শেখ হাসিনার অপরাধ ইতিহাসে রাষ্ট্রদ্রোহ হিসেবে বিবেচিত হবে
বিশিষ্ট লেখক ও অধ্যাপক সলিমুল্লাহ খান বলেছেন, শেখ হাসিনার অবৈধ ক্ষমতা দখলের জন্য তার অপরাধ ইতিহাসের দৃষ্টিতে রাষ্ট্রদ্রোহ হিসেবে বিবেচিত হবে। আপনারা সেটা বাস্তবায়ন করতে পারেন কি-না সেটা আপনার শক্তির ওপর নির্ভর করে। কিন্তু আমাকে যদি সাক্ষী দিতে বলা হয়। আমি সাক্ষী দেব।
মঙ্গলবার (৩ ডিসেম্বর) দুপুরে বিশ্ববিদ্যালয়ের জাদুঘরে ‘পাথুরে প্রমাণ অথবা ইতিহাস কেন দিগ্বিজয়ের কাহিনি নয়’ শিরোনামে আয়োজিত একক বক্তৃতা অনুষ্ঠানে তিনি এসব কথা বলেন।
সলিমুল্লাহ খান বলেন, শেখ হাসিনা যা করেছেন সেটা হিটলারের চেয়ে কোনো অংশে কম নয়। আরও বেশি জঘন্য। কারণ আমাদের দেশ স্বাধীন, আমাদের অধিকার সংবিধানে দেওয়া আছে। তিনি প্রতি পদে সংবিধান লঙ্ঘন করেছেন। আমাকে জঙ্গি নামে হোক, অথবা দেশদ্রোহী নামে হোক বিনা বিচারে যদি ২৪ ঘণ্টা আটকে রাখা হয়, আমাকে যদি গোপন করা হয় সেটা হচ্ছে রাষ্ট্রদোহের সমান অপরাধ। কারণ রাষ্ট্রের মালিক হচ্ছে প্রত্যেকটা নাগরিক এবং প্রত্যেকের বিচার পাওয়ার অধিকার রয়েছে। রাষ্ট্রদ্রোহ মানে হচ্ছে অবৈধভাবে ক্ষমতা দখল করা।
দেশের শিক্ষা ও সংস্কৃতি খাতের সমালোচনা করে সলিমুল্লাহ খান বলেন, আমাদের সব সরকারের সবচেয়ে অবহেলিত দিক হচ্ছে বিদ্যাচর্চা। শিক্ষাখাতে বরাদ্দ মাত্র জাতীয় আয়ের দুই ভাগ, যেখানে জাতিসংঘ বহুবছর আগে বলেছে, কমপক্ষে ছয় বছর করতে হবে। আমাদের সব মন্ত্রণালয়ের মধ্যে দরিদ্রতম মন্ত্রণালয় হচ্ছে সংস্কৃতি মন্ত্রণালয়। এখন জাদুঘর কি শিক্ষামন্ত্রণালয়ে যাবে নাকি সংস্কৃতিবিষয়ক মন্ত্রণালয়ে যাবে সে তর্ক আমরা করতে পারব।
অনুষ্ঠানের শুরুতে জাদুঘরের পরিচালক অধ্যাপক মোহাম্মদ জাহিদুর রহমান চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের জাদুঘরের সাম্প্রতিক কার্যক্রম তুলে ধরেন। তিনি বলেন, জাদুঘরের বিভিন্ন সংগ্রহ আমরা অনলাইনে ছেড়ে দিয়েছি। আমরা চাই আমাদের যে প্রতিষ্ঠিত ইতিহাসের বাইরে নতুন কিছু পাওয়া যায় কি না। আমরা বুদ্ধিভিত্তিক বিতর্ক হোক সেটা চাই।
আতিকুর রহমান/এএমকে