হল না খুলে সশরীরে পরীক্ষা নেওয়ার সিদ্ধান্ত অমানবিক
আবাসিক হল না খোলার শর্ত দিয়ে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের সেমিস্টার ফাইনালসহ সব পরীক্ষা সশরীরে নেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে কর্তৃপক্ষ। তবে এ সিদ্ধান্তকে প্রত্যাখ্যান করে অমানবিক আখ্যায়িত করছে বাংলাদেশ ছাত্রলীগ (বিসিএল)।
বুধবার (২ জুন) কেন্দ্রীয় সংসদের সভাপতি গৌতম চন্দ্র শীল ও সাধারণ সম্পাদক মাহফুজুর রহমান রাহাত স্বাক্ষরিত এক যৌথ বিবৃতিতে এ কথা বলা হয়।
বিবৃতিতে নেতারা বলেন, করোনা মহামারির কারণে ১৫ মাস ধরে সারাদেশের শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলোর স্বাভাবিক কার্যক্রম বন্ধ রয়েছে। এতে পিছিয়ে পড়েছেন শিক্ষার্থীরা। সারাদেশে ইন্টারনেট ব্যবহারের সমান সুযোগ না থাকলেও, অনলাইনে চলছে বৈষম্যমূলক শিক্ষা কার্যক্রম। অনলাইনে শিক্ষা কার্যক্রম অব্যাহত রাখতে গিয়ে জীবন ও জীবিকার অমানবিক বিপর্যয়ের এ সময়ে অভিভাবকদের গুণতে হচ্ছে বাড়তি অর্থ। ঝুলে আছে বিশ্ববিদ্যালয় পড়ুয়া লাখো শিক্ষার্থীদের অনিশ্চিত ভবিষ্যৎ।
বিবৃতিতে বলা হয়, এ অবস্থার মধ্যে গতকাল (১ জুন) ইউজিসি ও বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের মতবিনিময় সভায়, হল না খুলেই বিশ্ববিদ্যালয়ে সশরীরে পরীক্ষা নেওয়ার সিদ্ধান্ত হয়। একদিকে আমাদের অর্থনৈতিক বিপর্যয়, অপরদিকে সারাদেশে ছড়িয়ে থাকা শিক্ষার্থীদের নিজ নিজ বিশ্ববিদ্যালয়ের নিকটবর্তী এলাকায় সাময়িক সময়ের জন্য আবাসনের ব্যবস্থা করা এবং ৬০ শতাংশ বেশি ভাড়ায় গণপরিবহন ব্যবহার করে পরীক্ষায় অংশ নেওয়া কঠিন হবে। বর্তমান সময়ের প্রেক্ষাপটে এ ধরনের সিদ্ধান্ত অমানবিক।
শিক্ষার্থীদের প্রণোদনার ব্যবস্থার দাবি জানিয়ে বিবৃতিতে বলা হয়, এ অবস্থায় অনলাইনে অ্যাসাইনমেন্ট আকারে পরীক্ষা গ্রহণ কিংবা, স্বাস্থ্যবিধি মেনে আবাসিক হল খুলে দেওয়াই হতে পারে উত্তম বিকল্প। অন্যথায় প্রতি পরীক্ষার্থীর বিপরীতে আবাসন বাবদ প্রণোদনার ব্যবস্থা করার দাবি জানান তারা।
এইচআর/এসকেডি