঠ রক্ষার দায়িত্ব বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনকেই নিতে হবে। একইসঙ্গে আগামী রোববার খেলার মাঠ দখলের প্রতিবাদে সাংবাদিক সম্মেলন ও বিক্ষোভ কর্মসূচির ডাক দেওয়া হয়।
বিবৃতিতে ছাত্রজোট নেতারা বলেন, জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের খেলার মাঠ দখল করে শপিং কমপ্লেক্স নির্মাণের পাঁয়তারা করছে ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশন। ১৯৮২ সাল থেকে রাজধানীর ধূপখোলা মাঠের একটি অংশ কেন্দ্রীয় খেলার মাঠ হিসেবে ব্যবহার করে আসছে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় (তদানীন্তন জগন্নাথ কলেজ)। জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রায় ১৭ হাজার শিক্ষার্থীর একমাত্র খেলার মাঠ এটি। এছাড়াও পুরান ঢাকায় টিকে থাকা গুটিকয়েক খেলার মাঠের মধ্যে এটি একটি। কোনোভাবেই এই মাঠে শপিং কমপ্লেক্স নির্মাণ করতে দেওয়া যাবে না। এই মাঠ রক্ষার দায়িত্ব জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন এড়াতে পারে না।
সংগঠনের নেতারা বলেন, জবি প্রশাসনের উদাসীনতার কারণেই পূর্বে বিশ্ববিদ্যালয়ের হলগুলো বেদখল হয়েছে। এখন নতুন করে খেলার মাঠ দখল হলে এর দায় প্রশাসনের উপরই পড়বে। একদিকে মাঠ দখল হবে, অন্যদিকে প্রশাসন নিশ্চুপ বসে থাকবে এমনটা হলে হল আন্দোলনের মতো কঠোর জবাব দিতে শিক্ষার্থীরা প্রস্তুত আছে।
এমটি /এসকেডি
