জাবি শিক্ষার্থীকে মারধর, কলেজছাত্রকে পুলিশে সোপর্দ
জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের (জাবি) প্রাণিবিদ্যা বিভাগের ৫০তম ব্যাচের শিক্ষার্থী হুসনে মুবারককে মারধরের অপরাধে এক কলেজছাত্রকে পুলিশে সোপর্দ করেছে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন। মঙ্গলবার (১৪ জানুয়ারি) দুপুর ২টার দিকে বিশ্ববিদ্যালয়ের বোটানিক্যাল গার্ডেন এলাকায় মারধরের ঘটনা ঘটে। পরে বিকেল সাড়ে ৪টায় অভিযুক্তকে পুলিশে হস্তান্তর করা হয়।
মারধরের ঘটনায় অভিযুক্ত সিবগাতুল্লাহ আল ছামি জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয় স্কুল অ্যান্ড কলেজের দ্বাদশ শ্রেণির শিক্ষার্থী। তিনি বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রান্তিক কমিউনিটি মসজিদের ইমাম মাওলানা মোহাম্মদ আবু নোমানের ছেলে।
খোঁজে নিয়ে জানা যায়, প্রাণিবিদ্যা বিভাগের ৫০তম ব্যাচের শিক্ষার্থীরা ফিল্ড ওয়ার্কের জন্য বিশ্ববিদ্যালয়ের বোটানিক্যাল গার্ডেন এলাকায় গেলে সেখানে ছামি ও তার বান্ধবীকে অপ্রীতিকর অবস্থায় দেখতে পান। এ সময় হুসনে মুবারক বিষয়টি বিশ্ববিদ্যালয়ের সহকারী প্রক্টর অধ্যাপক আব্দুর রাজ্জাককে ফোনে জানিয়ে দেন। ফোনে থাকা অবস্থাতেই ছামি হুসনে মুবারককে অতর্কিতভাবে হামলা করেন। হামলার ফলে হুসনে মুবারকের মাথা, হাত, এবং চোয়ালে আঘাত লাগে। এ সময় মুবারকের সহপাঠীরা ছামিকে মারধরের পর আটক করে বিশ্ববিদ্যালয়ের নিরাপত্তা শাখার হাতে তুলে দেন। পরে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর অধ্যাপক রাশিদুল আলম অভিযুক্তের বাবার উপস্থিতিতে মুচলেকা নিয়ে তাকে পুলিশে সোপর্দ করেন।
এ বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর অধ্যাপক রাশিদুল আলম বলেন, আমরা ইতোমধ্যেই বহিরাগত নিয়ন্ত্রণে কার্যকর পদক্ষেপ নিয়েছি। আজকের ঘটনায় অভিযুক্তকে পুলিশে সোপর্দ করেছি। ভবিষ্যতে এমন ঘটনা এড়াতে প্রশাসনিকভাবে আরও কঠোর পদক্ষেপ নেওয়া হবে।
ভুক্তভোগী হুসনে মুবারক বলেন, আমরা বোটানিক্যাল গার্ডেন এলাকায় গিয়েছিলাম। সেখানে ছামি এবং তার বান্ধবীকে আপত্তিকর অবস্থায় দেখতে পাই। বিষয়টি বিশ্ববিদ্যালয়ের সহকারী প্রক্টর স্যারকে ফোন করে ঘটনা জানাই। আমি স্যারের সঙ্গে ফোনে কথা বলার সময়ই ছামি আমার দিকে তেড়ে আসে এবং আমার ওপর হামলা চালায়।
মেহেরব হোসেন/আরএআর