মজুদদার ও ভেজাল দেওয়া ব্যবসায়ীদের মৃত্যুদণ্ড দাবি আহমাদুল্লাহর
অন্যায়ভাবে খাদ্যসামগ্রী মজুদ করে বাজারে কৃত্রিম সংকট তৈরি করা ও খাদ্যদ্রব্যে ভেজাল মিশিয়ে জনগণের সঙ্গে প্রতারণা করা ব্যবসায়ীদের বিরুদ্ধে কঠোর আইন প্রণয়ন করে মৃত্যুদণ্ডের দাবি জানিয়েছেন আস সুন্নাহ ফাউন্ডেশনের চেয়ারম্যান শায়খ আহমাদুল্লাহ্।
বৃহস্পতিবার (২৪ অক্টোবর) রাতে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ে প্রথমবারের মতো অনুষ্ঠিত সিরাত সম্মেলনে এক প্রশ্নের জবাবে এসব কথা বলেন তিনি।
আরও পড়ুন
তিনি বলেন, সিন্ডিকেট ও মজুদদারি যারা করে এরা অপরাধী। মুখে দাড়ি থাকতে পারে, মসজিদ মাদ্রাসা ও সকল ভালো কাজে দান সদকা করতে পারে কিন্তু সিন্ডিকেট ও মজুদদারি করে জনগণকে কষ্ট দেওয়ার কারণে আল্লাহর রাসুলের হাদিস অনুযায়ী তিনি অপরাধী।
তিনি আরও বলেন, মজুদদারির পাশাপাশি যে সকল ব্যবসায়ীরা খাদ্যে ভেজাল মিশিয়ে জনগণের জীবনকে তিলে তিলে শেষ করে দেয়, এর থেকে বড় অপরাধ কী হতে পারে? আমাদের দেশের মতো খাদ্যে ভেজাল খুব কম দেশেই পাওয়া যাবে। প্রায় সব রোগের মূল কারণ হলো আমরা ভেজাল খাদ্য গ্রহণ করি।
সিন্ডিকেট, মজুদদারি ও খাদ্যে ভেজাল রোধ করার জন্য এ সময় তিনটি বিষয়ের প্রতি গুরুত্ব আরোপ করেন তিনি।
এক. অনেক ব্যবসায়ী শুধু ইবাদতকেই ইসলাম হিসেবে বিবেচনা করে। অথচ ব্যবসা-বাণিজ্য, আচার-আচরণও ইসলামের অংশ। তাই প্রত্যেকেরই ইসলাম সম্পর্কে যথাযথ জ্ঞান অর্জন করে সমাজে প্রচলিত ইসলাম সম্পর্কে ভুল ধারণা ভেঙে ফেরাতে হবে।
দুই. সিন্ডিকেট, মজুদদারি ও খাদ্যে ভেজাল দেওয়া ব্যবসায়ীদের বিরুদ্ধে রাষ্ট্রীয়ভাবে কঠোর আইন প্রণয়ন করে তা বাস্তবায়ন করতে হবে।
তিন. সিন্ডিকেট, মজুদদার ও খাদ্যে ভেজাল দেওয়া ব্যবসায়ীদের বিরুদ্ধে ঐক্যবদ্ধ হয়ে আমাদের প্রতিহত করতে হবে। এক্ষেত্রে বাড়ির ছাদে, টবে, আশপাশে খোলা জায়গায় শাকসবজিসহ বিভিন্ন ফলফলাদির গাছ লাগিয়ে ভেজালমুক্ত খাদ্য নিশ্চিত করা যাবে এবং ব্যবসায়ীদের উপর নির্ভরতা কমাতে হবে।
এমএল/এমজে