জাবিতে মুক্তিযোদ্ধার নাতি-নাতনি কোটা বাতিলসহ তিন দাবিতে মানববন্ধন
জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ে (জাবি) ভর্তি পরীক্ষায় মুক্তিযোদ্ধার নাতি-নাতনি কোটা বাতিলসহ তিন দাবিতে মানববন্ধন করেছেন শিক্ষার্থীরা। রোববার (১ ডিসেম্বর) বেলা ১১টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের নতুন প্রশাসনিক ভবনের সামনে এ মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়।
শিক্ষার্থীদের দাবিগুলো হলো- বিশ্ববিদ্যালয়ের ভর্তি পরীক্ষায় মুক্তিযোদ্ধাদের নাতি-নাতনি কোটা বাতিল, ভিসি কোটা বাতিল করতে হবে এবং পোষ্য কোটা সংস্কার করতে হবে।
মানববন্ধনটি সঞ্চালনা করেন বিশ্ববিদ্যালয়ের ৪৯তম ব্যাচের শিক্ষার্থী কাউসার আলম আরমান। এতে বিভিন্ন বিভাগের শিক্ষার্থীরা বক্তব্য দেন।
মানববন্ধনে বিশ্ববিদ্যালয়ের সরকার ও রাজনীতি বিভাগের ৫০তম ব্যাচের শিক্ষার্থী জিয়া উদ্দিন আয়ান বলেন, আমরা বেশ কিছু দিন ধরে বিশ্ববিদ্যালয়ের ভর্তি পরীক্ষায় বৈষম্যমূলক কোটা পদ্ধতি সংস্কারের দাবি জানিয়ে আসছি। আজ আমরা এই কোটা সংস্কারের তিন দাবিতে এখানে অবস্থান নিয়েছি। কোটা সংস্কার আন্দোলনের মাধ্যমে আমরা স্বৈরাচারের পতন ঘটিয়েছি। এই অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের সময় শিক্ষা ব্যবস্থা সংস্কারের অন্যতম কাজ হওয়া উচিত বাংলাদেশের পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর ভর্তি পরীক্ষায় এ রকম বৈষম্যমূলক কোটা পদ্ধতি বাতিল করা।
তিনি আরও বলেন, আমরা দেখেছি একজন মেধাবী শিক্ষার্থী প্রায় ৭০ শতাংশ নম্বর পেয়েও এখানে ভর্তি হওয়ার সুযোগ পায় না। কিন্তু একজন কোটাধারী ৩০ শতাংশ নম্বর পেয়েও ভর্তির সুযোগ পায়। আমরা বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনকে বলে দিতে চাই, আসন্ন ভর্তি পরীক্ষার আগেই এই বৈষম্যমূলক কোটা পদ্ধতি সংস্কার করতে হবে। না হয় আপনারা আপনাদের গদিতে টিকে থাকতে পারবেন না। আমরা কোটা সংস্কার আন্দোলনের মাধ্যমে স্বৈরাচারের পতন ঘটিয়েছি, বিশ্ববিদ্যালয়ের ভর্তি পরীক্ষায় বৈষম্যমূলক কোটা পদ্ধতি সংস্কার না করলে আপনাদেরও হটাতে বাধ্য হব।
বিশ্ববিদ্যালয়ের ইংরেজি বিভাগের ৪৮তম ব্যাচের শিক্ষার্থী জুবায়ের শাবাব বলেন, একজন শিক্ষার্থী ভর্তি পরীক্ষায় ৬০ নম্বর পেয়ে ভর্তির সুযোগ পায় না, অন্যদিকে মাত্র ২৬ নম্বর পেয়ে পোষ্য কোটাধারীরা ভর্তির সুযোগ পাচ্ছে। এই বৈষম্য জাহাঙ্গীরনগরে চলবে না। যদি পোষ্য কোটা রাখতে হয়, তবে সেটা যৌক্তিক সংস্কার করে রাখতে হবে।
তিনি আরও বলেন, আমরা দেখেছি এই পোষ্য কোটায় যারা ভর্তি হয়, তাদের অনেকে ক্যাম্পাসে কী ধরনের সন্ত্রাসী কার্যক্রম চালায়। তারা জাহাঙ্গীরনগরের পরিবেশে বেড়ে ওঠে, ক্যাম্পাসের সকল বিষয়ে তাদের আগে থেকে ধারণা থাকে এবং শিক্ষার্থী হয়ে সেই বিষয়গুলো তারা কাজে লাগায়। তারা মাদক ও চাঁদাবাজি সিন্ডিকেটে জড়িয়ে পড়ে, সব ধরনের অপকর্মে তাদের হাত থাকে।
মেহেরব হোসেন/এমজেইউ