মহানবী (সা.)-কে অবমাননা : শিশির ভট্টাচার্যকে বয়কটের ঘোষণা
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের আধুনিক ভাষা ইনস্টিটিউটের সাবেক পরিচালক ও শিক্ষক অধ্যাপক ড. শিশির ভট্টাচার্য্য মহানবী হজরত মুহাম্মদ (সা.)-কে নিয়ে উসকানিমূলক বক্তব্য দেওয়ার এর প্রতিবাদে তাকে বয়কটের সিদ্ধান্ত নিয়েছেন ইনস্টিটিউটের ফরাসি ভাষা ও সংস্কৃতি বিভাগের শিক্ষার্থীরা।
বৃহস্পতিবার (১২ ডিসেম্বর) রাতে এক বিবৃতিতে শিক্ষক শিশির ভট্টাচার্য্যকে বয়কটের সিদ্ধান্ত জানান শিক্ষার্থীরা।
বিবৃতিতে বলা হয়, ধর্মীয় অবমাননা ও উসকানিমূলক বক্তব্য ও সাম্প্রদায়িক মনোভাবের কারণে ড. শিশির ভট্টাচার্য্য-কে আমরা বয়কটের সিদ্ধান্ত নিয়েছি।
আরও পড়ুন
এতে বলা হয়, বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সময় তিনি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে নানা মিথ্যাচার ছড়ানোসহ ফ্যাসিস্ট সমর্থিত ঔদ্ধত্যপূর্ণ বক্তব্য দিয়েছেন। এছাড়া সমসাময়িক বিভিন্ন ইস্যুতে তাকে রাষ্ট্রীয় সম্প্রীতি বিনষ্ট হয় এমন মন্তব্য করতে দেখা যায়। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সিনিয়র শিক্ষকদের একজন হওয়া সত্ত্বেও এ ধরনের সাম্প্রদায়িক মনোভাব তার কাছে একান্তই কাম্য নয়।
শিশির ভট্টাচার্য্য-র বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণ না করা হলে কঠোর পদক্ষেপ নেওয়া হবে জানিয়ে বিবৃতিতে বলা হয়, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সচেতন শিক্ষার্থী হিসেবে এ সকল সাম্প্রদায়িকতা আমরা মেনে নিতে পারি না। অতএব, আমাদের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী আমরা আজকের দিন থেকে ড. শিশির ভট্টাচার্য্যের অধীনে কোনো ক্লাস, কোর্স কিংবা প্রশাসনিক কার্যক্রমে অংশ নেবো না। একইসঙ্গে আমাদের জোর দাবি থাকবে, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন যাতে অতি দ্রুত তাকে অবাঞ্ছিত ঘোষণা করে ও তার এসকল কর্মকাণ্ডের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণ করে। অন্যথায় আমরা সাধারণ শিক্ষার্থীরা কঠোর পদক্ষেপ গ্রহণ করতে বাধ্য হবো।
এর আগে, গতকাল বুধবার (১১ ডিসেম্বর) সিরিয়ায় দুই যুগ ধরে ক্ষমতায় থাকা প্রেসিডেন্ট বাশার আল-আসাদকে নিয়ে একটি স্ট্যাটাস দিয়েছেন এই অধ্যাপক। সেখানে তিনি লিখেছেন, ‘আসাদও পালালো?’ প্রশ্ন শুনে এক আরবি বন্ধু বললো: ‘অবাক হচ্ছো কেন, পালানোতো সুন্নত (আরব দেশে মহাপুরুষদের অনুকরণীয় দৃষ্টান্ত)!’।
পোস্টকে ঘিরে শিশির ভট্টাচার্যের বিরুদ্ধে ক্ষোভ প্রকাশ করেন বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা। এ ঘটনার জন্য তাকে চাকরিচ্যুত করে বিচারের আওতায় আনার দাবি জানিয়েছেন বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা।
কেএইচ/এমএসএ