হল না খুলে সশরীরে পরীক্ষায় ইতিবাচক ঢাবি
করোনাভাইরাস পরিস্থিতির বাস্তবতা মাথায় রেখেই শিক্ষা কার্যক্রম চালুর স্বার্থে সরাসরি ও অনলাইনে স্নাতক ও স্নাতকোত্তর পর্যায়ের শিক্ষার্থীদের পরীক্ষার ব্যবস্থা নিতে বিশ্ববিদ্যালয়গুলোকে নির্দেশ দিয়েছে বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশন (ইউজিসি)।
ইউজিসির এ নির্দেশনার পর সশরীরে পরীক্ষা নিতে আগ্রহ দেখাচ্ছে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় (ঢাবি)। এর আগে অনলাইনে পরীক্ষা নিতে অনুষদগুলোকে প্রস্তুতি নিতে বলেছিল বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ।
এ প্রসঙ্গে ঢাবি উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. আখতারুজ্জামান ঢাকা পোস্টকে বলেন, আমরা সশরীরে পরীক্ষা নেওয়ার ব্যাপারে আশাবাদী। আমাদের ডিনরাও সশরীরে পরীক্ষা নেওয়ার পক্ষে মত দিয়েছেন। এর আগেও আমরা এভাবে পরীক্ষা নিতে চেয়েছিলাম।
তিনি বলেন, টিকা দেওয়ার পূর্বে আবাসিক হল না খোলার শর্তে স্বাস্থ্যবিধি এবং সামাজিক দূরত্ব বজায় রেখে শিক্ষার্থীদের সম্মতিতে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভাগ এবং ইনস্টিটিউটগুলো সশরীরে পরীক্ষা নিতে পারবে।
তবে সশরীরে পরীক্ষা নিতে আগ্রহ দেখালেও টিকা দেয়ার আগে হল খুলতে চান না উপাচার্য। তিনি বলেন, আমাদের শিক্ষক-শিক্ষার্থী, কর্মকর্তা-কর্মচারীরা যাতে অগ্রাধিকার ভিত্তিতে টিকা পান, সেজন্য আমরা স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ে চিঠি দিয়েছি। আশা করি মন্ত্রণালয় আমাদের ডাকে সাড়া দেবে। আমরা সবার টিকা নিশ্চিত করতে পারব। তারপর দ্রুত হল-ক্যাম্পাস খুলে সশরীরে শিক্ষা কার্যক্রম শুরু করতে পারব।
এদিকে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক সমিতি স্বাস্থ্যবিধি মেনে হল খুলে সশরীরে পরীক্ষা নেওয়ার পক্ষে মত দিয়েছে। এ বিষয়ে আগামী রোববার বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. আখতারুজ্জামানের কাছে চিঠি দেওয়ার কথা জানিয়েছে সংগঠনটি।
শিক্ষক সমিতির সভাপতি অধ্যাপক ড. রহমত উল্লাহ বলেন, সশরীরে শিক্ষার্থীদের পরীক্ষা যাতে নেওয়া হয় তা নিয়ে উপাচার্যের সঙ্গে আলোচনা করব। শিক্ষক সমিতির পক্ষ থেকে একটি চিঠি দেওয়া হতে পারে।
গত ২৫ মে থেকে হল-ক্যাম্পাস খোলার দাবিতে আন্দোলন করে আসছেন ঢাবি শিক্ষার্থীরা। বৃহস্পতিবার উপাচার্য বরাবর একটি স্মারকলিপিও দিয়েছেন তারা। আন্দোলনরত শিক্ষার্থীরা বলেন, ভর্তি কার্যক্রম, পরীক্ষা বন্ধ থাকার কারণে শিক্ষার্থীরা বড় ধরনের সেশনজটে পড়েছেন। অবিলম্বে ক্যাম্পাস খুলে না দিলে তারা বৃহত্তর আন্দোলনে যাবেন।
এইচআর/আরএইচ/জেএস