ট্রেনে পাথর মারার ঘটনায় ঢাকা কলেজ শিক্ষার্থীদের বিক্ষোভ
মহাখালীতে উপকূল এক্সপ্রেস ট্রেনে পাথর নিক্ষেপের ঘটনায় নিন্দা জানিয়ে বিক্ষোভ মিছিল ও মানববন্ধন করেছেন ঢাকা কলেজ শিক্ষার্থীরা।
সোমবার (১৮ নভেম্বর) বিকেল ৪টা ৫০ মিনিটের দিকে কলেজের মূল ফটকের সামনে মানববন্ধন এবং মিরপুর সড়কে বিক্ষোভ মিছিল করেন তারা৷ একই সঙ্গে এসব কর্মসূচি থেকে এই ঘটনায় জড়িতদের শাস্তির দাবিও জানানো হয়েছে।
এ সময় শিক্ষার্থীদের, ‘শিক্ষা সন্ত্রাস, একসাথে চলে না’, ‘তিতুমীরের সন্ত্রাসীরা, হুঁশিয়ার সাবধান’, ‘ট্রেনে হামলা কেন? প্রশাসন জবাব চাই’, ‘সন্ত্রাসীদের গদিতে, আগুন জ্বালো একসাথে’, ‘তিতুমীরের সন্ত্রাসীরা, হুঁশিয়ার সাবধান’, ‘২৪ এর হাতিয়ার, গর্জে ওঠো আরেকবার’ সহ বিভিন্ন স্লোগান দিতে দেখা গেছে।
মিছিল পূর্ব মানববন্ধনে ঢাকা কলেজ শিক্ষার্থী নাঈম হাওলাদার বলেন, শুধু ঢাকা কলেজই নয় বরং বাকি পাঁচটি কলেজের শিক্ষার্থীরা এবং জেলা ছাত্রকল্যাণ কমিটির সদস্যরাও এ ঘটনার প্রতিবাদ জানিয়েছেন। কোনো শিক্ষার্থীদের দ্বারা এমন হামলা হতে পারে সেটি আমরা কোনোভাবেই আশা করি না। পাথরের আঘাতে মানুষ রক্তাক্ত হয়েছে ছোট বাচ্চারা আহত হয়েছে। এটি খুবই মর্মান্তিক। আমরা এই ঘটনার তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাই। তিতুমীর কলেজ শিক্ষাথীদের আহ্বান করব, সন্ত্রাসী কায়দা ছেড়ে সুষ্ঠু ও সুন্দর ভাবে তাদের আন্দোলন পরিচালনা করার জন্য। একই সাথে পরবর্তী সময়ে ফের এ ধরনের ঘটনার পুনরাবৃত্তি ঘটলে প্রশাসনকে শক্ত ব্যবস্থা নিতে হবে।
একইসাথে তিতুমীর কলেজের আন্দোলনের সাথে সাত কলেজ শিক্ষার্থীদের কোনো সংশ্লিষ্টতা নেই উল্লেখ করে আব্দুর রহমান নামে এক শিক্ষার্থী বলেন, তিতুমীর কলেজের আজকের ট্রেনে হামলা করার সাথে সাত কলেজের সাধারণ শিক্ষার্থীদের কোনো ধরনের যোগসাজশ নেই। শিক্ষা উপদেষ্টার আশ্বাসে আমরা আমাদের আন্দোলন সাময়িক স্থগিত করেছি। সাত কলেজ বিশ্ববিদ্যালয় রূপান্তরের আন্দোলনে শান্তিপূর্ণভাবে সবাই মাঠে ছিলাম। আমাদের কোনো কর্মসূচিতে উগ্রতা ছিল না। আমরা আবারো বলতে চাই এই কর্মসূচিতে আমাদের কোনো সম্পৃক্ততা নেই।
আরও পড়ুন
এর আগে, বেলা ১১টার দিকে বিশ্ববিদ্যালয়ে রূপান্তরের দাবিতে সরকারি তিতুমীর কলেজ শিক্ষার্থীরা মিছিল বের করেন। মিছিলটি আমতলী মোড় হয়ে বেলা সাড়ে ১১টার দিকে মহাখালী রেলক্রসিং এলাকায় অবস্থান নেয়। পরে বেলা পৌনে বারোটার দিকে নোয়াখালী থেকে ঢাকায় আসা আন্তঃনগর ট্রেন উপকূল এক্সপ্রেস শিক্ষার্থীদের অবরোধ উপেক্ষা করে ঢাকা রেলওয়ে স্টেশনের দিকে যাওয়ার সময় হামলার শিকার হয়। ট্রেনটিকে শিক্ষার্থীরা থামানোর চেষ্টা করে ব্যর্থ হলে ঢিল ছুড়তে শুরু করেন। এসময় নারী শিশুসহ বেশ কয়েকজন আহত হয়েছেন। পরে ট্রেনটি গতি কমিয়ে ঘটনাস্থল ত্যাগ করে।
উল্লেখ্য, তিতুমীর কলেজ শিক্ষার্থীরা বিশ্ববিদ্যালয়ের দাবিতে তিন দফা দাবি জানিয়েছেন। দাবিগুলো হলো —
১. ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অধিভুক্তি বাতিল করে ৭ কলেজ থেকে তিতুমীর কলেজকে পৃথক (আলাদা) করতে হবে।
২. তিতুমীর কলেজকে বিশ্ববিদ্যালয়ে রূপান্তরের লক্ষ্যে কমিশন গঠন করতে হবে।
৩. এবং তিতুমীরকে একটি স্বতন্ত্র বিশ্ববিদ্যালয় বাস্তবায়নের রূপরেখা প্রণয়ন করতে হবে।
আরএইচটি/এমএ