ঘটনাবহুল বছর পার করল ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়
শেষ হচ্ছে ২০২৪ সাল। এ বছর বাংলাদেশ নানা চ্যালেঞ্জ, অর্জন ও পরিবর্তনের সাক্ষী হয়েছে। দেশের শ্রেষ্ঠ বিদ্যাপীঠ প্রাচ্যের অক্সফোর্ড খ্যাত ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ও বছরজুড়ে বহু ঘটনার সাক্ষী।
সময়ের সঙ্গে সঙ্গে বিভিন্ন ঘটনার বাঁকবদল দেশসেরা শিক্ষার্থীদের ভাবিয়েছে, কখনও হতাশ করেছে, কখনও নতুন স্বপ্ন দেখিয়েছে। এ বছরটি যেমন ছিল বৈচিত্র্যময়, তেমনই তা শিক্ষার্থীদের হৃদয়ে কেটেছে গভীর দাগ।
একনজরে দেখে নেওয়া যাক ২০২৪ সালে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে ঘটে যাওয়া গুরুত্বপূর্ণ ঘটনাগুলো—
কোটা আন্দোলন থেকে জুলাই অভ্যুত্থানের কেন্দ্র ছিল ঢাবি
সরকারি চাকরিতে ৩০ শতাংশ মুক্তিযোদ্ধার সন্তান-নাতি-নাতনি কোটাসহ ৫৬ শতাংশ কোটা বাতিলের দাবিতে আন্দোলন শুরু করেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা। গড়ে তোলা হয় বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন। কোটা বাতিলে শাহবাগ মোড় অবরোধ, অর্ধবেলা ও দিনব্যাপী বাংলা ব্লকেড কর্মসূচি, সারা দেশে শাটডাউন এবং কমপ্লিট শাটডাউন, বঙ্গভবন অভিমুখে পদযাত্রা কর্মসূচি পালন করা হয়।
কিন্তু কোনো কিছুই আমলে না নিয়ে পরে ১৪ জুলাই শেখ হাসিনা আন্দোলনরত শিক্ষার্থীদের ‘রাজাকারের নাতি-নাতনি’ সম্বোধন করে বক্তব্য দিলে তাৎক্ষণিকভাবে রাতেই ‘তুমি কে আমি কে, রাজাকার রাজাকার’ স্লোগানে প্রকম্পিত হয় বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাস। শেখ হাসিনাকে ‘স্বৈরাচার’ আখ্যা দিয়ে ১৫ জুলাই কঠোর আন্দোলনে নামেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা। একপর্যায়ে দুপুরের দিকে আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদেরের নির্দেশে বহিরাগতদের নিয়ে এসে শিক্ষার্থীদের ওপর হামলা করে ছাত্রলীগ। সেদিন শিক্ষার্থীদের রক্তে রঞ্জিত হয় ঢাবি ক্যাম্পাস। ভিসি চত্বর, হল পাড়া, চানখারপুল এলাকা, শহীদুল্লাহ হল এলাকা ছিল রণক্ষেত্র।
আরও পড়ুন
এ হামলার ধারাবাহিকতায় কোটা আন্দোলন সরকার পতন ও গণঅভ্যুত্থানে রূপ ধারণের পথে এগিয়ে যায়। বন্ধ করে দেওয়া হয় বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাস। জারি হয় ১৪৪ ধারা। এরপর ঢাবি থেকে একের পর এক কর্মসূচি ঘোষণা হতে থাকে। শেখ হাসিনার পতনের জন্য রাজপথে মানুষ রক্ত ঢেলে দেয়। এদিকে ঢাবি থেকেই বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সমন্বয়করা ৯ দফা, সবশেষে শেখ হাসিনার পদত্যাগের এক দফা দাবি জানান। ৪ আগস্ট কেন্দ্রীয় শহীদ মিনার থেকে ‘মার্চ টু ঢাকা’ কর্মসূচির ঘোষণা হলে ৫ আগস্ট লক্ষ-কোটি ছাত্র-জনতা জীবন বাজি রেখে ঢাকার উদ্দেশ্যে বের হন।
৫ আগস্ট দুপুরে দেশ ছেড়ে পালাতে বাধ্য হন শেখ হাসিনা। এর আগে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সমন্বয়করা গণভবন অভিমুখে পদযাত্রা ঘোষণা করলে শেখ হাসিনা পালানোর আধা ঘণ্টার মধ্যে গণভবন দখলে নেন ছাত্র-জনতা।
হল থেকে ছাত্রলীগকে বহিষ্কার, হলে নিষিদ্ধ ছাত্ররাজনীতি
কোটা সংস্কার আন্দোলনের একপর্যায়ে ১৫ জুলাই ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে সাধারণ শিক্ষার্থীদের ওপর হামলা করে ছাত্রলীগ। ঘটনার জের ধরে ১৭ জুলাই রাতে প্রতিটি হলে বিক্ষোভ শুরু করেন শিক্ষার্থীরা। পরে মধ্যরাত থেকে শুরু করে ভোর পর্যন্ত প্রতিটি হলেই নিষিদ্ধ হয় ছাত্ররাজনীতি। এর আগে মধ্যরাতে প্রতিটি হল থেকে ছাত্রলীগকে বহিষ্কার করেন সাধারণ শিক্ষার্থীরা। ১৬ বছর ধরে একক আধিপত্যের রাজনীতি করে যাওয়া ছাত্রলীগকে এক কাপড়ে পালাতে বাধ্য করেন শিক্ষার্থীরা। এসময় ছাত্রলীগ নেতাদের তিন শতাধিক কক্ষ ভাঙচুর করেন শিক্ষার্থীরা।
ভয়াবহ বন্যায় আশার আলো ছিল টিএসসি
দেশের দক্ষিণ-পূর্বাঞ্চলে বন্যা পরিস্থিতিতে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের উদ্যোগে ‘গণত্রাণ’ কর্মসূচির ঘোষণা দেওয়া হয়। এসময় বন্যার্ত মানুষের পাশে দাঁড়াতে সব শ্রেণি-পেশার মানুষের ঢল নামে। সারা দেশের মানুষের আশার আলো হয়ে উঠে টিএসসি প্রাঙ্গণ। ২২ আগস্ট থেকে ৪ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত চলা ত্রাণ সংগ্রহ কার্যক্রমে মোট ১১ কোটি ৬৯ লাখ ৮৪ হাজার ৪২০ টাকা উত্তোলন করা হয়। এসময় কয়েক শতাধিক ট্রাক বোঝাই ত্রাণ দেশের বিভিন্ন প্রত্যন্ত অঞ্চলে পাঠানো হয়। পরে অবশিষ্ট ৮ কোটি টাকা দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমে প্রধান উপদেষ্টার ত্রাণ তহবিলে জমা দেওয়া হয়।
ভারতবিরোধী আন্দোলনে সবর ছিল ঢাবি
বাংলাদেশে ভারতের দখলদারত্বের চেষ্টা, অভ্যন্তরীণ বিষয়ে হস্তক্ষেপ, পানি বণ্টন চুক্তি, সীমান্ত হত্যাসহ বিভিন্ন ইস্যুতে সারাবছর উত্তপ্ত ছিল ঢাবি ক্যাম্পাস। শিক্ষার্থীরা বিভিন্ন সময় ভারতীয় আগ্রাসনের বিরুদ্ধে বিক্ষোভ করেছেন। বছরজুড়ে ঢাবিতে অর্ধশতাধিক বিক্ষোভ মিছিল অনুষ্ঠিত হয়েছে। ৫ আগস্টের পর ভারতের সঙ্গে করা সব অন্যায্য চুক্তি বাতিলেরও দাবি জানান শিক্ষার্থীরা।
গত ২ ডিসেম্বর ভারতের আগরতলার কুঞ্জবনে অবস্থিত বাংলাদেশ সহকারী হাইকমিশনে ভারতের নাগরিকদের হামলা ও ভাঙচুরের ঘটনার তীব্র প্রতিবাদ জানিয়ে তাৎক্ষণিক বিক্ষোভ মিছিল করেন বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা। পরে ৩ ডিসেম্বর রাজু ভাস্কর্যের পাদদেশে দফায় দফায় শিক্ষার্থী ও অন্যান্য ছাত্রসংগঠনগুলো বিক্ষোভ সমাবেশ করে।
আরও পড়ুন
ঢাবি ছাত্রশিবিরের আত্মপ্রকাশ
নানা জল্পনা-কল্পনার পর ২ অক্টোবর ১৪ সদস্যবিশিষ্ট পূর্ণাঙ্গ কমিটি সবার সামনে প্রকাশ করে ছাত্রশিবির, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শাখা। এর আগে রাষ্ট্রবিজ্ঞান বিভাগের ১৬-১৭ সেশনের শিক্ষার্থী মো. আবু সাদিক কায়েম নিজেকে সভাপতি এবং সমাজকল্যাণ ও গবেষণা ইনস্টিটিউটের ১৭-১৮ সেশনের শিক্ষার্থী এস এম ফরহাদ নিজেকে সেক্রেটারি দাবি করে ফেসবুকে নিজেদের আত্মপ্রকাশ করেন।
ফলে দীর্ঘ ১১ বছর পরে নিজেদের অস্তিত্বের জানান দেয় ঢাবি ছাত্রশিবির। যদিও এখনো তারা বিশ্ববিদ্যালয়ের ১৮টি হলের কমিটি প্রকাশ করেনি। এর আগে সর্বশেষ ২০১৩ সালে প্রকাশ্যে মিছিল করেছিল ঢাবি শিবিরের নেতাকর্মীরা।
শিক্ষার্থীদের নিরাপত্তা বিবেচনায় ঢাবিতে যান চলাচল সীমিত
ঢাবি শিক্ষার্থীদের নিরাপত্তার কথা বিবেচনা করে এবং ক্যাম্পাসের সুষ্ঠু পরিবেশ নিশ্চিত করতে বিশ্ববিদ্যালয়ের ৭টি প্রবেশদ্বারে নিরাপত্তা চৌকি এবং সিকিউরিটি অ্যান্ড সার্ভিলেন্স বক্স বসানো হয়। এক বিজ্ঞপ্তিতে সরকারি ছুটির দিনগুলোতে বিকেল ৩টা থেকে রাত ১০টা এবং অফিস চলাকালীন দিনগুলোতে বিকেল ৫টা থেকে রাত ১০টা পর্যন্ত ঢাবি স্টিকারযুক্ত গাড়ি, জরুরি সেবা (অ্যাম্বুলেন্স, ডাক্তার, রোগী, সাংবাদিকসহ অন্যান্য সরকারি গাড়ি) ব্যতীত অন্য কোনো যানবাহন ক্যাম্পাসের ভেতরে প্রবেশ নিষিদ্ধ করা হয়।
তবে যান চলাচল সীমিত করার এ উদ্যোগকে শিক্ষার্থীরা সাধুবাদ জানালেও এ পদক্ষেপের কারণে আশপাশের এলাকায় প্রচুর যানজটের সৃষ্টি হয়। তাছাড়া বিশ্ববিদ্যালয়টি ঢাকার কেন্দ্রে অবস্থিত, যান চলাচল সীমিত করলে আশপাশের এলাকায় প্রভাব পড়তে পারে। তাই এমন সিদ্ধান্তের ঘোর বিরোধিতা করেন অনেকে।
চোর সন্দেহে গণপিটুনি, তোফাজ্জল নামের এক ব্যক্তির মৃত্যু
ঢাবির ফজলুল হক মুসলিম হলে চোর সন্দেহে গণপিটুনির শিকার হয়ে মৃত্যুবরণ করেন তোফাজ্জল নামের এক ব্যক্তি। জানা যায়, তিনি মানসিক ভারসাম্যহীন ছিলেন। পরে ঘটনার সুষ্ঠু তদন্তের জন্য সাত সদস্যের একটি কমিটি গঠন করে হল প্রশাসন।
বিষয়টি ব্যাপক আলোচনা-সমালোচনার জন্ম দেয়। দেশসেরা মেধাবীদের হাতে এমন মৃত্যু মানতে পারেননি সাধারণ শিক্ষার্থী ও দেশের মানুষ। ফলে বিভিন্ন জায়গায় অপরাধীদের গ্রেপ্তার ও শাস্তির দাবিতে বিক্ষোভ সমাবেশ হয়।
আরও পড়ুন
ঢাবি উপাচার্যসহ গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তিদের পদত্যাগ
ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানে স্বৈরাচারী শেখ হাসিনা দেশ ছেড়ে পালিয়ে যান। তবে রেখে যান তার আমলে নিয়োগ পাওয়া আমলা, সরকারি কর্মকর্তা ও রাজনীতিবিদদের। শেখ হাসিনার পতন হলেও ঢাবিতে উপাচার্যসহ গুরুত্বপূর্ণ সব পদেই বহাল তবিয়তে ছিলেন আওয়ামীপন্থি নীল দলের শিক্ষকরা। পরে শিক্ষার্থীরা বিক্ষোভ শুরু করলে ১০ আগস্ট সাবেক উপাচার্য অধ্যাপক ড. মাকসুদ কামাল শিক্ষা মন্ত্রণালয়ে পদত্যাগপত্র জমা দেন। এরপর বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার, ডিন, প্রভোস্ট, প্রক্টর ও প্রক্টরিয়াল বডির সবাই একে একে পদত্যাগ করেন।
ঢাবিতে বয়কটের শিকার অন্তত ৮১ শিক্ষক
জুলাই বিপ্লবকে ঘিরে শিক্ষার্থীদের বিপক্ষে অবস্থান নেওয়া, আন্দোলনে যেতে বাধা ও হুমকি দেওয়া, ছাত্রলীগকে আন্দোলনকারীদের তথ্য দেওয়া, নীল দলের মিছিলে অংশ নেওয়ার অভিযোগে বিভিন্ন বিভাগের ৪১টি বিভাগ ও ইনস্টিটিউটের অন্তত ৮১ জন শিক্ষককে শিক্ষার্থীদের বয়কটের মুখে পড়তে হয়েছে। অনেক শিক্ষক স্বেচ্ছায় অব্যাহতি নিলেও কিছু শিক্ষক অব্যাহতি না নেওয়ায় শিক্ষার্থীরা তাদের বিরুদ্ধে জোরালো আন্দোলন গড়ে তোলেন।
ঢাবিতে নতুন উপাচার্য
অভ্যুত্থানে শেখ হাসিনার পতনের পর শিক্ষার্থীদের ক্ষোভের মুখে ১০ আগস্ট পদত্যাগ করেন ঢাবির উপাচার্য অধ্যাপক ড. এ এস এম মাকসুদ কামাল। পরে ২৬ আগস্ট ঢাবির ৩০তম উপাচার্য হিসেবে দায়িত্ব গ্রহণ করেন বিশ্ববিদ্যালয়ের উন্নয়ন অধ্যয়ন বিভাগের অধ্যাপক এবং ইনডিপেনডেন্ট ইউনিভার্সিটি, বাংলাদেশের (আইইউবি) সাবেক উপ-উপাচার্য অধ্যাপক ড. নিয়াজ আহমেদ খান। রাষ্ট্রপতি আগামী চার বছরের জন্য তাকে নিয়োগ দেন।
ঢাবি পেল নতুন উপ-উপাচার্য, রেজিস্ট্রার, ডিন, হল প্রাধ্যক্ষ ও প্রক্টর
১০ আগস্ট ঢাবি উপাচার্য পদত্যাগের পর বিশ্ববিদ্যালয়ের দুজন উপ-উপাচার্য, রেজিস্ট্রার, ডিন, হল প্রাধ্যক্ষ ও প্রক্টর পদত্যাগ করেন। ফলে শূন্য পদগুলোতে নতুন শিক্ষকদের নিয়োগ শুরু হয়। পরে ২ সেপ্টেম্বর অর্থনীতি বিভাগের অধ্যাপক ড. সায়েমা হক বিদিশাকে উপ-উপাচার্য (প্রশাসন) এবং ১২ সেপ্টেম্বর প্রাণরসায়ন ও অনুপ্রাণ বিজ্ঞান বিভাগের অধ্যাপক ড. মামুন আহমেদকে উপ-উপাচার্য (শিক্ষা) পদে আগামী চার বছরের জন্য নিয়োগ দেন রাষ্ট্রপতি ও বিশ্ববিদ্যালয়ের আচার্য সাহাবুদ্দিন চুপ্পু।
এর আগে ২৮ আগস্ট শান্তি ও সংঘর্ষ অধ্যয়ন বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক সাইফুদ্দীন আহমদকে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর হিসেবে নিয়োগ দেন ঢাবি উপাচার্য। একই দিনে আরও ছয় জন সহকারী প্রক্টর নিয়োগ দেয় বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন।
এরপর ২৯ আগস্ট ভারপ্রাপ্ত রেজিস্ট্রার হিসেবে মুন্সী শামস উদ্দিন আহম্মদকে নিয়োগ দেন উপাচার্য। পরে ৩ সেপ্টেম্বর আটটি অনুষদে ডিন এবং একে একে ১৬টি হলে নতুন প্রাধ্যক্ষ নিয়োগ দেওয়া হয়।
শিক্ষক-কর্মকর্তা-কর্মচারীদের আন্দোলন
সর্বজনীন পেনশন সংক্রান্ত প্রত্যয় স্কিম প্রত্যাহার, আগের পেনশন স্কিম চালু রাখা এবং শিক্ষকদের সুপার গ্রেডের দাবিতে লাগাতার কর্মসূচির আওতায় সর্বাত্মক কর্মসূচি পালন ছিল এ বছরের অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ অংশ। ২০ মে এ দাবি নিয়ে ঢাবিতে সংবাদ সম্মেলন করে বাংলাদেশ বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক সমিতি ফেডারেশন। এরপর ৩০ জুন এক বিজ্ঞপ্তিতে অনির্দিষ্টকালের জন্য ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সব পরীক্ষা স্থগিত ঘোষণা করে প্রশাসন।
একই সময়ে প্রত্যয় স্কিম বাতিল ও আগের পেনশন স্কিম চালু রাখতে আন্দোলন ও কর্মবিরতি শুরু করেন বিশ্ববিদ্যালয়ের কর্মকর্তা ও কর্মচারীরা। ফলে দীর্ঘদিন বিশ্ববিদ্যালয়ে ক্লাস পরীক্ষা ও সব প্রশাসনিক কাজ বন্ধ থাকে। যদিও বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের কোটা সংস্কার আন্দোলন পূর্ণমাত্রায় শুরু হলে এবং শিক্ষার্থীদের ওপর ছাত্রলীগের হামলা হলে চাপা পড়ে যায় তাদের আন্দোলন।
কেএইচ/এসএসএইচ