জমে উঠেছে ‘ইবনে আল-হাইসাম সায়েন্স ফেস্ট’
জমে উঠেছে ‘ইবনে আল-হাইসাম সায়েন্স ফেস্ট ২০২৪’। তরুণ প্রজন্মকে ইসলামী মূল্যবোধ সমৃদ্ধ ও বিজ্ঞানমনস্ক করে গড়ে তোলার উদ্দেশ্যে এই সায়েন্স ফেস্টে আয়োজন করা হয়। এতে দেশের বিভিন্ন প্রান্তের স্কুলের শিক্ষার্থীরা অংশ নিয়েছেন।
রোববার (২৯ ডিসেম্বর) সকাল ৯টা থেকে সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে সায়েন্স ফেস্ট শুরু হয়। অনুষ্ঠানটির আয়োজক বাংলাদেশ ইসলামী ছাত্রশিবির।
দিনব্যাপী এ আয়োজনে দেশের নানা প্রান্ত থেকে আগত শিক্ষার্থী ও অভিভাবকরা তরুণ শিক্ষার্থীদের বিজ্ঞানমনস্ক উদ্ভাবনী দেখতে আসেন। এ ছাড়া ফেস্টে বিভিন্ন প্রতিযোগিতার আয়োজন করা হয়।
সায়েন্স ফেস্টে শতাধিক স্টল বসান দেশের বিভিন্ন জেলা থেকে আগত বিজ্ঞানপ্রিয় শিক্ষার্থীরা। ফেস্টে শিক্ষার্থীরা সোলার প্যানেলের মাধ্যমে ফ্যাক্টরি পরিচালনা করে কার্বন নিঃসরণ, ড্রোন প্রযুক্তির উদ্ভাবন, আধুনিক নগর পরিকল্পনা, বর্জ্য পুড়িয়ে বিদ্যুৎ উৎপাদন, কোল্ড স্টোরেজ সিস্টেম, পরিবেশ দূষণ না করে বিদ্যুৎ উৎপাদন ক্ষতিকর গ্যাস নিঃসরণ রোধী উপায়, গ্যাস পৃথককরণ প্রজেক্ট, আরবান রেজিল্যান্স ড্রেনেজ অ্যান্ড সুয়েজ সিস্টেমসহ শতাধিক স্টল বসানো হয়।
বিষাক্ত গ্যাস শনাক্তকরণ প্রক্রিয়ার উদ্ভাবনী স্টলের আয়োজক বিএম সরকারি স্কুলের ৮ম শ্রেণির শিক্ষার্থী মুহসিন মুয়াজ বলেন, ছাত্রশিবির আয়োজিত এই সায়েন্স ফেস্টের মাধ্যমে আমাদের তরুণ শিক্ষার্থীদের বিজ্ঞানের প্রতি ঝোঁক বাড়বে, সুপ্ত প্রতিভা বিকশিত হবে। যা দেশের সামগ্রিক উন্নয়নে অগ্রগতি লাভ করবে৷ আমি চাই, এমন সায়েন্স ফেস্টের আয়োজন নিয়মিত হোক, যেন দেশের প্রতিটি ঘরেই একজন সাইন্টিস্ট তৈরি হয়।
শেরে বাংলা স্কুল অ্যান্ড কলেজের ৮ম শ্রেণির শিক্ষার্থী মাহমুদুল হাসান বলেন, আমি আজকের ফেস্টে দূষিত বাতাস পরিমাপের যন্ত্র নিয়ে এসেছি। এর মাধ্যমে বাতাস বিশুদ্ধ কি-না তা নির্ণয় কিরা যাবে। এমন সায়েন্স ফেস্টের আয়োজন শিক্ষার্থীদের জন্য গুরুত্বপূর্ণ। আমি চাই এমন ফেস্ট নিয়মিত আয়োজন করা হোক।
ফেস্টে রোবটিক্স কিউব কম্পিটিশনে অংশ নিতে গাজীপুর থেকে বাবা-মার সঙ্গে এসেছেন চার ভাইবোন- লুবাবা, নাওয়াল, সাদ ও জাওয়াদ। তারা বলেন, এমন আয়োজন প্রশংসার দাবিদার। শিক্ষার্থীদের বিজ্ঞানমনস্ক করতে এমন ফেস্ট প্রতিবছর আয়োজন করা জরুরি।
প্রসঙ্গত, বাংলাদেশ ইসলামী ছাত্রশিবির আয়োজিত এই আয়োজনের মূল উদ্দেশ্য হলো শিক্ষার্থীদের মধ্যে বিজ্ঞান চর্চার প্রতি আগ্রহ সৃষ্টি করা। পাঠ্যপুস্তকের বাইরে বাস্তব জীবনে বিজ্ঞানের প্রয়োগ, গবেষণা ও উদ্ভাবনী চিন্তাকে উৎসাহিত করা। প্রতিযোগিতামূলক এই আয়োজনে থাকছে জুনিয়র সায়েন্টিস্ট হান্ট প্রজেক্ট শো, রুবিক্স কিউব প্রতিযোগিতাসহ নানা আকর্ষণীয় ইভেন্ট। এ ছাড়াও থাকছে ফিজিক্স, কেমিস্ট্রি, অ্যাস্ট্রোনমি, আইটি বিষয়ক বুথ, বৈজ্ঞানিক তথ্যচিত্র প্রদর্শনী ও ক্যারিয়ার কাউন্সেলিং।
কেএইচ/এমএন