পূজার ছুটিতে ফাঁকা ক্যাম্পাস, নেই রেজাল্টের আমেজ ও হৈ-হুল্লোড়
এইচএসসি পরীক্ষার ফল প্রকাশের পর শিক্ষার্থীদের উল্লাস বাংলাদেশের শিক্ষা সংস্কৃতির একটি চিরচেনা দৃশ্য। বহু মাসের পরিশ্রম, পড়াশোনা এবং মানসিক চাপের পর শিক্ষার্থীরা যখন কাঙ্ক্ষিত ফল পান, তখন আনন্দ এবং উচ্ছ্বাস হয় সীমাহীন। এসময় শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলোতে, বাড়িতে এবং বিভিন্ন স্থানে শিক্ষার্থীরা তাদের সাফল্য উদযাপন করেন।
তবে এবারের চিত্র খানিকটা ভিন্ন। নেই চিরচেনা উচ্ছ্বাস কিংবা শিক্ষার্থীদের জমায়েত। কারণ, চলছে পূজার ছুটি। ফলে প্রতিষ্ঠান বন্ধ থাকায় নেই ফল প্রকাশের কোনো আমেজ। মঙ্গলবার (১৫ অক্টোবর) রাজধানীর নটরডেম কলেজ ও ঢাকা কলেজ ঘুরে এমন চিত্র দেখা গেছে।
নটরডেম কলেজ ঘুরে দেখা যায়, বেলা ১১টার দিকে প্রতিষ্ঠান প্রাঙ্গণে দাঁড়িয়ে আছেন ১৫-২০ জন শিক্ষার্থী। তারা এইচএসসির ফল শোনার পর প্রতিষ্ঠানে এসেছে। পরে দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে ৩০-৪০ জন শিক্ষার্থী জমায়েত হন। তবে ক্যাম্পাসে কলেজ প্রশাসন কিংবা শিক্ষকদের কারো উপস্থিতি দেখা যায়নি।
এবার নটরডেম কলেজ থেকে ৩২৬৯ জন শিক্ষার্থী পরীক্ষায় অংশ নিয়ে ৩২৬৩ জন পাস করেছেন। পাসের হার ৯৯.৯৪ শতাংশ। আর জিপিএ-৫ পেয়েছেন ২৬১৮ জন শিক্ষার্থী। কলেজ সূত্রে বিষয়টি নিশ্চিত হওয়া গেছে।
সংশ্লিষ্টরা জানান, নটরডেম কলেজ থেকে বিজ্ঞান, মানবিক ও ব্যবসায় শিক্ষা বিভাগ থেকে শিক্ষার্থীরা এইচএসসি পরীক্ষায় অংশ নিয়েছিলেন। এর মধ্যে ব্যবসায় শিক্ষা বিভাগ থেকে ৭৫৪ জন পরীক্ষায় অংশ নিয়ে পাস করেছে ৭৫২ জন। জিপিএ-৫ পেয়েছে ৩৭৬ জন। মানবিক বিভাগ থেকে ৪১২ জন পরীক্ষায় অংশ নিয়ে সবাই পাস করেছেন। জিপিএ-৫ পেয়েছেন ২০২ জন। বিজ্ঞান বিভাগ থেকে ৩০০৩ জন পরীক্ষায় অংশ নিয়ে ২০৯৭ জন পাস করেছেন। জিপিএ-৫ পেয়েছেন ২০৪০ জন।
সিফাত শাহরিয়ার নামের এক শিক্ষার্থী বলেন, পূজার ছুটি থাকার কারণে কোচিং-ক্লাস সবই বন্ধ। অধিকাংশ বন্ধুরা গ্রামের বাড়িতে অবস্থান করছে। যার কারণে ক্যাম্পাসে কেউ আসতে পারেনি। সচরাচর আমরা এমন দৃশ্য দেখিনি। অন্য বছর দেখেছি ফল প্রকাশের সময় সবাই আনন্দ উল্লাস করেছে। সম্ভবত এবার ছুটির কারণে সেটি নেই।
মেহেদী হাসান নামের আরেক শিক্ষার্থী বলেন, আসলে এবার পরীক্ষা অনেকটা উৎকণ্ঠার মধ্য দিয়েই হয়েছে। আমাদের অনেক শিক্ষার্থী তখন আহত হয়েছিল। এখনও অনেকে ট্রমার মধ্যে রয়েছে। যার কারণে বাড়ি থেকেও বের হতে চাইছে না। সেজন্যই মনে হচ্ছে উপস্থিতি কম।
অন্যদিকে ঢাকা কলেজেও দেখা গেছে শিক্ষার্থী শূন্যতা। কলেজ প্রাঙ্গণ, পুকুরপাড়, খেলার মাঠ ঘুরেও উল্লেখযোগ্য সংখ্যক শিক্ষার্থীর উপস্থিতি দেখা যায়নি।
আরএইচটি/এসএসএইচ