জবির উপাচার্য নিয়োগের দাবিতে শিক্ষক শিক্ষার্থীদের মতবিনিময় সভা
জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকদের মধ্য থেকে উপাচার্য নিয়োগ, বিভিন্ন অবকাঠামোগত সংস্কার, শিক্ষার্থীদের মৌলিক সমস্যা চিহ্নিতকরণসহ বিভিন্ন বিষয় নিয়ে মতবিনিময় করেছে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক শিক্ষার্থীরা।
রোববার (১ সেপ্টেম্বর) বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক লাউঞ্জে এ মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত হয়। এ সময় জবি সংস্কার আন্দোলন ৩৭জন বিভাগ প্রতিনিধির ৩২জন প্রতিনিধি উপস্থিত ছিলেন।
এ সময় বিভাগ প্রতিনিধিরা বলেন, আমরা বিশ্ববিদ্যালয়কে এমন একটি পর্যায়ে দেখতে চাই যেখানে আমাদের বিশ্ববিদ্যালয় স্বতন্ত্রভাবে সকল ধরনের কার্যক্রম পরিচালনা করতে সক্ষম হবে। আমাদের মৌলিক অধিকারগুলো পূরণ করার জন্য এমন একটি যোগ্য প্রশাসন চাই যারা শিক্ষার্থীদের কল্যাণে আসলেই কাজ করবে। তারা প্রশাসনে বসে বিশ্ববিদ্যালয়ের স্বার্থকে উপেক্ষা করে কোনো দলীয় এজেন্ডা বাস্তবায়ন করবে না। শিক্ষক শিক্ষার্থীদের যৌথ গবেষণার মাধ্যমে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়কে আন্তর্জাতিক একটি বিশ্ববিদ্যালয়ে রূপ দান করব।
এ সময় আইন বিভাগের শিক্ষার্থী রিয়াজুল ইসলাম বলেন, আপনারা সকলেই অবগত আছেন আমরা 'জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় সংস্কার আন্দোলন' এর মনোনীত ডিপার্টমেন্টের প্রতিনিধিদের সাথে আমাদের শিক্ষকদের সাথে একটি মতবিনিময় সভা হয় উক্ত সভায় বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকদের মধ্য হতে উপাচার্য নিয়োগের দাবি সহ ক্যাম্পাস সংস্কার নিয়ে আলোচনা হয়। বিশ্ববিদ্যালয়কে এগিয়ে নিতে আমরা শিক্ষক শিক্ষার্থী কর্মকর্তা কর্মচারীরা ঐক্যবদ্ধ ভাবে কাজ করব।
বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক সমিতির সাধারণ সম্পাদক ড. শেখ মাশরিক হাসান বলেন, জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের স্বকীয়তা রক্ষা, সকল কার্যক্রমের গতিকে তরান্বিত করতে এবং বিশ্ববিদ্যালয়কে আন্তর্জাতিক মানের বিশ্ববিদ্যালয়ে রূপ দান করতে এই মুহূর্তে আমাদের বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপকদের মধ্য থেকে উপাচার্য নিয়োগ দিতে হবে। বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপকদের মধ্য হতে উপাচার্য নিয়োগের দাবিতে শিক্ষক শিক্ষার্থী, কর্মকর্তা কর্মচারীরা ইতোমধ্যে ঐক্যবদ্ধ হয়েছে।
ইতিহাস বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ বিলাল হোসাইন বলেন, বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপকদের মধ্য থেকে উপাচার্য নিয়োগের আন্দোলনটি আমরা একটি অভ্যন্তরীণ আন্দোলন হিসেবে ইতোমধ্যে প্রতিষ্ঠিত হয়েছে। এ আন্দোলনকে উপেক্ষা করে যদি বাইরে থেকে উপাচার্য নিয়োগ দেওয়া হয় সেটা জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক শিক্ষার্থী, কর্মকর্তা কর্মচারীরা কেউ মেনে নেবে না।
এমএল/এসকেডি