বেঁচে থাকলে পড়াশোনা হবে, এখন ধৈর্য
বিশ্ববিদ্যালয় খোলার বিষয়ে শিক্ষার্থীদের ধৈর্য ধরতে বলেছেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. আখতারুজ্জামান।
তিনি বলেন, শিক্ষার্থীদের স্বাস্থ্য সুরক্ষার বিষয়টি বেশি জরুরি। জীবনে বেঁচে থাকলে পড়াশোনা করা যাবে, সবকিছু করা যাবে। শিক্ষার্থীদের এখন ধৈর্য ধরা উচিত। শিক্ষার্থীদের বিষয়ে সরকারের পরিকল্পনা রয়েছে।
বিশ্ববিদ্যালয় খোলার প্রসঙ্গে শনিবার (২২ মে) ঢাকা পোস্টের সঙ্গে আলাপকালে এসব কথা বলেন ঢাবি উপাচার্য।
বিশ্ববিদ্যালয় খোলার বিষয়ে প্রধানমন্ত্রীর কয়েকটি নির্দেশনা রয়েছে জানিয়ে উপাচার্য বলেন, শিক্ষার্থীদের স্বাস্থ্য সুরক্ষার বিষয়টি নজরে আনার জন্য সরকার সংশ্লিষ্টদের কড়াভাবে নির্দেশনা দিয়েছে। বিশেষ করে, শিক্ষার্থীদের কীভাবে ভ্যাকসিনের আওতায় আনা যায়, সে বিষয়ে স্বাস্থ্য অধিদফতর এবং বিশ্ববিদ্যালয়গুলোকে প্রধানমন্ত্রী নির্দেশনা দিয়েছেন। এরপরও বাড়তি কথা বলার সুযোগ আছে কি?
টিকার বিষয়ে ঢাবি উপাচার্য বলেন, সামনে যে টিকা আসবে, সেটাতে সরকার যেন আমাদের শিক্ষার্থীদের অগ্রাধিকার দেয়, সে আবেদন করব। তারপর যত দ্রুত সম্ভব বিশ্ববিদ্যালয় খোলার বিষয়ে অগ্রসর হতে সক্ষম হব।
এদিকে, শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খুলে দেওয়ার দাবিতে আগামী ২৪ মে ঢাকাসহ সারাদেশে মানববন্ধনের ডাক দিয়েছেন সাধারণ শিক্ষার্থীরা। ‘অবিলম্বে বিশ্ববিদ্যালয় খুলে দিতে হবে’ নামে ফেসবুকভিত্তিক এক প্ল্যাটফর্মের মাধ্যমে তারা এ ঘোষণা দেন। জানা গেছে, ইতোমধ্যে ঢাকা, রাজশাহী, সিলেট, খুলনা এবং ময়মনসিংহের শিক্ষার্থীরা আন্দোলনের জন্য প্রস্তুতিও নিয়েছেন।
শিক্ষার্থীদের পক্ষ থেকে মোহাম্মদ ইসমাইল নামে এক শিক্ষার্থী বলেন, গত মার্চ মাসে যখন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খোলার দাবিতে সারাদেশে জোরালো আন্দোলন শুরু হয় তখন শিক্ষামন্ত্রী বলেছিলেন, ১৭ মে হল ও ২৪ মে ক্যাম্পাস খুলে শিক্ষা-কার্যক্রম স্বাভাবিক করা হবে এবং তার আগে শিক্ষক-শিক্ষার্থীদের টিকার আওতায় নিয়ে আসা হবে।
তিনি বলেন, আমরা দেখলাম সরকার হাতে দু-মাস সময় পেয়েও এখন পর্যন্ত শিক্ষক-শিক্ষার্থীদের টিকার আওতায় আনেনি। তারা যদি শিক্ষক-শিক্ষার্থীদের নিরাপত্তার বিষয়টি সত্যিই গুরুত্ব দিয়ে থাকে, তাহলে টিকা দেওয়ার ক্ষেত্রে কেন এখনও তাদের প্রাধান্য দেওয়া হচ্ছে না?
এইচআর/আরএইচ