চবিতে পরীক্ষা দিতে আসা ছাত্রলীগ নেতাকে ছাত্রদল কর্মীদের মারধর
পূর্বশত্রুতার জেরে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ে (চবি) নিষিদ্ধ সংগঠন ছাত্রলীগের এক নেতা মারধরের শিকার হয়েছেন। বৃহস্পতিবার (২ জানুয়ারি) বিকেল সাড়ে ৪টার দিকে বিশ্ববিদ্যালয়ের কলা অনুষদের ঝুপড়ির কাছে ছাত্রদলের কর্মীরা তাকে মারধর করে বলে জানা গেছে।
ছাত্রলীগের ওই নেতার নাম শফিকির রহমান মেঘ। তিনি চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রলীগের বিলুপ্ত কমিটির উপ-প্রচার সম্পাদক ছিলেন এবং উপগ্রুপ সিএফসির অনুসারী। চাঁদাবাজি, সাংবাদিককে মারধর এবং নিজেদের মধ্যে বারবার সংঘর্ষের ঘটনায় ২০২৩ সালের ২৪ সেপ্টেম্বর চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের ওই কমিটি বিলুপ্ত করেছিল ছাত্রলীগের কেন্দ্রীয় নেতৃত্ব।
জানা যায়, ছাত্রলীগ নেতা মেঘ চতুর্থ বর্ষের মৌখিক পরীক্ষা শেষে ফিরছিলেন। জারুলতলার সামনে এলে তার গতিরোধ করেন ছাত্রদলের কর্মীরা। পরে কলা অনুষদের ঝুপড়ির পেছনে নিয়ে তাকে মারধর করা হয়। বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টরিয়াল বডি খবর পেয়ে ওই ছাত্রলীগ নেতাকে উদ্ধার করে নিয়ে যায়।
ছাত্রলীগ নেতাকে মারধরকারী চবি শাখা ছাত্রদল কর্মী ও প্রাণীবিজ্ঞান বিভাগের শিক্ষার্থী মোহাম্মদ রেদোয়ান বলেন, ২০১৯ সালে ছাত্রলীগ নেতা মেঘ আমার মোবাইল চেক করে ছাত্রদলের সঙ্গে সম্পৃক্ততা পেয়ে আমাকে গেস্ট রুমে নিয়ে মারধর করেন। আমাকে মেরে একপর্যায়ে হল থেকে বের করে দেয়।
এ বিষয়ে শাখা ছাত্রদলের সহ-সভাপতি মামুনুর রশীদ মামুন বলেন, নিষিদ্ধ সংগঠন ছাত্রলীগের ওই ছেলে রেদোয়ানকে মারধর করে হল থেকে বের করে দিয়েছিল। আজকে রেদোয়ান ওই ছেলেকে দেখতে পেয়ে আমাকে ফোন করলে আমি ক্যাম্পাসে না থাকার কারণে আমাদের সেক্রেটারি নোমানের সঙ্গে এ বিষয়ে কথা বলতে বলি। শুধু আমার কর্মীরা না, ওই ঘটনায় শাখা ছাত্রদলের সব নেতার অনুসারীরাই ছিল।
তিনি আরও বলেন, ছাত্রলীগ হচ্ছে নিষিদ্ধ সংগঠন। এই নিষিদ্ধ সংগঠনের সঙ্গে আমাদের কোনো আপস নেই। আমি শুনেছি প্রক্টরিয়াল বডি ওই ছেলেকে সেইফ এক্সিট দিয়ে বের করে দিয়েছে। এর দায়ভার প্রশাসনকে নিতে হবে।
বিশ্ববিদ্যালয়ের সহকারী প্রক্টর নূরুল হামিদ কানন ঢাকা পোস্টকে বলেন, আমরা খবর পেয়ে ওই ছেলেকে কলা অনুষদের ঝুপড়ি থেকে উদ্ধার করে বিশ্ববিদ্যালয়ের মেডিকেলে নিয়ে যাই। সেখানে তার প্রাথমিক চিকিৎসা দেওয়ার পর চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।
আতিকুর রহমান/এমজেইউ