বিশ্ববিদ্যালয় খোলার দাবিতে ঐক্যবদ্ধ আন্দোলনের আহ্বান
অবিলম্বে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় (ঢাবি) খোলার রোডম্যাপ ঘোষণা করা, হল খুলে পরীক্ষা নেওয়া এবং শিক্ষক-শিক্ষার্থী-কর্মকর্তা-কর্মচারীদের দ্রুত টিকার আওতায় আনার দাবি জানিয়েছে প্রগতিশীল ছাত্র জোট।
মঙ্গলবার (১ জুন) দুপুরে রাজু ভাস্কর্যের পাদদেশে জোটের ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শাখা আয়োজিত এক সমাবেশে এসব দাবি জানান নেতাকর্মীরা। সমাবেশ থেকে সরকার ও প্রশাসনকে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খুলতে বাধ্য করার জন্য দেশের সব বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের ঐক্যবদ্ধ হয়ে আন্দোলন করার জন্য আহ্বান জানান জোট নেতৃবৃন্দ।
সমাজতান্ত্রিক ছাত্র ফ্রন্টের ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শাখার সদস্য সুহাইল আহমেদ শুভর সভাপতিত্বে এবং সাধারণ সম্পাদক প্রগতি বর্মন তমার সঞ্চালনায় সমাবেশে অন্যান্যদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন ছাত্র ইউনিয়ন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শাখার সাধারণ সম্পাদক রাগীব নাঈম, সমাজতান্ত্রিক ছাত্র ফ্রন্ট ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শাখার সভাপতি সালমান সিদ্দিকী প্রমুখ।
সমাবেশে নেতৃবৃন্দ বলেন, আজ ১৫ মাস ধরে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়সহ সবগুলো শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ। এ পরিস্থিতিতে শিক্ষার্থীরা মারাত্মক আর্থিক-মানসিক-পারিবারিক সংকটে চার দেয়ালের মধ্যে দিন কাটাচ্ছেন। সরকার বা ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন এই ছাত্রদের পাশে একদমই দাঁড়ায়নি। অবস্থা এমনই ভয়াবহ যে, শুধু ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়েরই ১২ জন শিক্ষার্থী এরই মধ্যে আত্মহত্যা করেছেন। শিক্ষার্থীদের শিক্ষাজীবন এবং ভবিষ্যৎ ভয়ানক সংকটে নিমজ্জিত। শপিংমলে ব্যবসা চলছে, কারখানায় উৎপাদন চলছে, শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে নিয়োগ বাণিজ্য, শাস্তিপ্রদান, নতুন বিভাগ খোলা সবই চলছে। শুধু বন্ধ শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান, চলছে প্রহসন।
তারা বলেন, শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান চালু হলে আন্দোলন হবে, ছাত্ররা অধিকারের দাবিতে সংগঠিত হবে। সরকার ছাত্রদের ভয় পায়, অধিকার আদায়ের আন্দোলনকে ভয় পায়।
শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খোলার দাবিতে সারাদেশের ছাত্রদের সংগঠিত হওয়ার আহ্বান জানিয়ে তারা বলেন, সংগঠিত অবস্থা প্রশাসনকে বাধ্য করবে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খুলে দিতে।
সভাপতির বক্তব্যে সুহাইল আহমেদ শুভ বলেন, দেশের সব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের মতো ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ও ১৫ মাস ধরে বন্ধ রয়েছে। আমাদের শিক্ষার্থীদের সঙ্গে অনেক টালবাহানা হয়েছে। অনলাইন ক্লাসের নামে আমাদের সঙ্গে প্রহসন করেছে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন। যেখানে ৬০ শতাংশ শিক্ষার্থী অংশগ্রহণও করতে পারেননি। অসংখ্য শিক্ষার্থী আত্মহত্যার পথ বেছে নিচ্ছেন, কারণ ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন কোনো আলোর পথ দেখাতে পারেনি। অবিলম্বে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষা কার্যক্রম কীভাবে স্বাভাবিক করতে হয় এর জন্য রোডম্যাপ ঘোষণা করতে হবে। এর পাশাপাশি বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র-শিক্ষক-কর্মকর্তা-কর্মচারীসহ যারা শিক্ষা কার্যক্রমের সঙ্গে যুক্ত সবাইকে ভ্যাকসিনের আওতায় নিয়ে আসতে হবে।
এইচআর/এফআর