ঢাকা কলেজের নতুন উপাধ্যক্ষ অধ্যাপক জাহানারা বেগম

ঢাকা কলেজের নতুন উপাধ্যক্ষ হিসেবে নিয়োগ পেয়েছেন অধ্যাপক জাহানারা বেগম। তিনি এর আগে ইডেন মহিলা কলেজের ইংরেজি বিভাগের অধ্যাপক ছিলেন। 

বৃহস্পতিবার (৭ নভেম্বর) রাষ্ট্রপতির আদেশক্রমে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা বিভাগ প্রজ্ঞাপনে এই তথ্য জানানো হয়।

এতে বলা হয়েছে, আগামী ১৩ নভেম্বরের মধ্যে বর্তমান কর্মস্থল থেকে অবমুক্ত হবেন উল্লেখ করে আবশ্যিকভাবে তার পিডিএস-এ লগইন করে অবমুক্ত ও যোগদান প্রক্রিয়া সম্পন্ন করতে বলা হয়েছে।

নতুন উপাধ্যক্ষ অধ্যাপক জাহানারা বেগম বলেন, বর্তমানে কলেজ কি অবস্থায় চলছে সেগুলো বিবেচনা করে আমি পরিকল্পনা অনুযায়ী কাজ করবো। বিভিন্ন উন্নয়নমূলক কাজগুলোতেই বেশি নজর দেব। এখন শিক্ষার্থীদের সমস্যাগুলো যেগুলোর সমাধান করা খুবই দরকার সেগুলো করতে চাই। স্বল্প সময়ের মধ্যে শেষ করা যাবে এমন কাজ সম্পন্ন করে দেওয়ার চেষ্টা থাকবে।

অধ্যাপক জাহানারা বেগমের গ্রামের বাড়ি সিরাজগঞ্জ জেলায়। তিনি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ইংরেজি বিভাগে স্নাতক ও স্নাতকোত্তর সম্পন্ন করেছেন। তিনি ১৯৯৩ সালে বাংলাদেশ কর্ম কমিশনের শিক্ষা ক্যাডারে যোগদান করেন। ২০১৮ সাল থেকে ইডেন মহিলা কলেজের ইংরেজি বিভাগের বিভাগীয় প্রধান হিসেবে দায়িত্ব পালন করে আসছিলেন।

এর আগে, গত আগস্ট মাসের ১২ তারিখ (সোমবার) শিক্ষার্থীদের তোপের মুখে অন্যত্র বদলি অথবা পদায়নের আবেদন করেন আগের উপাধ্যক্ষ অধ্যাপক এ.টি.এম. মইনুল হোসেন। শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা বিভাগের সচিবের কাছে তিনি এই আবেদন করেছিলেন।

আবেদনে অধ্যাপক মইনুল হোসেনও উল্লেখ করেছেন, সাম্প্রতিক সময়ে শিক্ষার্থীরা কলেজ অধ্যক্ষ এবং উপাধ্যক্ষের পদত্যাগ দাবি করে আন্দোলন করছে। ফলে কলেজের শিক্ষা কার্যক্রম চালানো দুরূহ হয়ে পড়েছে। এই পরিস্থিতিতে আমি ঢাকা কলেজের অধ্যক্ষদের দায়িত্ব পালন করতে চাচ্ছি না। তাই দ্রুত সময়ে অন্য কোনো কর্মস্থলে পদায়ন অথবা বদলির জন্য আবেদন করছি। বিষয়টি জানানোর জন্য এই আবেদন পত্র মাধ্যমিক উচ্চ শিক্ষা অধিদপ্তরের মহাপরিচালক, মাউশির কলেজ প্রশাসন বিভাগের পরিচালক এবং শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের সচিবের একান্ত সহকারীর (পিএস) কাছেও পাঠানো হয়।

মূলত, ওই সময় অধ্যক্ষ ও উপাধ্যক্ষকে পদত্যাগ করতে ২৪ ঘণ্টা সময় বেঁধে দেন ঢাকা কলেজের শিক্ষার্থীরা। তারা (শিক্ষার্থীরা) কোটা সংস্কার আন্দোলন চলাকালীন সময়ে অধ্যক্ষ ও উপাধ্যক্ষ সাধারণ শিক্ষার্থীদের পক্ষে নীরব ভূমিকা পালন করার অভিযোগ করেছেন।

আরএইচটি/এমএসএ