পরিশীলিত রাজনীতি না হলে ক্যাম্পাসে ছাত্ররাজনীতি বন্ধ হওয়া উচিত
ক্যাম্পাসগুলোতে পরিশীলিত রাজনীতি না হলে ছাত্ররাজনীতি বন্ধ হওয়া উচিত বলে মন্তব্য করেছেন হার্ভার্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের সহকারী অধ্যাপক এবং বাংলাদেশ ইসলামি ছাত্রশিবিরের ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক সভাপতি মির্জা গালিব।
রোববার (২৯ ডিসেম্বর) রাত সাড়ে ৭টায় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্র-শিক্ষক কেন্দ্র (টিএসসি) মিলনায়তনে আয়োজিত ‘Shibir Meets Brilliance' শীর্ষক মতবিনিময় সভায় তিনি এমন মন্তব্য করেন।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রশিবিরের সেক্রেটারি এস এম ফরহাদের সঞ্চালনায় এবং সভাপতি আবু সাদিক কায়েমের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ডিবেটিং সোসাইটির সভাপতি অর্পিতা গুলদার, সাধারণ সম্পাদক আদনান মোস্তারি, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় সাংবাদিক সমিতির সভাপতি মহিউদ্দিন মোজাহিদ মাহী, সাধারণ সম্পাদক মোতাহার হোসেন শিবির সম্পর্কিত সমসাময়িক প্রশ্নগুলো উত্থাপন করেন।
আরও পড়ুন
মির্জা গালিব বলেন, ক্যাম্পাসে শিবির পরাশীলিত রাজনীতি করে। অন্যান্যদেরও পরিশীলিত রাজনীতি করা উচিত। যদি পরিশীলিত রাজনীতি না হয়, তাহলে আমি মনে করি ছাত্ররাজনীতি বন্ধ হওয়া উচিত।
তিনি আরও বলেন, জাতীয় রাজনীতিতে এমন কিছু ক্রিটিক্যাল মোমেন্ট আসে যখন তরুণ নেতৃত্বের প্রয়োজন হয়। যারা সৎ, আদর্শ ভিত্তিক রাজনীতি করে, যারা মনে করে যে হিমালয় পর্বত আমরা উল্টিয়ে ফেলে দিতে পারে।
সুপ্রিম কোর্টের অ্যাডভোকেট এবং ছাত্রশিবিরের সাবেক কেন্দ্রীয় সেক্রেটারি জেনারেল শিশির মনির বলেন, আমরা প্রত্যাশা করি শিবির লেজুড়বৃত্তিক রাজনীতি করবে না, তারা দলবাজি করবে না। তারা সাধারণ শিক্ষার্থীদের মতো জীবন-যাপন করবে। বাংলাদেশে ছাত্রসংগঠনগুলোকে রাজনৈতিক দলগুলো কান ধরে ওঠবস করাবে এটা আমি চাই না। ছাত্রশিবিরের ছেলেরা এমন আচরণ করবে, তারা শিক্ষককে প্রশ্নের সম্মুখীন করে চ্যালেঞ্জ করবে।
তিনি আরও বলেন, আমি সেদিন কেন্দ্রীয় লাইব্রেরির সামনে গিয়েছিলাম। লাইব্রেরির অবস্থা দেখেই বুঝছিলাম ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে এখন কোনো আন্তর্জাতিক মানের জার্নাল বের হয় না। আমরা চাই শিবির আন্তর্জাতিক মানের জার্নাল পাবলিশে শিক্ষার্থীদের নেতৃত্ব দেবে। তারা ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের হারানো সেই গৌরব ফিরিয়ে আনতে শিক্ষার্থীদের নেতৃত্ব দেবে।
ছাত্রশিবিরের কেন্দ্রীয় সেক্রেটারি জেনারেল জাহিদুল ইসলাম বলেন, একসময় বলা হতো শিক্ষার্থীরা রাজনৈতিক বিষয় কম বুঝে। কিন্তু ২৪ বুঝিয়ে দিয়েছে শিক্ষার্থীরা রাষ্ট্র গঠন করতে পারে। শিবির হিসেবে কি করণীয় যদি বলতে হয়, আমি মনে করি প্রচুর পড়াশোনা করতে হবে।
তিনি আরও বলেন, যে কোনো গার্ডিয়ানকে যখন প্রশ্ন করা হয়, আপনার সন্তানকে কেমন দেখতে চান? তারা সবাই বলে আমার সন্তানকে ভালো মানুষ হিসেবে দেখতে চাই। আর একজন শিক্ষার্থীকে মানুষ হিসেবে গড়তে প্রতিটি ক্ষেত্রে সমস্যা চিহ্নিত করে তাকে আদর্শ মানুষ হিসেবে গড়তে ছাত্রশিবির কাজ করে থাকে। আমরা জুলাই অভ্যুত্থানে লালন করে সামনে এগিয়ে যেতে চাই এবং এই কাজে সবার কাছে সহযোগিতা প্রত্যাশা করি।
কেএইচ/এমএন