মাদক নিয়ন্ত্রণে সমন্বিত পদক্ষেপ প্রয়োজন

মাদক নিয়ন্ত্রণ কারো একার পক্ষে সম্ভব নয়। এর জন্য সমন্বিত পদক্ষেপ প্রয়োজন এবং কমপ্রেহেনসিভ একটি অ্যাকশন প্ল্যান দরকার। এখানে স্কুল-কলেজ-বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক-শিক্ষার্থীদের বড় ভূমিকা রয়েছে।
বিজ্ঞাপন
বৃহস্পতিবার (মার্চ ২০) স্টামফোর্ড ইউনিভার্সিটিতে প্রথম মাদক বিরোধী বিশ্ববিদ্যালয় ভিত্তিক সংগঠন ড্রাগ ফোরাম আয়োজিত ‘কি ভাবছে তরুণেরা” শীর্ষক আলোচনা সভায় এ মন্তব্য করেন বক্তারা।
মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তর ঢাকা কার্যালয়ের উপ-পরিচালক (গোয়েন্দা) খোরশেদ চঞ্চল বলেন, মাদকাসক্তি আধুনিক সভ্যতার বিপজ্জনক রোগ। মাদকের ভয়াবহতা সম্পর্কে আমরা কম বেশি জানি। যে একবার নেশাগ্রস্ত হয়, সেখান থেকে তার বের হয়ে আসা অনেক কঠিন হয়ে পরে।
বিজ্ঞাপন
মাদক নিয়ন্ত্রণ কারো একার পক্ষে সম্ভব নয় উল্লেখ করে তিনি আরও বলেন, মাদককে দূর করতে হলে কমপ্রেহেনসিভ একটি অ্যাকশন প্ল্যান দরকার। যার যার অবস্থান থেকে আমাদের কাজ করতে হবে। শিক্ষার্থীরা তাদের কাজ করবে, শিক্ষক তার কাজ করবে, অভিভাবক তার কাজ করবে। প্রত্যেকের সমন্বিতভাবে কাজ করতে হবে।
আরও পড়ুন
বিজ্ঞাপন
ড্রাগ ফোরামের কনভেইনার ইউনিভার্সিটি অ্যাসিসটেন্ট প্রফেসর ইতি লায়লা কাজী বলেন, মাদকের ভয়াল থাবায় ধ্বংসের পথে তরুণ প্রজন্ম। শহর থেকে গ্রাম, স্কুল থেকে বিশ্ববিদ্যালয় সর্বত্রই মাদক পাওয়া যাচ্ছে হাতের নাগালে। মাদকের কারণে বেড়ে যাচ্ছে সামাজিক অবক্ষয়। সেসব বিষয় মাথায় রেখে তাদের মাদক বিরোধী এই সংগঠন। তারা এখান থেকে মাদকের ভয়াবহতা সম্পর্কে মানুষকে সচেতন করতে চান।
অনুষ্ঠানে শিক্ষার্থী ও শিক্ষকরা মাদক রোধে কাজ করে যাবে বলে অঙ্গীকার করেন।
আলোচনা সভায় উপস্থিত ছিলেন- স্টামফোর্ড ইউনিভার্সিটি বাংলাদেশের বোর্ড অফ ট্রাস্টি সদস্য রুমানা হক রিতা, রেজিস্ট্রার মুহাম্মদ আব্দুল মতিন এবং আইন বিভাগের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান ইসরাত জাহান এনি।
এআর/এমএন