এক দিনে দুই সিদ্ধান্ত, বিপাকে চবি শিক্ষার্থীরা
চলমান সব পরীক্ষা অনির্দিষ্টকালের জন্য স্থগিত ঘোষণার ৪ ঘণ্টা পর নতুন সিদ্ধান্ত জানিয়েছে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় (চবি) কর্তৃপক্ষ। এতে বিপাকে পড়েছেন বিশ্ববিদ্যালয়ের হাজারো শিক্ষার্থী। এমন দ্বিধাদ্বন্দ্বের সিদ্ধান্তে সমালোচনা চলছে।
জানা যায়, শনিবার (২৬ জুন) সন্ধ্যায় সরকার ঘোষিত চলমান লকডাউনের কারণে বিশ্ববিদ্যালয়ের চলমান সব পরীক্ষা স্থগিত ঘোষণা করা হয়। পাশাপাশি পরীক্ষা দিতে আসা বিশ্ববিদ্যালয়ে অবস্থানরত শিক্ষার্থীদের বাড়ি ফিরতে ঢাকা পর্যন্ত বাসসেবার কথাও জানানো হয়। রোববার (২৭ জুন) দুপুর ১২টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের জিরো পয়েন্ট থেকে শিক্ষার্থীদের নিয়ে ঢাকার পথে বাস ছাড়ার কথা ছিল।
কিন্তু শনিবার রাত ১০টার পরে আবার নতুন সিদ্ধান্ত জানায় প্রশাসন। ডেপুটি রেজিস্ট্রার স্বাক্ষরিত সংশোধিত এক বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, চবির বিভিন্ন অনুষদের ডিনবৃন্দের মৌখিক পরামর্শে পরবর্তী সরকারি প্রজ্ঞাপন না আসা পর্যন্ত নির্বাহী আদেশে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের পূর্ব ঘোষিত সকল পরীক্ষা ৩০ জুন পর্যন্ত চলবে।
এক দিনে দুই রকম সিদ্ধান্তে বিপাকে পড়েছেন অনেক শিক্ষার্থী। বিশেষ করে যারা পরীক্ষা স্থগিতের ঘোষণায় বাড়িতে চলে গেছেন। প্রশাসনের এমন সিদ্ধান্তে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে চলছে তুমুল সমালোচনা।
মারুফ বিল্লাল নামে এক শিক্ষার্থী লিখেছেন, স্বায়ত্তশাসিত একটি বিশ্ববিদ্যালয়ের এমন দ্বিমুখী সিদ্ধান্ত বড় অবাক করেছে। কিভাবে এত কনফিউশন তৈরি করেছে।
শাফায়াত নামে ইলেকট্রনিক ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের শিক্ষার্থী লিখেছেন, প্রশাসনের এমন সিদ্ধান্ত নিয়ে কিছু না বলি। লিখতে গেলেই আরেক সমস্যা। কখন জানি ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ন করার অভিযোগে অভিযুক্ত হয়ে যাই।
বাড়ির পথে রওনা দিয়েছেন এমন একজন সিলেটের শিক্ষার্থী শরিফুল ইসলাম। ঢাকা পোস্টকে তিনি বলেন, প্রশাসন থেকে স্থগিতের ঘোষণা ছাড়াও নিজের বিভাগ থেকে শিউর হয়ে ক্যাম্পাস ছেড়ে রওনা দেই। এখন বাসে আছি। অথচ জানলাম পরীক্ষা নাকি ৩০ তারিখ পর্যন্ত নিতে পারবে। এখন কি করব? উপায় জানা নেই।
জানতে চাইলে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর ড. রবিউল হাসান ভুঁইয়া ঢাকা পোস্টকে বলেন, লকডাউন যেহেতু ১ জুলাই থেকে কার্যকর হবে তাই আগামীকালের বাস সার্ভিস স্থগিত করেছে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ। সেই সঙ্গে বিশ্ববিদ্যালয়ের যেসকল বিভাগের পরীক্ষা চলছিল তা ৩০ জুন পর্যন্ত চলমান থাকবে।
এসপি