ইবির খালেদা জিয়া হলের ছাত্রীদের সরানো হলো কর্মকর্তাদের কোয়ার্টারে
ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের (ইবি) খালেদা জিয়া হলের পুরাতন ব্লকে বারবার শর্টসার্কিট থেকে বৈদ্যুতিক দুর্ঘটনা ঘটছে। ফলে নিরাপত্তার স্বার্থে হলে অবস্থানরত ছাত্রীদের কর্মকর্তাদের কোয়ার্টার কপোতাক্ষে স্থানান্তর করেছে কর্তৃপক্ষ। হলের সমস্যা সমাধান না হওয়া পর্যন্ত ছাত্রীরা ওই কোয়ার্টারে থাকবেন। সোমবার (৯ সেপ্টেম্বর) ভবনটিতে ছাত্রীদের স্থানান্তর করা হয়।
জানা যায়, গত ৭ ও ৮ জুলাই এবং ২ ও ৪ সেপ্টেম্বর হলের পুরাতন ব্লকে বৈদ্যুতিক দুর্ঘটনা ঘটে। পরে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের নেতৃবৃন্দের মধ্যস্থতায় বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসনিক ও আর্থিক দায়িত্বে থাকা অধ্যাপক ড. আ ব ম সিদ্দিকুর রহমান আশ্রাফীর সঙ্গে সাক্ষাৎ করেন হলের আবাসিক শিক্ষার্থীরা। এ সময় হলের সমস্যা নিরসনে চার দফা দাবি তোলেন তারা। পরে আজ পুরাতন ব্লকের ২০১৮-১৯ এবং ২০১৯-২০ শিক্ষাবর্ষের শিক্ষার্থীদের প্রথম ধাপে কর্মকর্তাদের কোয়ার্টারে স্থানান্তর করা হয়।
এ বিষয়ে হলের আবাসিক শিক্ষক ড. এরশাদুল হক বলেন, আমরা এখানে প্রায় শতাধিক ছাত্রীর আবাসন ব্যবস্থা করেছি। তাদের নিরাপত্তার জন্য সার্বক্ষণিক আনসার ও আয়া নিয়োজিত থাকবে।
তাদের খাবারের বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি বলেন, হলের ডাইনিং থেকে তাদের জন্য প্রতি বেলায় খাবার এখানে নিয়ে আসা হবে। আশা করি তাদের কোনো ধরনের সমস্যা হবে না। এর পরও যদি তারা নিরাপত্তা সংকট মনে করে, তাহলে সমন্বয়ক প্যানেল এবং আমরা মিলে বাড়তি নিরাপত্তার ব্যবস্থা করব।
বিশ্ববিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত প্রধান প্রকৌশলী এ. কে. এম. শরীফ উদ্দীন বলেন, আমরা শিক্ষার্থীদের অবস্থানের স্বাভাবিক পরিবেশ নিশ্চিত করার চেষ্টা করেছি। মোটামুটি সব রুমের বিদ্যুৎ সেবা নিশ্চিত করা হয়েছে। সব মিলিয়ে হয়তো ২৫ হাজার টাকার মতো খরচ হয়েছে এখানে। আর হলের পুরাতন ব্লক সংস্কারের জন্য প্রাথমিক একটা হিসাবে ৪৮ লাখের মতো টাকা লাগবে বলে জেনেছি।
এ বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের জরুরি প্রশাসনিক ও আর্থিক দায়িত্বে থাকা অধ্যাপক ড. আ ব ম সিদ্দিকুর রহমান আশ্রাফী বলেন, হলের বিদ্যুৎ সমস্যার কারণে ছাত্রীরা নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছিল। আমরা তাদের নিরাপত্তার কথা বিবেচনা করে দ্রুত সময়ে কপোতাক্ষ ভবন সংস্কার করে এখানে নিয়ে এসেছি। এখানে সার্বক্ষণিক আনসার, নিরাপত্তা কর্মী এবং আয়া অবস্থান করবেন। আমরা হলের সমস্যা দ্রুত সমাধানের চেষ্টা করতেছি। আশা করছি খুব দ্রুত স্বাভাবিক হয়ে যাবে।
প্রসঙ্গত, গত ৪ সেপ্টেম্বর সন্ধ্যায় হলের পুরাতন ব্লকে শর্টসার্কিট থেকে আগুন লাগলে হলজুড়ে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে। পরে হলে থাকা ঝুঁকিপূর্ণ বলে ছাত্রীদের অন্য স্থানে থাকতে বলে কর্তৃপক্ষ। তবে থাকার ব্যবস্থা না হওয়ায় বিদ্যুৎ সংযোগ বিচ্ছিন্ন করে ঝুঁকি নিয়েই হলে অবস্থান করছিলেন ছাত্রীরা। আজ তাদের নিরাপদ স্থানে স্থানান্তর করা হলো।
রাকিব হোসেন/আরএআর