সিভাসু থেকে উপাচার্য নিয়োগের দাবিতে বিক্ষোভ
চট্টগ্রাম ভেটেরিনারি অ্যান্ড এনিমাল সায়েন্সেস বিশ্ববিদ্যালয়ের (সিভাসু) শিক্ষকদের মধ্য থেকে উপাচার্য নিয়োগের দাবিতে বিক্ষোভ করেছেন শিক্ষক-শিক্ষার্থী ও কর্মচারীরা।
বৃহস্পতিবার (৩ অক্টোবর) ক্যাম্পাসের শহীদ মিনার থেকে আন্দোলন শুরু করে বিভিন্ন সড়ক প্রদক্ষিণ করেন তারা।
আন্দোলনরত ছাত্র-ছাত্রীরা বলেন, সিভাসু একটি বিশেষায়িত বিশ্ববিদ্যালয়। এখানে প্রাণীদের চিকিৎসা থেকে শুরু করে প্রাণী ডাক্তার, খাদ্যবিজ্ঞানী ইত্যাদি তৈরি হচ্ছে। পাশাপাশি চট্টগ্রাম অঞ্চলের প্রান্তিক কৃষকদের উন্নয়নে এই বিশ্ববিদ্যালয় ভূমিকা পালন করে আসছে। বিশ্ববিদ্যালয়ে এর আগে একবার বাইরের উপাচার্য নিয়োগ দেওয়া হয়েছিল। যার আমলে খুব বেশি সামগ্রিক উন্নয়ন হয়নি এবং সবকিছুর মান নিম্নমুখী হয়। তাই বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার মান, ছাত্রছাত্রীদের অধিকার এবং অত্র অঞ্চলের কৃষকদের সার্বিক বিষয় বোঝা চট্টগ্রাম সিভাসুর একজন জ্যেষ্ঠ প্রফেসর ছাড়া সম্ভব নয়। তাই আমরা দৃঢ়ভাবে বলতে চাই, সিভাসুতে বাইরে থেকে কাউকে উপাচার্য নিয়োগ দেওয়া হলে মেনে নেওয়া হবে না।
সিভাসুর ছাত্র জসিম উদ্দিন বলেন, এই বিশ্ববিদ্যালয়ের বয়স ৩০ বছর। ইতোপূর্বে এই বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রথম ব্যাচের দুইজন ছাত্র দেশের দুইটি স্বনামধন্য বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য হয়েছেন। আমরা চাই, অতিসত্বর সিভাসু থেকে একজন যোগ্য প্রফেসরকে উপাচার্য নিয়োগ দিয়ে ক্যাম্পাসের শিক্ষা, গবেষণা কার্যক্রম দ্রুত চালু করা হোক। অন্যথায় পরবর্তী সময়ে আরও কঠিন আন্দোলন করা হবে।
আরও পড়ুন
এর আগে নানা দুর্নীতি ও অনিয়মের অভিযোগ ওঠার পর গত ১৫ সেপ্টেম্বর পদত্যাগের ঘোষণা দেন চট্টগ্রাম সিভাসু উপাচার্য অধ্যাপক ড. এএসএম লুৎফুল আহসান। এদিন বিকেলে বিশ্ববিদ্যালয়ের আইসিটি সেলের মাধ্যমে তিনি শিক্ষক ও সংশ্লিষ্টদের উদ্দেশ্য করে একটি ই-মেইল পাঠান। এতে তিনি উল্লেখ করেন, ব্যক্তিগত কারণে উপাচার্য পদ হতে তিনি পদত্যাগ করেছেন।
গত ১২ সেপ্টেম্বর ‘নওফেলের প্রশ্রয়ে বেপরোয়া কর্মকর্তারা এখনো বহাল তবিয়তে’ শিরোনামে ঢাকা পোস্টে একটি প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়। যেখানে অধ্যাপক ড. এএসএম লুৎফুল আহসানের বিরুদ্ধে নিয়ম ভেঙে শিক্ষক-কর্মকর্তা নিয়োগ ও অনুগত কর্মকর্তাদের পদোন্নতি এবং টেন্ডার নিয়ন্ত্রণ করাসহ নানা দুর্নীতি ও অনিয়মের অভিযোগ উল্লেখ করা হয়।
দুর্নীতি ও অনিয়মের কারণে আলোচিত সাবেক শিক্ষামন্ত্রী মহিবুল হাসান চৌধুরী নওফেলের সঙ্গে সখ্য ছিল অধ্যাপক ড. এএসএম লুৎফুল আহসানের। তার বিরুদ্ধে হাসিনা সরকারের পতনের কয়েক দিন আগে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক, কর্মকর্তা ও কর্মচারীদেরকে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের বিরুদ্ধে মানববন্ধন কর্মসূচি পালন করানোর অভিযোগ রয়েছে।
এমআর/এমএ