‘আওয়ামী লীগ তো দিল্লি পালিয়েছে, আপনারা তাও পারবেন না’

খুলনা প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (কুয়েট) উপাচার্যের পদত্যাগের এক দফা দাবির সাথে সংহতি জানিয়ে বিক্ষোভ মিছিল করেছেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা।

আজ (বুধবার) বিকেলে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের রাজু ভাস্কর্যের পাদদেশে সাধারণ শিক্ষার্থীদের ব্যানারে এই বিক্ষোভ সমাবেশ করে তারা। সংক্ষিপ্ত সমাবেশ শেষে শিক্ষার্থীরা মিছিল নিয়ে ক্যাম্পাসের গুরুত্বপূর্ণ স্থান প্রদক্ষিণ করেন। 

সমাবেশে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী ও বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সাবেক সমন্বয়ক এ বি জোবায়ের বলেন, কুয়েটের শিক্ষার্থীরা যে সিদ্ধান্ত নিয়েছে আমরা তার সাথে একাত্মতা পোষণ করছি। আমরা কুয়েট ভিসির অপসারণের দাবির সাথে একাত্মতা পোষণ করছি। আমরা দালাল মাসুদের পদত্যাগ চাই। এই ভিসিকে পদত্যাগ করে শিক্ষার্থীদের মুক্তি দিতে হবে। অবিলম্বে যদি এ ভিসি পদত্যাগ না করে, শুধু ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় নয় দেশের সকল স্কুল-কলেজ-বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের নিয়ে প্রবল আন্দোলন গড়ে তুলবো। 

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অর্থনীতি বিভাগের শিক্ষার্থী জয়েন উদ্দিন সরকার তন্ময় বলেন, যারা কোপ খেলো তাদের নামেই আবার মামলা হলো এবং পরে তাদেরই বহিষ্কার করা হলো। এটা নিশ্চিত অর্থেই ফ্যাসিবাদী আচরণ। তারা নব্য ফ্যাসিবাদ হওয়ার পায়তারা করছে। যারা নির্বাচন আসার আগেই মনে করে তারা ক্ষমতায় এসে গেছে। তাদের বলতে চাই আওয়ামী লীগ তো দিল্লি পালিয়েছে আপনারা দিল্লিও পালাতে পারবেন না।  

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের বাংলা বিভাগের শিক্ষার্থী ও সাবেক সমন্বয়ক মোসাদ্দেক আলী ইবনে মোহাম্মদ বলেন, আমাদের এ লড়াই কুয়েটকে বাঁচানের লড়াই। এ লড়াই বাংলাদেশ থেকে ফ্যাসিবাদকে তাড়ানোর লড়াই। আপনারা দেখেছেন বিএনপির সন্ত্রাসীরা কিভাবে কুয়েটের সাধারণ শিক্ষার্থীর উপর আক্রমণ করেছে। ওই হামলা যেন আরেক জুলাইয়ের প্রতিচ্ছবি হয়ে দাঁড়িয়েছে। এ হামলা থামাতে যখন সেনাবাহিনীকে ডাকা হয় এই ভিসি তখন তাদের ক্যাম্পাসে ঢোকার অনুমতি দেয় নাই। তার পরে আমরা দেখলাম কিভাবে মিথ্যা মামলা দেওয়া হলো শিক্ষার্থীদের নামে। আমরা প্রশাসনের কাছে জানতে চাই আপনারা কিভাবে এমন প্রহসনের মামলা গ্রহণ করলেন। যেসব সন্ত্রাসীরা শিক্ষার্থীদের ওপর হামলায় জড়িত ছিল তাদের অতিদ্রুত গ্রেপ্তার করুন। না হলে সারা দেশে আন্দোলন গড়ে তোলা হবে।

কেএইচ/এনএফ