ঢাবিতে যান চলাচল নিয়ন্ত্রণে ৭ প্রবেশপথে নিরাপত্তা চৌকি
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় (ঢাবি) ক্যাম্পাসে যানবাহন নিয়ন্ত্রণে ৭টি প্রবেশ পথে বেরিয়ার (নিরাপত্তা চৌকি) এবং সিকিউরিটি অ্যান্ড সার্ভিলেন্স বক্স উদ্বোধন করা হয়েছে। এর ফলে ক্যাম্পাস এলাকায় বহিরাগত যান চলাচল সীমিত হয়েছে।
বৃহস্পতিবার (১২ ডিসেম্বর) রাতে পলাশী মোড় সংলগ্ন বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রবেশ পথে নবনির্মিত এসব বেরিয়ার এবং সিকিউরিটি অ্যান্ড সার্ভিলেন্স বক্স উদ্বোধন করেন বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. নিয়াজ আহমদ খান।
নিরাপত্তা চৌকি এবং সিকিউরিটি অ্যান্ড সার্ভিলেন্স বক্স স্থাপন করা বিশ্ববিদ্যালয়ের গেটগুলো হলো- পলাশীর মোড়, নীলক্ষেত মোড়, শহীদ মিনার, শাহবাগ, শহীদুল্লাহ হল, হাইকোর্ট মোড় এবং শিববাড়ি ক্রসিং মোড়।নিরাপত্তা চৌকি এবং সিকিউরিটি অ্যান্ড সার্ভিলেন্স বক্স স্থাপনের ফলে বিশ্ববিদ্যালয় এলাকায় স্টিকার বিহীন গাড়ি, ভারী যানবাহন, গণপরিবহন এবং বহিরাগতদের প্রবেশ করতে পারবে না৷
প্রশাসনের এই উদ্যোগে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা ব্যাপক খুশি হয়েছেন। তারা সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ঢাবি প্রশাসনকে সাধুবাদ জানিয়ে বিভিন্ন পোস্ট করছেন। দীর্ঘদিন ধরে এই উদ্যোগের অপেক্ষাতেই ছিলেন বলে ঢাকা পোস্টকে জানিয়েছেন বেশ কয়েকজন শিক্ষার্থী।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের চতুর্থ বর্ষের শিক্ষার্থী হাসান তারিক ঢাকা পোস্টকে বলেন, এটি অসাধারণ একটি উদ্যোগ। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের পরিবেশ আগে একটা বাজারের মতো ছিলো। যে যার মতো আসতো-যেতো, ব্যবহার করতো। ফলে নিজেকে মাঝেমধ্যে ক্যাম্পাসের হয়েও নিজেকে বহিরাগত লাগতো। গতকাল রাত থেকে যে নিরাপত্তা চৌকি স্থাপন করা হয়েছে সেটা সবসময়ই জারি থাকবে এবং ক্যাম্পাসের সুষ্ঠু পরিবেশ বজায় থাকবে বলে আশা রাখি।
আরও পড়ুন
বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী সালমান বলেন, ছুটির দিনগুলোতে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের পরিবেশ নিয়ন্ত্রণের বাইরে চলে যায়। চাইলেও আর বহিরাগতদের নিয়ন্ত্রণ করা যায় না। ফলে ক্যাম্পাসের মুক্ত বাতাসে নিশ্বাস নেওয়া কঠিন হয়ে পড়ে। অনেক দিন আগে ক্যাম্পাসের প্রবেশপথে সিকিউরিটি সার্ভিলেন্স বক্স স্থাপন করা হলেও সেগুলো কার্যকর করা হয়নি। ফলে শিক্ষার্থীদের দুর্ভোগের শেষ ছিল না। বর্তমান প্রশাসন যে নিরাপত্তা চৌকি স্থাপন করে বহিরাগতদের নিয়ন্ত্রণ করছে সেটা শিক্ষার্থীদের দীর্ঘদিনের আকাঙ্ক্ষা ছিল। এমন উদ্যোগে প্রশাসনকে সাধুবাদ জানাই।
বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর সাইফুদ্দীন আহমদ বলেন, রোগী, বিশ্ববিদ্যালয়ের কোনো অতিথির গাড়ি কিংবা বিশ্ববিদ্যালয়ে কোনো অফিশিয়াল কাজে এলে অবশ্যই ক্যাম্পাসে ঢোকা যাবে। শিক্ষার্থীদের চাওয়ার পরিপ্রেক্ষিতেই চলাচল সীমিত রাখার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। এ সিদ্ধান্ত কার্যকর থাকবে।
উপাচার্য অধ্যাপক ড. নিয়াজ আহমদ খান বলেন, ক্যাম্পাসে স্টিকার বিহীন গাড়ি, গণপরিবহন ও ভারি যানবাহন চলাচল এবং বহিরাগতদের প্রবেশ নিয়ন্ত্রণ করার জন্য এসব বেরিয়ার এবং সিকিউরিটি অ্যান্ড সার্ভিলেন্স বক্স স্থাপন করা হয়েছে। বিশ্ববিদ্যালয়ের সার্বিক নিরাপত্তা ব্যবস্থা জোরদার করাসহ অনাকাঙ্ক্ষিত ঘটনা রোধে এটি কার্যকর ভূমিকা রাখবে। এতে ক্যাম্পাসের সার্বিক মান ঠিক থাকবে এবং শিক্ষার্থীদের পড়াশোনার সুন্দর পরিবেশ ফিরে আসবে।
কেএইচ/এমএন