বর্ণাঢ্য আয়োজনে জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয় দিবস পালিত
দিনব্যাপী বর্ণাঢ্য আয়োজনে জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের (জাবি) ৫৪তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উদযাপিত হয়েছে।
বিজ্ঞাপন
রোববার (১২ জানুয়ারি) সকাল ১০টায় বিজনেস স্টাডিজ অনুষদ চত্বরে বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ কামরুল আহসান জাতীয় পতাকা উত্তোলন করেন, বিশ্ববিদ্যালয়ের পতাকা উত্তোলন করেন উপ-উপাচার্য (শিক্ষা) অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ মাহফুজুর রহমান।
উদ্বোধনী বক্তব্যের পর পায়রা ও বেলুন উড়িয়ে অনুষ্ঠানের সূচনা করা হয়। এ সময় উপস্থিত ছিলেন উপ-উপাচার্য (প্রশাসন) অধ্যাপক ড. সোহেল আহমেদ, কোষাধ্যক্ষ অধ্যাপক ড. মো. আবদুর রব। অনুষ্ঠান সঞ্চালনা করেন ভারপ্রাপ্ত রেজিস্ট্রার অধ্যাপক ড. এ বি এম আজিজুর রহমান।
বিজ্ঞাপন
উপাচার্য অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ কামরুল আহসান তার বক্তব্যে প্রাক্তন ও বর্তমান শিক্ষক-শিক্ষার্থী, কর্মকর্তা-কর্মচারী এবং শুভানুধ্যায়ীদের শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন জানান।
তিনি বলেন, জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয় ৫৪ বছরে পা দিয়েছে, যা দেশের ইতিহাসের সঙ্গে গভীরভাবে জড়িত। বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রতি সকলের আবেগ, ভালোবাসা এবং একাত্মতা আমাদের জন্য গর্বের।
বিজ্ঞাপন
তিনি ২০২৪ সালের বৈষম্যবিরোধী ছাত্র-জনতার আন্দোলনে শহীদদের প্রতি গভীর শ্রদ্ধা জানান এবং তাদের আত্মার শান্তি কামনা করেন। পাশাপাশি ১৯৭১ সালের মুক্তিযুদ্ধ এবং ১৯৯০ সালের স্বৈরাচারবিরোধী আন্দোলনে আত্মত্যাগকারীদের স্মৃতির প্রতি শ্রদ্ধা নিবেদন করেন।
উপাচার্য বলেন, অ্যাকাডেমিক উন্নয়ন, পরিবেশবান্ধব প্রকল্প এবং অংশীজনদের প্রত্যাশা পূরণের জন্য বর্তমান প্রশাসন কাজ করে যাচ্ছে। এ যাত্রায় সবার সহযোগিতা একান্ত প্রয়োজন।
উদ্বোধনের পর উপাচার্যের নেতৃত্বে বর্ণাঢ্য আনন্দ শোভাযাত্রা বের হয়, যা সেলিম আল দীন মুক্তমঞ্চে গিয়ে শেষ হয়। শোভাযাত্রায় বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন অনুষদের ডিন, ইনস্টিটিউটের পরিচালক, হল প্রভোস্ট, প্রক্টর, বর্তমান ও প্রাক্তন শিক্ষক-শিক্ষার্থী, কর্মকর্তা-কর্মচারী এবং শুভানুধ্যায়ীরা অংশ নেন।
দিনব্যাপী অনুষ্ঠানে রক্তের গ্রুপ নির্ণয়, স্মৃতিচারণ, সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান, প্রীতি ফুটবল ও হ্যান্ডবল ম্যাচ, পিঠা মেলা এবং চারুকলা বিভাগের আলপনা ও গ্রাফিতি প্রদর্শনী অনুষ্ঠিত হয়। সেলিম আল দীন মুক্তমঞ্চে সন্ধ্যায় সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানে নকশীকাঁথা ব্যান্ড গান পরিবেশন করে। এ ছাড়া গণঅভ্যুত্থানে শহীদ পরিবারদের সম্মাননা স্মারক প্রদান করা হয়।
প্রসঙ্গত, ১৯৭১ সালের ১২ জানুয়ারি তৎকালীন পূর্ব পাকিস্তানের গভর্নর ও চ্যান্সেলর রিয়ার অ্যাডমিরাল এস এম আহসান বিশ্ববিদ্যালয়ের উদ্বোধন করেন। ১৯৭০-৭১ শিক্ষাবর্ষে অর্থনীতি, ভূগোল, গণিত ও পরিসংখ্যান বিভাগে ১৫০ শিক্ষার্থী নিয়ে এর যাত্রা শুরু হয়। বিশিষ্ট রসায়নবিদ অধ্যাপক ড. মফিজ উদ্দিন আহমদ প্রথম উপাচার্যের দায়িত্ব পালন করেন। ২০০১ সাল থেকে দিনটি ‘বিশ্ববিদ্যালয় দিবস’ হিসেবে পালিত হয়ে আসছে।
মেহেরব হোসেন/এমজেইউ